ল্যান্ড কাস্টমস বন্ধের হুমকি কৈলাসহরে!

কৈলাসহরে সনাতনী হিন্দুদের ল্যান্ড কাস্টমস বন্ধের হুমকি!

বাংলাদেশে ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার ও সে দেশের সনাতনী হিন্দুদের উপর আক্রমনের প্রতিবাদে কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাংগনে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে সনাতনী হিন্দুরা। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে, বিজেপি কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দও, ঊনকোটি জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ত্রিপুরা রাজ্যের সভাপতি উত্তম দে, সহ আরও অনেকে। সকাল এগারোটায় সনাতনী হিন্দুরা প্রথমে কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে অবস্থিত মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাংগনে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে শুরু করে।

সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে কৈলাসহর আন্তর্জাতিক সীমানায় মনু কাস্টম ল্যান্ডে আমদানী রপ্তানী বানিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারতীয় সনাতনী হিন্দুরা।
পরবর্তী সময়ে শহরের রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করে সনাতনী হিন্দুরা।
কৈলাসহর পুর পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে জানান যে, সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে চিন্ময় দাস প্রভুকে বাংলাদেশ সরকার গ্রেফতার করে হয়রানি করছে।

এদিকে কৈলাসহরের বর্ডার দিয়ে বুধবার থেকে বাংলাদেশে সমস্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যতদিন অব্দি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ চলবে ততোদিন বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান নিতিশ দে। আন্দোলনে রেকর্ড সংখ্যক সনাতনী হিন্দুরা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৈলাসহরের মহকুমা পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কর্মকারের নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ, টি.এস.আর এবং বি.এফ.এফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়।About Us

যুব মোর্চার বাইক রেলি

সপ্তম দিনে সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি গিয়ে পৌঁছালো যুব মোর্চার নমঃ যুব বাইক রেলি।

বিজেপি’র রাজ্য যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত নমোঃ যুবযাত্রা বাইক রেলির সপ্তম দিনে এসে পৌঁছালো উত্তর এিপুরা জেলায়। ছাব্বিশ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উক্ত রেলিটি প্রথমে ৫৭ নং যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিকেল তিনটা নাগাদ কদমতলা ব্লক এলাকার বড়গোল মাঠে এসে জড়ো হয় এবং সেখান থেকে কদমতলা মন্ডল যুব কর্মীরা মিলিত হয়ে ফের শুরু হয় বাইক রেলি।

এদিন রেলিটি কদমতলা বাজার, প্রেমতলা বাজার হয়ে চুরাইবাড়ি সেলটেক্স গেইট হয়ে পুনরায় কদমতলা মোটরস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এসে শেষ হয়। সপ্তম দিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মোর্চার সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব, যুব মোর্চার প্রবক্তা অম্লান মুখার্জী, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, কদমতলা মন্ডল যুব মোর্চার সহ-সভাপতি জন্মজীৎ কানু, সহ-সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মোর্চার সাবেক সভাপতি অমিতাভ নাথ, মন্ডল সভাপতি রাজা ধর, সহ উত্তর এিপুরা জেলা সভাপতি কাজল দাস।


এদিনকার উক্ত নমঃ যুবযাত্রা বাইক রেলি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান, সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত সপ্তম দিনে পৌঁছালো তাদের এই বাইক মিছিল।
চলতি মাসের গত কুড়ি তারিখে সাব্রুম থেকে এর সূচনা হয়েছিল।মোট প্রায় ৬০০ এর অধিক কিলোমিটার পথ অতিক্রমা করে আজ রাজ্যের শেষ প্রান্ত ৫৪ নং কুর্তি কদমতলার চুরাইবাড়িতে এসে পৌঁছালো এই যুবযাত্রা রেলিটি। এই রেলি থেকে তাদের একটাই বার্তা গোটা রাজ্যের যুব সমাজকে এক সুতোয় বাধা,এবং এই রাজ্যকে শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত করা।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এবং নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে ফিরিয়ে এনে মাঠমুখি করা এবং রাজ্যের প্রত্যেকটা যুব সমাজ যেন এই নেশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদে মাঠে নামে। তিনি আরো বলেন সপ্তম দিনের এই কর্মসূচি ধর্মনগর পর্যন্ত যাত্রা সমাপ্ত হয়েছে এবং আগামী ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগরতলা রবীন্দ্র ভবনের সম্মুখে উক্ত নমঃ যুব যাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। মূলত এইসকল উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের এই রাজ্যব্যাপী বাইক রেলির আয়োজন বলে জানান যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি, তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব।About Us


সংবিধান দিবস

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪, ভারতের ৭৫তম সংবিধান দিবস!

আজ সংবিধান দিবস। ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার স্মরণে প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধানে গৃহীত হয় এবং ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী তা কার্যকর হয়। সারা দেশের সাথে রাজ্যেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

সারা রাজ্যে সোমবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। আজ সকালে রাজ্য আইন দপ্তরের উদ্যোগে উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রার সুচনা করেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়। সংবিধান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই বর্ষব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন। তিনি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পদযাত্রায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি আসাম, মেঘালয়, সিকিম সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের শিল্পী ও যুবারা অংশ নেয়।

আগরতলার উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে শেষ হয় পদযাত্রা। সেখানে ভারতরত্ন বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বেদকরের মর্মর মুর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। পরে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করা হয়। শ্রমমন্ত্রী টিঙ্কু রায় সংবিধান দিবসের গুরত্ব তুলে ধরেন৷ সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বছর উপলক্ষ্যে সারা বছর ব্যাপী রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।About Us




মৃত্যু প্রকৃতপক্ষেই হৃদয়বিদারক ঘটনা

ভাত খেতে বসে আকস্মিক মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের!

এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকার ৩০ বছর বয়সী যুবক সুবল দাস হঠাৎ করেই প্রাণ হারালেন। পারিবারিক নিয়মে দুপুরবেলায় ভাত খেতে বসেছিলেন তিনি, কিন্তু সেই খাওয়া আর শেষ করা হলো না। খাওয়ার সময় হঠাৎ করে বমি শুরু হলে, তিনি বাড়ির পাম্পকলে গিয়ে মুখ ধুতে যান। সেখানেই হঠাৎ করে পড়ে যান এবং ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গেই তাকে স্থানীয় এক টমটমে করে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখানেই থেমে থাকেনি। হাসপাতালের গেটের কাছাকাছি পৌঁছতেই গাড়িটির ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে যায়। সেই টমটমে সুবল দাসের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী এবং সাত বছরের একমাত্র কন্যা। দুর্ঘটনার ফলে দুজনেই আহত হন। প্রতিবেশীরা তৎপরতা দেখিয়ে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সুবল দাসকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রী বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি জানতেনই না তার স্বামী এরই মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন।
খবর পেয়ে মৃতের আত্মীয়-স্বজনরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান। সন্ধ্যায় স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছোট্ট শিশু কন্যাটিও বাবার মৃত্যুতে মর্মাহত হয়ে চিৎকার করে কাঁপতে থাকে। এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে হাসপাতাল চত্বরে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে মনে করা হলেও, ময়নাতদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে। সুবল দাসের অকাল মৃত্যুতে গোটা দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।About Us

নিলামে ত্রিপুরার চায়ের সর্বোচ্চ দাম

ত্রিপুরার চা শিল্পের নতুন রেকর্ড: নিলামে সর্বোচ্চ মূল্য!

ত্রিপুরার চা সেক্টর একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। সম্প্রতি এক নিলামে ত্রিপুরার চা সর্বোচ্চ মূল্য লাভ করেছে, যা চা উৎপাদনকারী রাজ্যটির জন্য একটি আনন্দদায়ক ঘটনা। নিলামের এই নতুন রেকর্ড সারা দেশেই চা শিল্পের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিলামে ত্রিপুরার “নর্থ ত্রিপুরা গোল্ডেন টি” নামক বিশেষ ধরনের চা ১,৫০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে ত্রিপুরার চায়ের জন্য সর্বোচ্চ দাম। চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি রাজ্যের চা শিল্পের একটি বড় অগ্রগতি এবং দেশের চা বাজারে ত্রিপুরার চায়ের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।

চা শিল্পের নতুন দিগন্ত

ত্রিপুরা রাজ্যের চা শিল্পের জন্য এটি একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে, রাজ্যটির চা গুণগত মানের জন্য পরিচিত হলেও, এর বাজারমূল্য এত উচ্চ ছিল না। বিশেষ করে, ত্রিপুরার চা বিশ্ববাজারে এখনও পুরোপুরি তার স্থান তৈরি করতে পারেনি। তবে, সম্প্রতি রাজ্যের চা উৎপাদন ও বিক্রির পদ্ধতি উন্নত হওয়ার ফলে এমন একটি উজ্জ্বল ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়েছে। ত্রিপুরা চা উৎপাদনকারী বাগানের মালিকেরা জানিয়েছেন যে, নতুন প্রযুক্তি এবং আধুনিক চা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে চা গুণগত মানের উন্নতি করা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ বাজারে তাদের চা দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।

বিশ্বব্যাপী বাজারে সম্ভাবনা

বিশ্ববাজারে ত্রিপুরার চা রপ্তানির সম্ভাবনা এখন অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে ত্রিপুরার চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে বিশেষ চা প্রস্তুতকারকদের কাছে।

ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী

ত্রিপুরার চা বাগান মালিকেরা এই সাফল্যকে উৎসাহের একটি উৎস হিসেবে দেখছেন এবং তারা আশাবাদী যে আগামী দিনে আরও উন্নত চা উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের ফলে রাজ্যের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে। রাজ্য সরকারও চা শিল্পের উন্নয়নে একাধিক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, যা ত্রিপুরা চা বাগানগুলির জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করবে। এই নতুন রেকর্ড রাজ্যটির চা শিল্পের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, এবং চা বাজারে ত্রিপুরার প্রতিযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী শিল্প বিশেষজ্ঞরা।About Us

মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের ফলাফল 2024!

মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের ফলাফল 2024!

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। নির্বাচনে প্রতিটি রাজ্যেই ক্ষমতাসীন দলগুলি নতুন করে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করেছে, তবে বিরোধী দলগুলোও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে।

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী দল:

মহারাষ্ট্রের 2024 সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী) এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জোট বিপুল বিজয় লাভ করেছে। এই জোটের সাফল্যের ফলে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেবেন। ২৮৮ আসনের মধ্যে ১৫০টির বেশি আসন নিয়ে শিন্ডে-ব্যস্ত জোট রাজ্য সরকার গঠন করবে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দল হারার পর তার দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে, যা দলের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

ঝাড়খন্ডে নতুন রাজনৈতিক সূচনা:

ঝাড়খন্ডে 2024 সালের নির্বাচন অনেকটাই আকর্ষণীয় ছিল। ক্ষমতাসীন দল ঝাড়খন্ড মুকত মঞ্চ (JMM) এবং কংগ্রেসের জোট আবারও রাজ্যে সরকার গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জোটের বিজয় রাজ্যের জনমনে এক ধরনের আশা সৃষ্টি করেছে। তবে, বিজেপি একটি শক্তিশালী বিরোধী শক্তি হিসেবে জায়গা পেয়েছে এবং আগামী দিনে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা চালিয়ে যাবে।

উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য:

উত্তরপ্রদেশের 2024 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের জনতা পার্টি (বিজেপি) পুনরায় একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আবারও রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছেন। ৪০৪ আসনের মধ্যে বিজেপি এবং তার অঙ্গসংগঠনের জোট প্রায় ২৫০টি আসনে জয়লাভ করেছে। সমাজবাদী পার্টি (SP) এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনে বড় ধরনের সাফল্য লাভে ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি-র বিজয়ে রাজ্যবাসী উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতি তাদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

নির্বাচনের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া:

এই নির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে নতুন করে আকার দেবে। মহারাষ্ট্রে শিন্ডে-ফড়নবীস জোট এবং ঝাড়খন্ডে সোরেনের নেতৃত্বের মধ্যে সমর্থকদের মধ্যে আশা রয়েছে যে, নতুন সরকার রাজ্যের উন্নয়নশীল কাজগুলো ত্বরান্বিত করবে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পুনরায় নির্বাচিত হওয়া মানে আরও ৫ বছরের জন্য যোগী আদিত্যনাথের শাসন।

বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে এই ফলাফল নিয়ে অভিযোগও উঠেছে। তারা ভোটগ্রহণে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এবং নির্বাচনের ফল পুনঃগণনার দাবি করেছে। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু হয়েছে।

নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ:

এই নির্বাচনের পরবর্তী প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, নির্বাচনী প্রচারের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবায়ন করা। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশেষত, কৃষক সমস্যা, বেকারত্ব কমানো এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে।

শেষ কথা:

2024 সালের মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে তা আগামী দিনের জন্য দেশের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্ধারণ করবে। এই নির্বাচনের ফলাফল রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যতের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।About Us

অদানি গ্রুপ আমেরিকার কাঠগড়ায়

আদানি গুষ্টির উপর তদন্ত চালাতে প্রস্তুত আমেরিকা!

