বিজেপি

বিজেপি নেতৃত্ব নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে!

বিজেপি নতুন ভাবে তাদের নেতৃত্ব কে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এন ই সি বৈঠক শেষ হতে না হতেই বিজেপি তাদের নতুন মন্ডল সভাপতি ঘোষণা করে দিল। ষাটটি মন্ডলের মধ্যে ৯০শতাংশ মন্ডলে ই নতুন সভাপতি অর্থাৎ নতুন মুখ।

সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ৬০ টি মন্ডলে সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পুরোনোদের বেশিরভাগের বয়স ৪৫ পেরিয়ে গেছে। তাই বিজেপির নীতি নির্দেশিকা অনুসারে ৯০ শতাংশ মন্ডলে যুব মোর্চার কার্যকর্তাদের সভাপতি করা হয়েছে অর্থাৎ যুবকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সিপিএমে যখন যুব নেতৃত্বের অভাব, যুবারা বামেদের থেকে দূরে থাকতেই যখন বেশি আগ্রহী তখন ডাবল ইঞ্জিন অর্থাৎ বিজেপিতে যুবাদের ছড়াছড়ি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চাইছেন আগামী দিনে যুবারা দেশ গঠনে এগিয়ে আসুক। তাই তো এক সময় মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি যুবাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এখন থেকে যুবাদের তৈরি করতে তিনি দলীয় কার্যকর্তাদের নির্দেশও পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে রাজ্য বিজেপিও এবার ৪৫ এর নিচে যাদের বয়স তাদেরকে মন্ডল সভাপতি পদে অভিষিক্ত করেছেন । মাত্র পাঁচ শতাংশ মন্ডলে পুরনোদের উপর ভরসা রাখতে বাধ্য হয়েছে বিজেপির শিবির। কারণ তাদের কাজকর্মে দল এবং সেইসব মন্ডলের জনপ্রতিনিধি বা বিজিত নেতারা খুশি। ফলে আগামী দিনে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তাদেরকেই মন্ডল সভাপতি পদে রাখাটা জরুরি বলে মনে করেছেন ঐসব নেতৃত্বরা।

সদরের সাতটি মন্ডলে নতুন মুখ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বড়দোয়ালি থেকে শুরু করে সদরের সবকটি মন্ডলে ৪৫ এর নিচে যাদের বয়স তাদেরকেই মন্ডল সভাপতি পদে বসানো হয়েছে । এতে করে আগামী দিনে যুবাদের মধ্যে বিজেপির প্রতি আগ্রহ বাড়বে, ঝোঁক বাড়বে। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা বড়দোয়ালি মন্ডল এর সভাপতি হয়েছেন বিদায়ী মন্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার দেব। ৬ আগরতলা কেন্দ্রে মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে তপন ভট্টাচার্যকে। মোহনপুরে মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে কার্তিক আচার্যকে। বামুটিয়ায় শিবেন্দ্র দাস, বড়জেলা মণ্ডলের সভাপতি হয়েছেন রাজীব সাহা। খয়েরপুরে রাজেশ ভট্টাচার্য, মজলিসপুর মন্ডলে রঞ্জিত রায় চৌধুরী। রামনগর মন্ডল সভাপতি হয়েছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য । বনমালীপুর মন্ডলের সভাপতি অরিন্দম চক্রবর্তী, প্রতাপগড় মন্ডলে স্বপ্না দাস, বাধারঘাট মন্ডলের সভাপতি করা হয়েছে মনীষ দেবকে। সূর্যমনিনগর মন্ডলের পূর্বতন সভাপতি মান্তু দেবনাথ এর উপরেই ভরসা রেখেছে দল৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফর

