বাজার

বাজার এলাকায় লোক দেখানো অভিযান!

আগরতলা শহরের বাজারগুলির হাল বেহাল!

আগরতলা শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও ঘিঞ্জি এলাকা মহারাজগঞ্জ বাজার, যেখানে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগেই থাকে। নেতাজি সুভাষ রোড, কামান চৌমুহনী, সেন্ট্রাল রোড, এমবিবি ক্লাব সংলগ্ন এলাকা— সর্বত্রই একই চিত্র। একদিকে অবৈধ পার্কিং, অন্যদিকে রাস্তায় লরি থামিয়ে লোডিং-আনলোডিং, ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

এই দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করেই বুধবার ট্রাফিক বিভাগ এক লোক দেখানো অভিযান চালায়। অভিযান পরিচালনা করেন ট্রাফিক সুপার মানিক লাল দাস, যিনি অবৈধ পার্কিংকে যানজটের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করলেও রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা লরিগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। কয়েক বছর আগে নাগিছড়া বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় আনলোডিং স্টেশন চালু করা হলেও, সেটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়নি। এখনও মহারাজগঞ্জ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনলোডিং চলছেই, যা যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ।

আগরতলা পুর নিগমের দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়র দীপক মজুমদার মহারাজগঞ্জ বাজার এবং বটতলা বাজার পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাস্তা দখল করে বর্হিরাজ্যের লরি থেকে মাছ ও অন্যান্য পণ্য আনলোডিং বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু দুই বছর পার হলেও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।

বুধবার ট্রাফিক সুপার মানিক লাল দাস ও পুর নিগমের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার যৌথ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখল মুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিছু ব্যবসায়ীর সামগ্রী জব্দ করা হলেও, তেমন কোনো বড় পদক্ষেপ বা জরিমানা করা হয়নি। ট্রাফিক সুপার জানান, ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করবে, সেটি কেন দখল হয়ে থাকবে?

শহরবাসীর চাওয়া, লোক দেখানো অভিযান নয়, বাস্তবসম্মত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুক সরকার। মহারাজগঞ্জ বাজারের যানজট দূর করতে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে নাগিছড়া আনলোডিং স্টেশন কার্যকর করা ও অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা জরুরি। ভুক্তভোগী মানুষের একটাই প্রশ্ন— যানজট সমস্যা থেকে মুক্তি কবে?