iiiiii

সান্ত্বনা চাকমা অপমানিত অ্যালবার্ট এক্কায়!

বাংলাদেশ বিজয় দিবসে এলবার্ট এক্কা পার্কে অপমানিত হলেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করার কোনো সুযোগ পেলেন না তিনি। সেনাবাহিনীর তরফে তাঁকে এলবার্ট একা পার্কের শহীদ স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অপমানিত মন্ত্রী বিকালের অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতেও রাজ্যে বিজয় দিবস পালিত হয়। অস্বীকার করার উপায় নেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের বীর সেনাদের অবদান ছিলো। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণেই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। সোমবার মুক্তিযুদ্ধে যেসব বীর সেনানীরা শহীদ হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু। এর আগে প্রস্তুতি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো এলবার্ট এক্কা পার্কে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রথমেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল শ্রদ্ধা জানানোর পরেই রাজ্য মন্ত্রিসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য কিংবা সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা একেক করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। জেলাশাসক অফিসের প্রস্তুতি বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো সেই সিদ্ধান্ত মানেনি সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা। দেখা গেছে, রাজ্যপাল এলবার্ট এক্কা পার্কে পৌঁছানোর আগেই সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক আনুষ্ঠানিক ভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর রাজ্যপাল এসে পৌঁছালে তিনি শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জওয়ানদের স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন। এরপর রাজ্যপাল সাইকেল র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের সাথে মিলিত হন। সেইসময় ছিলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। কিন্তু তাকে শহীদ স্তম্ভে গিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়নি। অথচ সেইসময় অতিরিক্ত জেলাশাসক সজল বিশ্বাস, মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিক ভাবেই দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে উপস্থিত সকলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *