একটা সময় রাজ্যের মাত্র দেড় শতাংশ ভোটের ভাগিদার ভারতীয় জনতা পার্টির এবারের সদস্য সংখ্যা এপর্যন্ত ১২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২১ শে নভেম্বর পর্যন্ত সদস্যতা অভিযান চলবে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা রাজ্যে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যে বিজেপির সদস্যতা অভিযানের ইনচার্জ বিধায়ক ভগবান দাস নিশ্চিত করেছেন, ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৩ লক্ষ ছুয়ে যাবে।
বিধায়ক শ্রী দাস পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, শনিবার পর্যন্ত মোট ১২ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৯২ জন বিজেপির সদস্যতা নিয়েছেন।
গোটা দেশে ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠন পর্ব ২০২৪ শুরু হয়েছে। তার প্রথম পর্যায় হলো সদস্যতা অভিযান। গত ২ রা সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে এই সদস্যতা অভিযানের শুরুয়াত্ করেন। তার পর দিন অর্থাৎ ৩ রা সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা সদস্যতা গ্রহণ করে রাজ্যেও সংগঠন পর্বের সূচনা করেন। দলীয় সূত্রে খবর, গোটা এই সদস্যতা অভিযানে রাজ্যের ইনচার্জ করা হয় বিধায়ক ভগবান দাসকে। দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রতিটি জেলাতেই সদস্যতা অভিযানকে সফল করার জন্য তিনি প্রবাস কাটিয়েছেন দিনের পর দিন।
তবে জনজাতি অধ্যুষিত টাকারজলা ও রাইমাভ্যালী বিধান সভা কেন্দ্রে সদস্য সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও সবচেয়ে বেশি সদস্য হয়েছে সদর মহকুমায়। মন্ডলের হিসাবে সবচেয়ে বেশি সদস্য হয়েছে মোহনপুর মন্ডলে। আর জেলার হিসাবে সবচেয়ে কম সদস্য হয়েছে সিপাহীজলা জেলায়।
কিন্তু সিপাহীজলা জেলায় ধনপুর, বক্সনগর, বিশালগড় ও নলছড়ের মতো
বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকার পরও কেন সিপাহীজলা জেলায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা কম হলো? এই প্রশ্নের কোন ব্যাখ্যা কিন্তু দলের তরফে নেই। অথচ সি পি আই এম দলের দখলে থাকা বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রে সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁই ছুঁই। তারপর পরও এবার ত্রিপুরার সদস্যতা অভিযান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, গোটা দেশে বিজেপির সদস্যতা অভিযান সরাসরি তদারকি করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব জে পি নাড্ডা এবং দলের সর্বভারতীয় সংগঠন মহামন্ত্রী বি এল সন্তোষ। যতটুকু খবর, উভয় কেন্দ্রীয় নেতাই ত্রিপুরার সদস্যতা অভিযান নিয়ে সন্তোষ ব্যাক্ত করেছেন।
এক্ষেত্রে সদস্যতা অভিযানের ত্রিপুরার ইনচার্জ বিধায়ক ভগবান দাস জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যেই মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিজেপির সদস্যতা গ্রহন করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, সদস্যতা অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো, ভারতীয় জনতা পার্টিকে সর্বব্যাপী এবং সর্বস্পর্শী করে তোলা। অর্থাৎ সমাজের সকল শ্রেণী ও সমাজের কাছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নিয়ে যাওয়া। তার জন্য প্রতি ৬ বছর পর পর বিজেপির সংগঠন পর্ব শুরু হয়। সদস্য পদ গ্রহন প্রথম ধাপ। তারপর শুরু হবে বুথ স্তর থেকে শুরু করে মন্ডল, জেলা ও প্রদেশ কমিটি নির্বাচন। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে এটা ঘটনা সমস্ত শ্রেনী ও সমাজের আস্থা রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি। সদস্যতা অভিযানে স্বতঃস্ফূর্ততা তা প্রমান করছে।