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরায় তিন দিনের সফরে রয়েছেন।রবিবার ধলাই জেলার হাডুকলাউতে ব্রু সেটেলমেন্ট ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। ব্রু জনজাতিদের সাথে আলাপচারিতার সময়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তারা ক্যাম্পে স্থায়ী বাড়ি পাওয়ার পরে তাদের কেমন লাগছে। মতবিনিময়কালে তিনি তাদের কাছ থেকে জেনে নেন, বাসিন্দাদের নিজস্ব রেশন কার্ড, আধার কার্ড আছে কিনা। তিনি বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন যে যাদের আয়ুষ্মান ভারত কার্ড নেই তারা শীঘ্রই কার্ড পাবেন। তিনি আশ্বস্ত করেন চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য ৫ লাখ টাকা পাবেন তারা । পাশাপাশি তিনি বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে চান, যে তারা রেশন দোকান থেকে তাদের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত চাল পান কিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের ব্যবসা শুরু করারও আহ্বান জানান। তিনি তরুণদের জীবনে উন্নতির জন্য সুশিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান। এক তরুণী তাদের নিজস্ব বাসস্থান দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শরণার্থী শিবিরে যে সুযোগ-সুবিধা তারা পাননি, নতুন বসতিতে সে সবই পাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রু পুনর্বাসন কেন্দ্র, বাজার এবং একটি স্কুলও পরিদর্শন করেন।

ব্রু শরণার্থী

ব্রু শরণার্থীরা কি এবার পাবে তাদের আশ্রয়?

ব্রু শরণার্থীরা দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে শরণার্থীর জীবন কাটিয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পর তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে বিজেপি। রাজ্যের ১২ টি জায়গায় ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধলাই জেলার আমবাসার হাদুকলইয়ে ব্রু পুনর্বাসন কেন্দ্রে আয়োজিত জন সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে কাজ পঁচিশ বছরে বামেরা করে দেখাতে পারিনি, এক বছরের মধ্যে সেটাই করে দেখিয়েছে বিজেপি সরকার। রাজ্যে ব্রুরা খুব সমস্যায় ছিল। শরণার্থীর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাদের। বিদ্যুৎ ছিলনা, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল তারা। ছিলনা রোজগার। ছিলনা স্বাস্থ্য সুবিধা। অথচ গরিবের সরকার বলে প্রচার করা লাল ভাইয়েরা রিয়াং শরণার্থী সমস্যার সমাধানে আগ্রহ দেখায়নি। দীর্ঘ সময় শাসন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যের ব্রু শরণার্থীদের প্রতি তাদের কোন দরদ ছিল না। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাই করেনি তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছে। ১১ টি পুনর্বসন শিবিরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। প্রায় ৯০০ কোটি টাকার সফল বাস্তবায়ন দেখে খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তার টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন রাজ্যের বারটি জায়গায় রিয়াংদের পুনর্বসন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ টি জায়গায় পুরোপুরি ভাবে কাজ শেষ হয়েছে। ১২ নম্বর পুনর্বাসন কেন্দ্র শান্তিরবাজারে কাজ চলছে, এবং শীঘ্রই শেষ হবে তা। রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনে যে প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে তার পুরোটাই বাস্তবায়িত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ৬৯৩৫ ব্রু শরণার্থী পরিবারকে রাজ্যে পুনর্বাসন দেয়া হয়েছে অর্থাৎ ৩৭ লক্ষ ৫৮৪ জন ব্রু জনজাতি ওই সব পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে বসবাস করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৩ টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আখাউড়াখালের জল পরিশোধন প্রকল্প রয়েছে। তিনি ব্রুহাপাড়ায় এক কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এস বি স্কুলের উদ্বোধন করেছেন। ব্রুহা পাড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি। ব্রুহা পাড়ায় ১৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গড়ে উঠা নতুন মার্কেটের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া ৬৩৫ কোটি টাকার বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যে আগরতলার সেন্ট্রাল ডিটেকটিভ সেন্টার, আমবাসার নতুন মহকুমা শাসক ভবন। উনিশ কোটি টাকা ব্যায়ে গন্ডাতুইসা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন রয়েছে। ৩৬ কোটি টাকা ব্যায়ে জিরানিয়ায় রেল ব্রিজ তৈরি করার শিলান্যাস করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

উত্তর পূর্বাঞ্চল

উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের প্ল্যানারিতে পূর্বে তেমন কোন গুরুত্ব পায়নি ত্রিপুরা, তবে কি এবারও….

উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য পৃথক অর্থ বিনিয়োগ নির্দেশিকা গঠনের জন্য নাবার্ড, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং নেডভি-কে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই অঞ্চলে স্পষ্ট ভূসংস্থান আছে বলে এই নির্দেশিকার কথা বলেন তিনি। আগরতলায় উত্তর পূর্বের ব্যাঙ্কার্স কনক্লেভ 2024-এ ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই অঞ্চল বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে পূর্বেকার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলই হলো ভারতের গ্রোথ ইঞ্জিন। এই অঞ্চলের সার্বিক বিকাশ ছাড়া ভারতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ রাজধানীর একটি বেসরকারী হোটেলে দ্বিতীয় নর্থ ইস্ট ব্যাঙ্কার্স কনক্লেভে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। যোগযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে রেল, সড়ক এবং বিমান পরিষেবা সব দিক দিয়েই এগিয়ে চলেছে এই অঞ্চলটি। সেই সাথে এই অঞ্চলে রয়েছে ছাপ্পান্ন মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সহ বিদ্যুৎ প্রকল্পও। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে বাড়ছে ব্যাঙ্কিং ডিপোজিটও। তা সত্বেও এই অঞ্চলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বের দ্রুতগতির বিকাশ বর্তমান সময়েই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। প্রধানমন্ত্রীর বহুমুখী সমর্থনের কারণেই ত্রিপুরা অসাধারণ বিকাশ এবং আর্থিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে বলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এখন রাজ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ সাফল্য অর্জন করেছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।

কেন্দ্রীয়

কেন্দ্রীয় অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে; প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার উত্তর-পূর্ব ভারত!

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। আজ আগরতলায় উত্তরপূর্ব  পরিষদের ৭২ তম পুর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেবার সময়  তিনি বলেন ,  উত্তর পূর্বাঞ্চলের  জন্য গত ১০ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগকারীদের উত্তর-পূর্বে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করছে। আগে শুধু উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে লোক দেখানো চিন্তা করা হত, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। সমগ্র  অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শ্রী শাহ আরও বলেন,  প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের লক্ষ্য হল  উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের বাকি অঞ্চলের সঙ্গে সমমানে নিয়ে আসা। সমগ্র অচলে সড়ক পরিবহণ ও অসামরিক বিমান পরিবহন ব্যবস্থাপনার উন্নতি হয়েছে। 
 
উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই অঞ্চলে জঙ্গীবাদ এবং সহিংসতার তীব্রতা হ্রাসের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অসামান্য ভূমিকার উল্লেখ  করেছেন। এই অঞ্চলে জঙ্গীদের কার্যকলাপ ৭১শতাংশ এবং প্রাণহানি ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ধলাই সফর

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী বাইশে ডিসেম্বর ধলাই জেলার হাদুকলইয়ের ব্রুহা পাড়ার রিয়াং পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরে মাসুরাই পাড়ায় জনসভা করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ধলাই জেলায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো নানা সমস্যায় ধুকছে। পানীয় জলের অভাব
নিত্য সঙ্গী। আজ থেকে দুমাস আগেও তারা পানীয় জলের জন্য আন্দোলন করেছিল। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। এমনকি প্যাকেজ অনুসারে তাদের ঠিকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরকালে জনজাতিরা তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্রু নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাতে তুলে দেবেন স্মারকলিপি। এমনটাই বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হল। রিয়াং জনজাতিরা পৃথক এডিসি গঠনের দাবি জানাবেন। ইতিমধ্যেই পৃথক স্বশাসিত জেলা পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে তারা একটি কমিটি ও গঠন করেছে। ব্রু জনজাতিদের নতুন এই দলের নম ব্রু রাইকাচাও রাইকসম ইউনাইটেড। সংক্ষেপে ব্রু বি আর ইউ। অতি সম্প্রতি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য হলো এডিসি অর্থাৎ স্বশাসিত জেলা পরিষদ তিপ্রাসাদের। রাজ্যের এডিসি অর্থাৎ জেলা পরিষদ তাদের কোন কাজে লাগছে না।

