স্কলারশিপ

স্কলারশিপ অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!

উপজাতি পড়ুয়াদের স্কলারশিপ অনিশ্চিত!

স্কলারশিপ না মেলায় উপজাতি পড়ুয়াদের পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সে। বিগত শিক্ষাবর্ষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হওয়া বহু এসটি (তফশিলি জনজাতি) ছাত্র-ছাত্রী বর্তমানে চরম অনিশ্চয়তার মুখে। স্কলারশিপ না মেলায় তাদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে।

মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনেকেই বিএড, ডিএলএড, নার্সিংসহ বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হয়েছিল। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, এসটি ক্যাটাগরির আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পড়াশুনায় আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে, যা তাদের পুরো শিক্ষাবর্ষের খরচ মেটাতে সহায়ক। কিন্তু এ বছর সেই আর্থিক সহায়তা না মেলায়, প্রায় কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী বিপাকে পড়েছে।

২০২৩ সালে যেসব ছাত্র-ছাত্রী প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হয়েছিল, তাদের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ ছিল ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত। আর যারা ২০২৪ সালে ভর্তি হয়েছিল, তাদের জন্য শেষ তারিখ ছিল ২৫ নভেম্বর। কিন্তু হঠাৎ করেই এই সময়সীমা প্রায় তিন মাস আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার কারণ এখনো অজানা। এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের ফলে অনেকেই সময়মতো আবেদনপত্র জমা দিতে পারেনি। অধিকাংশ প্রফেশনাল কোর্সের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা তখনও শেষ না হওয়ায়, দ্বিতীয় বর্ষের স্কলারশিপের জন্য প্রয়োজনীয় মার্কশিট জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা এসটি ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই স্কলারশিপের সহায়তার উপর নির্ভর করেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এই সহায়তা না পেলে তাদের পক্ষে প্রফেশনাল কোর্সের খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে বহু ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াশোনা মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হতে পারে।

এই সমস্যার সমাধানে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সদুত্তর মেলেনি। রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা কি পদক্ষেপ নেবেন, সেই দিকে তাকিয়ে আছেন অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

STN