ব্যাংকগুলি সরকারি প্রকল্পে ঋণ প্রদান করছে না

ব্যাংকগুলি সরকারি প্রকল্পে ঋণ প্রদান করছে না!

ঋণ প্রদানে তালবাহানার অভিযোগ বিভিন্ন ব্যাংকগুলি বিরুদ্ধে!

রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় স্তরের তুলনায় ত্রিপুরায় ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের হার অত্যন্ত কম। ফলে বেকার যুবক-যুবতীরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেলেও, ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ না পাওয়ার কারণে তারা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারছেন না। অর্থমন্ত্রী ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আরও সহজ শর্তে ঋণ মঞ্জুর করে।

রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা কেন্দ্র সরকারের মুদ্রা লোন প্রকল্পের আওতায় ঋণ প্রদানে নানা তালবাহানা করছে। ফলে নতুন উদ্যোক্তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একইভাবে, স্বাবলম্বন প্রকল্প-সহ অন্যান্য সরকারি ঋণ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলোর গড়িমসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্য সরকার বারবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়টি তুলে ধরেছে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নিজেও ব্যাংকারদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, বেকারদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ঋণপ্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, যারা ঋণ নিয়ে নতুন শিল্প গড়ছেন, তাদের সময়মতো ঋণ পরিশোধের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।

মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে, স্বসহায়ক দলের মহিলাদের আর্থিকভাবে সশক্ত করতে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB)। ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের সদস্যাদের ঋণ মঞ্জুর করেছে। এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় তাঁদের হাতে ঋণের চেক তুলে দেন। তিনি বলেন, অন্যান্য ব্যাংকগুলোকেও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা উচিত এবং আরও বেশি সংখ্যক মহিলাকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া উচিত।

অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট করেন যে, রাজ্যের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য ব্যাংকগুলির আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, “জাতীয় স্তরের ব্যাংকগুলোর তুলনায় আমাদের রাজ্যের ব্যাংকগুলি অনেক কম ঋণ প্রদান করছে। তাই আমি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন আরও বেশি ঋণ প্রদানের জন্য এগিয়ে আসে এবং সরকারি প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে।” রাজ্যের অর্থনীতি ও যুবকদের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য ব্যাংকগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঋণপ্রদান প্রক্রিয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ করার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এখন দেখার বিষয়, ব্যাংকগুলি এই আহ্বানে কতটা সাড়া দেয়।About Us