ব্রু জনজাতিদের নতুন এই দলের নেতৃত্বরা এমনও জানিয়েছেন যে, বিগত কিছু দিন পূর্বে তিপ্রা মথার সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের চুক্তি হয়। কি বিষয় রয়েছে চুক্তিতে তা অন্ধকারে জনজাতিরা৷ তাদের যা বলা হচ্ছে বা যা বোঝানো তাই বুঝতে হচ্ছে। তিপ্রাসাদের মগজ ধোলাই করে কিছু নেতা তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে মাত্র। ফলে তিপ্রাসারা যে তিমিরে ছিল এখনো সেই তিমিরেই৷ আর অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর কোন উন্নয়ন নেই। ব্রু জনজাতি নেতারা লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই চুক্তিতে কি আছে তা প্রকাশ্যে আনতে হবে। কেননা, তিপ্রা মথার সাথে চুক্তি নিয়ে রিয়াং সহ বাকি বেশ কিছু ছোটবড় জনজাতি গোষ্ঠী আতঙ্কিত। তাই এই চুক্তিতে কি কি বিষয় গুলো রয়েছে তা জানা দরকার বলে মনে করছেন ব্রু জনজাতি নেতারা। কেননা, ব্রু জনজাতি নেতাদের মতে, আসলে একাংশ তিপ্রা মথার নেতা রিয়াং জনজাতিদের অস্তিত্ব স্বীকার করেননা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ধলাই জেলা সফরে গেলে রিয়াং নেতারা তার সাথে দেখা করে পৃথক এডিসি গঠন সহ ত্রিপাক্ষিক চুক্তির বিষয় সামনে আনার দাবি জানাবে।

বর্তমান এডিসির নামাকরন নতুন করে করার জন্য তিপ্রা মথা টি টি সি করার প্রস্তাব রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। কিন্তু বি আর ইউ নেতারা লিখিত ভাবেই কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীকে এক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন। দাবী করেছেন, টি টি সি নয় টি টি টি সি করা হোক অর্থাৎ ত্রিপুরা ট্রাইব্যাল টেরিটোরিয়‍্যাল কাউন্সিল। পাশাপাশি ভাষা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ব্রু নেতারা দাবি করেছেন, ককবরক তাদের মাতৃভাষা নয়। তাদের মাতৃভাষা কাওব্রু। ককবরক দেববর্মা জনজাতি গোষ্ঠীর ভাষা। তাছাড়া জাতি হিসাবেও তারা তিপ্রাসা নয়। তারা ব্রু জাতি। কিন্তু একটা শক্তি তাদেরকে জোর করে তিপ্রাসা বানাতে চাইছে। একই ভাবে বলপূর্বক ককবরক ভাষাকেও চাপিয়ে দিতে চাইছে। তারা কাউব্রু ভাষার বিকাশ চেয়েছেন৷

সুপার

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে ত্রিপুরায়?

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য প্রশাসনিক স্তরে চলছে আলোচনা। রাজ্য সরকার চাইছে বেসরকারি সংস্থাগুলো রাজ্যে এসে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক। রাজ্য শিল্প কল-কারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এমনটাই বলছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের বাণিজ্য কনক্লেভে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বিনিয়োগকারীদের রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ করেছেন। রাজ্য সরকার সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বর্হিরাজ্যের সংস্থা রাজ্যে মেডিকেল কলেজ স্থাপনে উৎসাহ দেখিয়েছে। অনেক সংস্থা মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে।

