২০২১ সালের

২০২১ সালের, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন ত্রিপুরায়

২০২১ সালের স্বপ্ন অনুযায়ী, ১০০ শতাংশ বুথে যুবা সভাপতি

২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি; প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজনীতিতে নিঃস্বার্থ ও গঠনমূলকভাবে অবদান রাখার জন্য যুবসম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয় জাতীয় যুব সংসদ উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সেদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো রাজনীতিতেও আজ বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। রাজনীতির আঙিনাতেও যুবসম্প্রদায়ের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী যুবসম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, সৎ মানুষরা এখন কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এর ফলে, রাজনীতির বিভিন্ন অসাধু কাজকর্মের বিষয়ে যে পুরনো ধারণা ছিল, সেগুলি বদলানো সম্ভব হচ্ছে।

২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী যুবসম্প্রদায়কে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এর মাধ্যমে পরিবার-ভিত্তিক রাজনীতির অবসান হবে। “আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য আপনাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। স্বামী বিবেকানন্দের মতো মহান পথপ্রদর্শক আপনারা পেয়েছেন। আর তাঁর অনুপ্রেরণায় আমাদের যুবসম্প্রদায় যদি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন, তা হলে দেশ শক্তিশালী হবেই”। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্যে যুবাদের মূল দায়িত্বে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য বিজেপি। বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে যুবাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বার্তা দিতে চাইল রাজ্য বিজেপি। সিপিএমে যখন যুব নেতৃত্বের অভাব, যুবারা বামেদের থেকে দূরে থাকতেই যখন বেশি আগ্রহী তখন ডাবল ইঞ্জিন অর্থাৎ বিজেপিতে যুবাদের ছড়াছড়ি। সিপিএমের শাখা, অঞ্চল, মহকুমা সম্মেলন শেষ হয়ে এখন চলছে জেলা সম্মেলেন৷ জানুয়ারীতে হবে রাজ্য সম্মেলেন৷ দেখা গেছে সম্মেলেনগুলো থেকে বৃদ্ধদের উপরই ভরসা রাখছেন নেতৃত্বরা৷ তার কারন হলো যুব নেতৃত্বের অভাব। যুবাদের তৈরি করা হয় নি। যে ভুলটা সিপিএম দল করেছিলো সেই ভুল করতে নারাজ শাসক শিবির বিজেপি। ২৫ বছরের বেশি সময় এই রাজ্যে বামেরা শাসন করেছেন। কিন্তু মানিক, বাদল কিংবা জিতেনবাবুরা তাদের উত্তরসূরী বাছাই করেননি। নৃপেনবাবু তাঁর উত্তরসূরি তৈরি করেছিলেন বলেই ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রীত্ব করতে পেরেছেন মানিক সরকার। কিন্তু ক্ষমতা আগলে রাখার জন্যে মানিকবাবুরা ২০ বছরে উত্তরসূরি তৈরি করতে পারেননি। যার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে দলকে। দলে নেই যুবা নেতৃত্ব। ফলে এখন সাংগঠনিক সম্মেলনগুলোতে বুড়োদের ফের দায়িত্বে আনা হচ্ছে। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই দলের কাছে। নেই জনজাতি নেতা। যুব নেতৃত্বের মধ্যেও গ্রহণযোগ্য নেতার অভাব। কিন্তু বিজেপি এই ভুলটা করতে চাইছে না। উল্লেখ করা যেতে পারে এক সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন কী বাত অনুষ্ঠানে যুবাদের এগিয়ে আসার জন্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার মানে রাজনীতিতে যাতে যুবারা এগিয়ে আসে তার জন্যে তিনি আহ্বান করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও চাইছেন আগামীদিনে যুবাদের নেতৃত্বদানের জন্যে তৈরি করা। আর সেটাই করে দেখালো রাজ্য বিজেপি। ২০২১ সালের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন অনুযায়ী; ৬০টি মণ্ডলের মধ্যে এক-দুটি মন্ডল বাদ দিলে বাকি সবকটি মন্ডলে নতুন যুবা মুখ। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে রাজ্য বিজেপিও এবার ৪৫ এর নিচে যাদের বয়স তাদেরকে মন্ডল সভাপতি পদে অভিষিক্ত করেছেন। মাত্র দুয়েকটি মন্ডলে পুরনোদের উপর ভরসা রাখতে বাধ্য হয়েছে বিজেপির শিবির। কারণ তাদের কাজকর্মে দল এবং সেইসব মন্ডলের জনপ্রতিনিধি বা বিজিত নেতারা খুশি। ফলে আগামী দিনে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তাদেরকেই মন্ডল সভাপতি পদে রাখাটা জরুরি বলে মনে করেছেন ওইসব নেতৃত্বরা। মন্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত সারা রাজ্যে ক্ষোভ, গোষ্ঠীবাজির কোন ঘটনা নেই৷ বরং দলীয় কার্যকর্তারা কর্মীদের নতুন সভাপতিদের বরন করে নিতে মাঠে নেমে পড়েছেন। ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলেও তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন নেতারা।