বাজার

অদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড এবং এর সাথে যুক্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ উঠেছে, এবার তা আন্তর্জাতিক স্তরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অদানি গ্রুপের কিছু আর্থিক কার্যক্রম এবং বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা কোম্পানির সুনাম ও কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলেছে।

মূল অভিযোগসমূহ

  1. হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের এক রিপোর্টে এই গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারসাজি, আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তোলে।
  2. সন্দেহজনক বিনিয়োগ কার্যক্রম: মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এই গ্রুপের কিছু বিনিয়োগ কার্যক্রম “কাজের স্বচ্ছতার অভাব” রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  3. বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট: এই অভিযোগগুলির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বিনিয়োগকারী এবং ফান্ড ম্যানেজাররা অদানি গ্রুপ থেকে দূরে সরে যাওয়ার চিন্তা করছে।

মার্কিন তদন্তের সম্ভাবনা

মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এই অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্তের জন্য প্রস্তুত। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ভারতীয় বাজার নিয়ন্ত্রক SEBI ইতিমধ্যেই ভারতীয় এই গ্রুপের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে।

অদানি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া

অদানি গ্রুপ এই অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এইসব অভিযোগ ব্যবসায়িক ইর্ষা এবং ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে দমিয়ে রাখার একটি কৌশল।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনার প্রভাব ভারতের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু বিনিয়োগকারী সংস্থাও ভারতীয় এই গ্রুপের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে ভারতের বড় সংস্থাগুলির ভূমিকা ও সুনামের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।About Us

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪-এর এক্সিট পোলের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত মিলেছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে শিবসেনা (একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠী), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার এবং অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার মধ্যে। এক্সিট পোল অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিণ্ডে জোট এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস-এনসিপি জোট তাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও পিছিয়ে থাকতে পারে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রভাব ফেলতে পারে।

এই নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল:-
১. মরাঠা সংরক্ষণ: মরাঠা সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ দাবিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দল তাদের অবস্থান শক্ত করেছে।
২. কৃষি সংকট: কৃষক ঋণ মকুব এবং কৃষি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বড় ইস্যু ছিল।
৩. অবকাঠামো উন্নয়ন: মহারাষ্ট্রে মেট্রো প্রকল্প ও সড়ক উন্নয়ন প্রচারণার প্রধান অংশ হয়ে উঠেছে।
৪. বেকারত্ব: তরুণ ভোটারদের জন্য কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪-এর এক্সিট পোল অনুযায়ী:-
বিজেপি-শিণ্ডে জোট: এক্সিট পোল অনুযায়ী, বিজেপি এবং একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা জোট ১৪০-১৬০টি আসনে এগিয়ে থাকতে পারে। তারা মূলত উন্নয়ন ও অবকাঠামো ইস্যুতে ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে। কংগ্রেস-এনসিপি জোট: কংগ্রেস এবং শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি ১০০-১২০টি আসন পেতে পারে বলে পূর্বাভাস। তারা মরাঠা সংরক্ষণ এবং কৃষক সমস্যা নিয়ে প্রচার চালিয়েছে।

উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা: উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ২০-৩০টি আসনে প্রভাব ফেলতে পারে। মরাঠা সংরক্ষণ এবং ঐতিহ্যগত সমর্থন তাদের মূল ভরসা।

অন্যান্য দল এবং নির্দল প্রার্থী: ছোট দল এবং নির্দল প্রার্থীরা ১০-২০টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ভোটদানের হার এবার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা বিভিন্ন দলের জন্য সমীকরণ জটিল করে তুলতে পারে। শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় ভোটদানের হার বেশি ছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপি-শিণ্ডে জোট ক্ষমতায় ফিরতে পারে, তবে কংগ্রেস-এনসিপি জোটও উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার ভূমিকা একাধিক হাঙ্গামি এলাকায় “কিংমেকার” হতে পারে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হবে গণনার দিন ই । মহারাষ্ট্রের জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, এই নির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে।About Us

নার্সরা অনুমোদনের পরেও পোশাক ভাতা থেকে বঞ্চিত

রাজ্যের অর্থ দপ্তরের অনুমোদনের পরেও নার্সরা পোশাক ভাজা থেকে বঞ্চিত!

