TSR এর নতুন রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন

TSR এর নতুন রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন!

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর ত্রিপুরার TSR এর জন্য একটি নতুন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান গঠনের অনুমোদন দিয়েছে!

ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করতে ও নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজ্যে আরও একটি ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন (IR Battalion) গঠনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা আজ সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহা।

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “ত্রিপুরার জন্য একটি বড় উৎসাহব্যঞ্জক খবর! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (TSR)-এর অধীনে আরও একটি ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্তও খুলে যাবে। এই সিদ্ধান্তের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজির প্রতি কৃতজ্ঞ।”

সূত্রের খবর, রাজ্যে আরও একটি আইআর ব্যাটেলিয়ন গঠনের দাবিটি কিছুদিন আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতে সরাসরি উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিল। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন আইআর ব্যাটেলিয়ন গঠনের জন্য এককালীন ৫০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। এর মধ্যে ৩০ কোটি টাকা পরিকাঠামোগত ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ থাকবে, যা ব্যয় বিবরণী জমা দেওয়ার পর রাজ্য সরকারকে প্রদান করা হবে। তবে জমি ক্রয়ের খরচ এই বরাদ্দের আওতায় পড়বে না।

এই ব্যাটেলিয়ন গঠনের পর, তা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে প্রথম অগ্রাধিকারভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ, প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের যেকোনো প্রান্তে এই TSR-বাহিনী মোতায়েন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিতে পারবে। এই উদ্যোগের ফলে ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী ও দূর্গম এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে, পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই ব্যাটেলিয়নের গঠন সংক্রান্ত পরিকাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। ত্রিপুরায় নতুন আইআর ব্যাটেলিয়নের অনুমোদন রাজ্যের জন্য নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ে এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ত্রিপুরা একটি নিরাপদ ও কর্মনির্ভর রাজ্য হিসেবে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।About Us