প্রচারের আলোকে ফাঁকি দিয়ে দুইদিন ত্রিপুরা সফর করে গেলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। ত্রিপুরায় কেন এলেন, কখন এলেন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ্যে আসার আগেই তিনি আগরতলা বিমানবন্দর দিয়ে রাজ্য ত্যাগ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি আগরতলা বিমানবন্দরে আয়োজিত এক বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এই বিশেষ উদ্যোগে তিনি একটি চারাগাছ রোপণ করেন এবং পরিবেশ সুরক্ষায় এমন প্রকল্পের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি সকলকে ত্রিপুরার সৌন্দর্য উপভোগ করতে উৎসাহিত করেন।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সংস্থা তাদের ৮০তম বর্ষপূর্তিতে সারা দেশে ৮০,০০০ চারাগাছ রোপণের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আগরতলা বিমানবন্দরে ১,৫০০ চারাগাছ রোপণ করা হবে। সবুজায়নের পাশাপাশি, এএআই পরিবেশবান্ধব বিমানবন্দর তৈরিতে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য নিয়েছে।
এরিক গারসেটি আগরতলার উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বৃক্ষরোপণকে সুস্থ ভবিষ্যৎ এবং মজবুত বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করেন। ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং নারী উদ্যোগিদের কাজ দেখে তিনি অভিভূত হন।
রাষ্ট্রদূত গারসেটি আমেরিকানদের ত্রিপুরার অনন্য সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস আবিষ্কার করার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “ভারত শুধু বড় শহরগুলির জন্যই নয়, আগরতলার মতো বৈচিত্র্যময় অঞ্চলগুলির জন্যও বিশেষ।”
দুই দিনের সফর চলাকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে অবস্থান করেছিলেন। এরপর প্রগতি রোড সংলগ্ন এলাকায় জনজাতি যুবদের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। যদিও গোটা বিষয়টি প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে ছিল। বাংলাদেশে যখন অস্থির পরিস্থিতি চলছে সে জায়গায় অনেকটা গোপনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ত্রিপুরা সফর নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই মার্কিন সংযোগ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ঝটিকা সফরের অন্য কোন তাৎপর্য আছে কিনা সেটা বলবে সময়ই।