November 15, 2024
স্ট্রেইট লাইনস নিউজ প্রতিনিধি, আগরতলা:- দেশের গর্ব, অত্যাধুনিক দ্রুতগামী ট্রেন “বন্দে ভারত এক্সপ্রেস” এবার আগরতলায় আসতে চলেছে। ত্রিপুরার রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, এই উদ্যোগটি ত্রিপুরাবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে যাত্রা করবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি শুধু যাতায়াতের সময় কমাবে, তাই নয়, পাশাপাশি রাজ্যের মানুষদের যাত্রা আরও আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী করবে। এই ট্রেনের আগমন ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পে বিশাল ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ এটি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সাথে আগরতলার সংযোগ আরও মজবুত করবে। এতে রাজ্যের পর্যটন, ব্যবসা ও বাণিজ্যে আরও গতি আসবে এবং রাজ্যের অর্থনীতি নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি উচ্চমানের আরাম এবং দ্রুতগামী পরিষেবার জন্য পরিচিত। এতে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধাসমূহ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এয়ার-কন্ডিশনড কোচ, স্বয়ংক্রিয় দরজা, উন্নত মানের আসন, এবং ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। এই ট্রেনটি বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় পরিবেশবান্ধব। এতে স্পিড অ্যাক্সিলারেশন ব্যবস্থাও উন্নত, যার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি গতি অর্জন করতে সক্ষম হয়। বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন বড় শহরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে এবং যাত্রীরা এর পরিষেবা ও সুবিধা নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বের একটি সীমান্তবর্তী রাজ্য, যার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সবসময়ই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই ট্রেনটির আগমনের ফলে ত্রিপুরা এবং আশপাশের রাজ্যগুলির সঙ্গে একটি শক্তিশালী সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্যের মতে, এই ট্রেনের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে ত্রিপুরার সংযোগ আরও সহজ হবে, যা ত্রিপুরার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আগমন রাজ্যের পর্যটন শিল্পে নতুন গতি আনবে। ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, নীরমহল, এবং ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের মতো জনপ্রিয় স্থানগুলির সঙ্গে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের যোগাযোগ সহজ হবে। এই ট্রেনের মাধ্যমে ত্রিপুরা আরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। বিশেষ করে যেসব পর্যটক উন্নতমানের দ্রুত ও আরামদায়ক যাত্রা পছন্দ করেন, তারা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ত্রিপুরায় আসতে আগ্রহী হবেন।
সরকার এবং সাধারণ মানুষের আশা
ত্রিপুরার সরকার এবং সাধারণ মানুষ উভয়ই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্যের মতে, এই ট্রেনটি ত্রিপুরার মানুষের জন্য একটি উন্নয়নের সূচনা এবং একটি সম্মানজনক পদক্ষেপ। দেশের অন্যান্য বড় শহরের মতো এখন ত্রিপুরাও উন্নত ট্রেন পরিষেবার আওতায় আসবে।