বর্হিরাজ্যের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই রাজ্যে হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বিভিন্ন কর্মসূচিতে গিয়ে জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো মনিপুরের সিজা হাসপাতাল। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে জমিয়ে দেওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে। এবার প্রখ্যাত হাসপাতাল উডল্যান্ড রাজ্যে হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে মহাকরণে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। রাজ্যে কি সুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সম্ম্যক ধারণা দেওয়া হয়েছে। উডল্যান্ডের কর্মকর্তারাই বুধবার এ খবর জানিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা কোন রাজ্যে এলে সেই রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব। রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যের কোন মানুষকে যাতে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে না হয়। তার জন্য বহিরাজ্যের প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থাকে রাজ্যে হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উডল্যান্ডের সাথে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা হয়েছে বলে সংস্থার এমডি জানিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বৈঠক হবে। তবে তার আগে শহরের কোন ক্লিনিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এ রাজ্যে এনে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করতে চায় উডল্যান্ড৷ তার মানে বাজার যাচাই করে রাজ্যে বড় পদক্ষেপ নেবে উডলেন্ড। প্রথম ধাপে টেলি মেডিসিন পরিষেবা ও শুরু করতে আগ্রহী তারা। পরবর্তী ধাপে জমি অধিগ্রহণ করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে বলে উডলেন্ডের কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন। এর জন্য রাজ্য সরকারের সাথে প্রয়োজনীয় আরো আলাপ আলোচনা ও হবে বলে তারা জানান। রাজ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বড়ই অভাব। আর সেই অভাবটা পূরণ করতে চাইছে উডলেন্ড। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে উডল্যান্ডের এমডি জানিয়েছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উডল্যান্ডস হসপিটালের এমডি জানান, বিশ্ব মানের উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক পরিষেবা সম্পন্ন চিকিৎসা পরিষেবায় অনন্য নজির গড়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতাল। আর পি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের অঙ্গ এই হাসপাতাল শুধু মাত্র কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গেই নয় সমগ্র পূর্ব ভারতের রোগীদের উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে এক উন্নত নাম। এই হাসপাতালকে আরো আধুনিক করে তোলা হচ্ছে ও ১৫০ টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে কলকাতায় মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এই হাসপাতাল। উন্নত ও আধুনিক পরিষেবায় উডল্যান্ড হাসপাতাল ইতিমধ্যেই এন এ বি এইচ, এন এ বি এল, আই এস ও ২৭০০০ এর অনুমোদন ও স্বীকৃতি প্রাপ্ত। পূর্ব ভারতের প্রথম ক্যাথ ল্যাব এবং বাইপাস সার্জারির ক্ষেত্রে অনন্য সফলতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। রোবোটিক সার্জারীর ক্ষেত্রেও রয়েছে অনন্য সফলতা। রয়েছে ২৫৬ স্লাইস ৭৬৮ রি কনস্ট্রাকশন ডুয়েল এনার্জি মডেল সমাটম ড্রাইভ সি টি সিমেন্স মডেল, মেগনেটম ভেরিও ৩ টেসলা এম আর আই মেশিন যা কার্ডিয়াক এম আর এপ্লিকেশন এ সুফলদায়ক।
রয়েছে অত্যাধুনিক ওটি ও ল্যাব এর পরিষেবা। উডল্যান্ডস হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সি ই ও রূপক বড়ুয়া জানান সম্প্রতি ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রামের এক রোগী খুব জটিল পর্যায়ে ছিল। অন্য কোনো হাসপাতালে অসফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ইন্টারভ্যানসোনাল রেডিওলজি প্রণালীতে চিকিৎসার পর রোগী অনেক সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান। এভাবে শুধু কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ নয় পূর্ব ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও পরিষেবায় ছড়িয়ে পড়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতালের এর নাম। এবার এই হাসপাতাল রাজ্যের মানুষের জন্য পরিসেবা প্রদান করার চিন্তা ভাবনা করছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উডল্যন্ডের পরিচালন কমিটির সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তারা জানান।

বামেরা

বামেদের মেকি দরদ ফাঁস করলেন মন্ত্রী!

বাম আমলে, কৃষকদের যে মূল দাবিকে উপেক্ষিত করা হতো, সেটিই এখন প্রতিবছরের বাস্তব হয়ে হাসি ফুটাচ্ছে কৃষকদের মুখে। সারা রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকে সহায়ক মুল্যে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। প্রতি বছর সহায়ক মুল্য বাড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জিরানীয়ার মাধববাড়িতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবছর ধান ক্রয় প্রক্রিয়ার সুচনা করেন খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের বৃহত্তর স্বার্থে সরকার নির্ধারিত নূন্যতম সহায়ক মূল্যে চলতি খারিফ মরসুমে উৎপাদিত ধান সহায়ক মুল্যে ক্রয় করছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

তিনি বলেন রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কৃষকদের স্বার্থে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন বাম আমলে কৃষকদের প্রতি দরদ দেখানোর নাটক করা হলেও সে সময় তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একবার বিধানসভায় এই ইস্যুতে বর্তমান বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীকে ও কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা করেছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত। কিন্তু এরা যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই, ধান ক্রয় শুরু হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে। যতদিন কেন্দ্রে এবং রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকবে ততদিন এভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। বিগত বাম সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন বিগত দিনে বাম সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোন চিন্তাই করেনি। কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্যে ক্রয় করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বহুবার রাজ্য বিধানসভায় সেই সময়ের বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথ সে সময়ের বাম সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মুল্যে ধান ক্রয় করার। কিন্তু সেই সময় সরকার কোন উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। নিজেরা কিছু না করে তৎকালীন বাম সরকার শুধুমাত্র কেন্দ্রের দিকে আঙুল দেখিয়ে রাখত। মন্ত্রী জানান, এবছর কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৩ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। গত মরসুমে ধান ক্রয় করা হয়েছিল ২১টাকা ৮৩ পয়সা দরে। প্রতি বছর সহায়ক মুল্য বাড়ছে৷ এমনটাই জানান খাদ্যমন্ত্রী। অপরদিকে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন রাজ্য সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষে কাজ করছে। কৃষকরা হলো অন্নদাতা৷ রাজ্যের অন্নদাতারা যাতে ভালো থাকে তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। কৃষকদের আত্মনির্ভর করার জন্য রাজ্য সরকার নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি স্থানে
কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার জন্য সেন্টার খোলা হবে।

কৃষি মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে মোট ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৫৯.৬৯৬ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। তাতে রাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪০৫ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এরফলে উপকৃত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮ হাজার ১২৭ জন কৃষক।উল্লেখ্য সরকার পরিবর্তনের পর রাজ্যে ২০২০-২১, ২০২১-২২ ২০২২-২৩ এই অর্থ বছরে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য উপযুক্ত মূল্যে মোট ১ লক্ষ ৩১ হাজার ২৭৯ মেট্রিক ক্রয় করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ৬৭ হাজার ১৭৮ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন।

উত্তর পূর্বাঞ্চল

উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের বৈঠকে আগত প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাচ্ছে ত্রিপুরা।

উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি অধিবেশনকে ঘিরে নবরূপে সেজে উঠেছে রাজধানীর প্রজ্ঞাভবন। এছাড়া আগরতলার এম বি বি বিমানবন্দর থেকে শুরু করে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, রাজ্য অতিথি শালা, সার্কিট হাউস এবং হোটেল পোলো টাউয়ারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি স্থানে চলছে জোর পর্যবেক্ষন। ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। প্রজ্ঞাভবনে শেষ তুলির টানে ব্যস্ত শিল্পীরা। আধিকারিকরা ক্ষতিয়ে দেখছেন সার্বিক প্রস্তুতি। দুদিনের অধিবেশনে ২০ ডিসেম্বর হোটেল পোলো টাওয়ারে হবে প্রাক কারিগরি অধিবেশন। মূল প্লেনারি অধিবেশন হবে ২১ ডিসেম্বর আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে। এই প্লেনারি অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহ, ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য এম সিন্ধিয়া, ডোনার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ডক্টর সুকান্ত মজুমদার এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীগণ সহ উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ২ জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন। দুদিনের এই অধিবেশনকে সার্বিক সফল করতে রাজ্য প্রশাসনও প্রস্তুত। অতিথিদের আগমন শুরু হয়ে যাওয়ার ফলে আজ থেকেই ব্যস্ততম হয়ে উঠেছে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর। এদিকে বৈঠক উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আজ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। তিনি জানান, এনইসি বৈঠক উপলক্ষে আজ থেকেই আগরতলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে ছয় থেকে সাত হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান। বিএসএফ-কে সীমান্ত এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরপত্তা ব্যবস্থা করার জন্যে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ করা যেতে পারে, এনইসি-র প্লেনারি সেশনে পৌরহিত্য করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বিজেপি

বিজেপি প্রদেশ কার্যালয় তৈরি হচ্ছে আগরতলার নতুন নগরে!

রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ন নতুন নগরে তৈরি হচ্ছে বিজেপির অত্যাধুনিক প্রদেশ কার্যালয়। চারতলা বিশিষ্ট এই ভবনটিতে অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত থাকবে। আজ এই এলাকাটি ঘুরে দেখেন বিজেপি সদর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য ,বড়জলা মন্ডল সভাপতি মুকুল রায় সহ দলীয় কর্মীরা। এলাকা সফর কালে দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রদেশ কার্যালয় স্থাপনের জন্য। অবশেষে সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। আগামী ২২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতশাহর হাত ধরে বিজেপির প্রদেশ কার্যালয়ের শিলান্যাস হবে। ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটি হবে সকাল দশটায় অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।