দীপাবলির প্রাক মুহূর্তে পুলিশ এবং টিএসআর জোওয়ানদের জন্য রেশন ভাতা বৃদ্ধির যে ঘোষণা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মহাকরণে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এখবর জানান। তিনি জানান, টিএসআর জোওয়ানদের রেশন মানি এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকর্মীরাও এখন থেকে দু হাজার টাকা করে রেশন মানি পাবে। পোশাক এলাউন্স ও বাড়ানো হয়েছে। টিএসআর জোওয়ানরা এতদিন পোষাক এলাউন্স বাবদ ১০ হাজার টাকা করে পেতেন। এখন ১২ হাজার টাকা করে পাবেন।

একইভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা পুলিশ কর্মীদের পোশাক অ্যালাউন্স ২০০০ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৯৫০০ টাকা করা হয়েছে । এতদিন পুলিশকর্মীরা সাড়ে সাত হাজার টাকা করে পোষাক এলাউন্স পেতেন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে টিএসআর এবং পুলিশ কর্মী মিলিয়ে ২১ হাজার ৭৫৪ জন জওয়ান উপকৃত হবেন। পুলিশ ও টিএসআর জোওয়ানদের রেশন মানি বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে। আর বছরে খরচ হবে ২৬ কোটি ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কিছু শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ১২৫ জন ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার নিয়োগ করা হবে।

অন্যদিকে যুব কল্যাণ এবং ক্রীড়া দপ্তরের অধীন ৭৫ জন পি আই তথা ফিজিকাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ করা হবে। ক্রীড়া দপ্তর এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীন মোট ২০০ জন ক্রিয়াশিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। খেলাধুলার মান উন্নয়ন, কোচিং সেন্টার গুলোর মান উন্নয়নে ক্রীড়া শিক্ষকরা আগামী দিনে ভূমিকা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান মৎস্য দপ্তরে গ্রেড ওয়ান অফিসার তথা টি এফ এফ এসএর শূন্য পদ পূরণ করা হবে। অতি দ্রুত টিপিএসসির মাধ্যমে ৫৩ জন টিএফএফএস নিয়োগ করা হবে বলে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন।

এদিকে; ত্রিপুরা রাজ্যে শুধুমাত্র নার্স এবং আরক্ষা দপ্তরের কর্মীরাই একমাত্র নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরিধান করে সরকারি কর্তব্য পালন করে থাকেন।কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশনামার পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকার আরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; ঠিক সেই অর্ডারেই নার্সদের ভাতা বৃদ্ধির অনুমোদন ও করা ছিল। কিন্তু নার্সদের বঞ্চিত রেখে শুধুমাত্র আরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের জন্য ই এই অর্ডার কার্যকর করলেন রাজ্যের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের নার্সদের পোশাক এবং পোশাক পরিস্কার রাখার জন্য মাসিক মাত্র ১৫০ টাকা ভাতা দেয়া হতো, উল্টো তাও বন্ধ করে দিয়েছেন ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী। নার্সদের হ্যাজার্ড এলাউন্স, যা তারা বহুদিন ধরে দাবি করে আসছিল তা আজও তারা পায়নি। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় সব সরকারি পদেরই পদোন্নতি হয়েছে, একমাত্র নার্সদেরই কোন পদোন্নতি আজও হয়নি । কোন অলৌকিক কারণে আমাদের রাজ্যের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী, নার্সদের প্রতি এই দ্বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন তা নার্সদের বোধগম্য হচ্ছে না।About Us

বিদ্যুৎ বিলের পাহাড় সরকারি দপ্তরে

পুর ও নগর সংস্থায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পাহাড়!

বিদ্যুৎ বিলের পাহাড় সরকারি দপ্তরে
বিদ্যুৎ বিলের পাহাড় সরকারি দপ্তরে

লোকসানে চলছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম৷ অথচ সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান বেড়েই যাচ্ছে। পরিশোধের নামগন্ধ নেই৷ অথচ সাধারণ মানুষ বা সাধারণ বিদ্যুৎ ভোক্তা ঠিকভাবে বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে না দিলে লোকজন গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেয়৷ কিন্তু রাজ্যের প্রায় সবকটি পুর ও নগরসংস্থায় কোটি টাকার উপর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে আছে৷ কোন অভিযান নেই। কেন ওই সব সংস্থার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না সেটাই প্রশ্ন। অথচ বিদ্যুৎ চুরি অর্থাৎ হুকলাইন বন্ধে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড জরিমানা এবং ব্যবহার্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা সহ আইনি পথে হাঁটার প্রতিবিধান কখনো কখনো প্রয়োগ করলেও ওই সব সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা জানা নেই কারোর।

জানা গেছে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানেই রয়েছে ধর্মনগর পুর পরিষদ। এখন পর্যন্ত ধর্মনগর পুর পরিষদের কাছে ৪ কোটি ৬১ লক্ষ পুর পরিষদের কাছে ৪ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আগরতলা পুর নিগম। এদের বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। অথচ সম্পদ করের জন্য নিগমের তাগাদার কুল নেই৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে কুমারঘাট পুর পরিষদ। এদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। একই রকম ভাবে রানিরবাজার পুর পরিষদের বকেয়া ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। উদয়পুর পুর পরিষদের বকেয়া ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। বিশালগড় পুর পরিষদের বকেয়া ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। মেলাঘর পুর পরিষদের বকেয়া ২১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। বিলোনিয়া পুর পরিষদের বকেয়া ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা। সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪৪ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। শান্তিরবাজার পুর পরিষদের বকেয়া ৪০ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। নিসাগর নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। তেলিয়ামুড়া নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। আমবাসা পুর পরিষদের বকেয়া ৮ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা। কৈলাশহর পুর পরিষদের বকেয়া ৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। মোহনপুর বকেয়া ৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। মোহনপুর পুর পরিষদের বকেয়া ৭২ হাজার টাকা। অমরপুর নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪৩ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে কমলপুর নগর পঞ্চায়েত এবং খোয়াই পুর পরিষদের কোন বকেয়া নেই। আগরতলা পুর নিগম সহ সমস্ত পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা অক্ষুন্ন রাখা এবং বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য সমস্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করার জন্য নিগমের তরফে অনুরোধের পর অনুরোধ জানানো হলেও কারোর কোন হেলদোল নেই।

আগরতলা তিনটি হলের বকেয়া বিদ্যুত বিল এক কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার উপরে। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দেওয়ার কোন খবর নেই। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল স্যান্দন পত্রিকায়৷ আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৯৫ লক্ষ টাকার উপরে অর্থাৎ এক কোটি টাকার কাছাকাছি। মুক্তধারা হলে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া কুড়ি লক্ষ টাকার উপর। নজরুলকলাক্ষেত্রে ৫৮ লক্ষ টাকার উপর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বাড়ি ঘরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দুমাস বিল ঠিকঠাক ভাবে মিটিয়ে দেওয়া না হলে বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা গিয়ে হাজির হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সোসাইটি পরিচালিত হলগুলোতে এক কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার উপর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। তাহলে কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় না করেই মানুষের উপর অতিরিক্ত মাশুল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কোথাও কোনো রকম বিদ্যুৎ চুরি দেখলে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এর প্রতিবাদ করতে এবং নিগমকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও কেন বকেয়া বিল আদায়ে নিগমের ভুমিকা থাকবে না।কারণ কোন ধরনের বিদ্যুৎ চুরি তথা হুক লাইন বৈধ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ জনিত সমস্যার কারণ। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল সময়মতো মিটিয়ে দিয়ে ৩ শতাংশ ছাড় পাশাপাশি ডিজিটাল তথা অনলাইন পদ্ধতিতে মিটিয়ে দিয়ে আরও অতিরিক্ত এক শতাংশ ছাড়ের সুযোগগ্রহণ করার জন্য নিগমের তরফে বার বার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পাশাপাশি সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিও সময়মতো বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নিগমের তরফে অনুরোধ জানানো হলেও সরকারি সংস্থাগুলোর কোন হেলদোল নেই। আগরতলা পুর নিগম সহ রাজ্যের মোট ২০টি নগর প্রতিষ্ঠান নগরায়নের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে উন্নয়নের ধ্বজা কে তুলে ধরেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবেই বহুদিন ধরেই এই নগর প্রতিষ্ঠান গুলোর বেশিরভাগ এর কাছেই বিদ্যুতের বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। নিগমের তরফে বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও আগরতলা পুর নিগম সহ বিভিন্ন পুরসভা এবং নগর পঞ্চায়েত গুলো বিদ্যুতের বিল যথাসময়ে মিটিয়ে না দিয়ে বকেয়ার পাহাড় দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড পরিকাঠামো ক্ষেত্র উন্নয়নে দারুন এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে বলা যায়। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।About Us