উদয়পুরের

উদয়পুরের রমেশ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস!

উদয়পুরের রমেশ ইংরেজি মাধ্যম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ষব্যাপী প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, গোমতী জেলার জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা প্রমূখ। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন রমেশ স্কুল শুধু উদয়পুরে নয় গোটা রাজ্যে এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও সমাদৃত। রমেশ স্কুলের ছাত্ররা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে এমনকি বিজ্ঞানী হিসেবেও কাজ করছেন। এটা শুধু উদয়পুরের গর্ব নয় সারা রাজ্যের গর্ব। তিনি বলেন, এই স্কুলের সুনামকে ধরে রাখার দায়িত্ব এই বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষার প্রসারের জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত প্রকল্প গুলি নিয়ে হাতে নিয়েছে সেগুলি সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। এর আগে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এ বিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে বর্তমান সরকার যে সমস্ত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তার একটা রূপরেখ তুলে ধরেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়কে উদয়পুর রমেশ প্রাক্তনীর আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়। তাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং মানপত্র দিয়ে সম্বর্ধিত করা হয়।

রাজ্যে

রাজ্যে এখনো ম্যালেরিয়া আয়ত্তের মধ্যে আসেনি!

রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে তথ্য ঘাটলে দেখা যাবে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমেছে। এর একমাত্র কারন হলো, ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবির, আশা কর্মীদের নজরদারি বৃদ্ধি। বলা যায় মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার নির্দেশে এখন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে রক্ত সংগ্রহ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিসেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করছে৷ গত বছর তথা ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ৯ হাজার ৭৭০ জন।যা ২০২৩ সাল থেকে অনেক কম। স্টেট ম্যালেরিয়া বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে ২০২৩ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২৪১২ জন। এছাড়া ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জেলা হচ্ছে ধলাই।ঐ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮২০জন। গত বছর আক্রান্ত এলাকাগুলিতে ওষুধি মশারি বিতরণ করা হয়েছে ৯ লাখ পঁচিশ হাজার ১৮৫ টি। এছাড়া স্বাস্থ্য দপ্তর আক্রান্ত এলাকাগুলিতে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য শিবির জারি রেখেছে। শুধু তাই নয় আক্রান্ত এলাকাগুলিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর রক্ত পরীক্ষা করছে। যার ফলে ম্যালেরিয়া চিহ্নিতকরণ এর কাজ খুব দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। রাজ্যে গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৯৮ জন।তার মানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে ও কোন মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে নি।

গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪০৩৪ জন। এই সময়ে ২০২৩ সালে সংখ্যাটা ছিল ৫৬০০জন। ২০২৭ সালের মধ্যে রাজ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তবে এটাও ঠিক, ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় মাসে দুবার স্বাস্থ্য শিবির করার কথা থাকলেও কিছু কিছু জায়গায় একবারও স্বাস্থ্য শিবির করা হয় নি। এই সময়ে প্রত্যন্ত জনপদে জলবাহিত রোগের সাথে পাল্লা দিয়ে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটে। কিন্তু আগাম স্বাস্থ্য দফতর ব্যবস্থা নিলে কিংবা স্বাস্থ্যশিবির নিয়মিত ভাবে সংগঠিত করলে ম্যালেরিয়ার আক্রমণ থেকে জনজাতি অংশের মানুষ রেহাই পেতে পারেন। যদিও গত কয়েকবছর ধরে ম্যালেরিয়ায় কোনো মৃত্যু নেই। তবে আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকা হচ্ছে ধলাই জেলা। গত বছর এই জেলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে। এই জেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১৪৬ জন। তবে এ বছর ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাগুলিতে ঘন ঘন স্বাস্থ্য শিবির করার কাজটি আগে থেকেই নেওয়ার ফলে এই বছর ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। লংতরাইভ্যালি মহকুমার পূর্ব ও পশ্চিম মালিধর, থালছড়া, গর্জন পাশা, গোবিন্দবাড়ি, তুই পাবাড়ি সহ ধলাই জেলার গঙ্গানগর, গণ্ডাছড়া, আমবাসা, করবুক, শিলাছড়ি, সাব্রুমের মাগরুম এলাকায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় জনজাতি অংশের শিশু ও বৃদ্ধরা৷ রাজ্যে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার প্রকোপে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু এখন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নত পরিষেবার ফলে ম্যালেরিয়ায় সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

তবে উদ্বেগ রয়েছে। ২০১৪ সালে ত্রিপুরায় ম্যালেরিয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। ওই বছর ৫১ হাজার ২৪০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তেমনি ২০১৬ সালে ৩২ হাজার ৫২০ জন ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালে সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ওই বছর ১২ হাজার ৭৭১ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু একজনও মারা যাননি। এবারো ম্যালেরিয়া ভয়াবহ আকার ধারন করে নি। রাজ্যে ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হয়। ওষুধ থেকে শুরু করে রক্ত পরীক্ষার কিট পর্যাপ্ত রয়েছে। দপ্তর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে রক্ত পরীক্ষার উপর। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও সঠিক চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন রোগীরা এবং দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন। ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক উদ্যোগের পাশাপাশি ঔষধ যুক্ত মশারি বিতরণ ও ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করা, ধরা পড়লে ওষুধ দেওয়া, গুরুতর আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে আসা, ও ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাগুলিতে ঘন ঘন স্বাস্থ্য শিবির করা, এই কাজটি আগে থেকেই নেওয়ার ফলে গত বছর ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে এটাও ঠিক যে প্রত্যন্ত এলাকায় দফতরের তেমন নজরদারি নেই। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ না করার কারণে জনজাতি অংশের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। নেই স্বাস্থ্য শিবির। যাদের একটু সামর্থ্য রয়েছে তারা হাসপাতাল কিংবা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটে এলেও বাকিরা ওঝাদের উপর নির্ভরশীল। ঘরেই কাতড়াতে হয় শিশু থেকে বৃদ্ধ। লংতরাইভ্যালি মহকুমার সীমান্ত এলাকার জনপদগুলোতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। ফলে তারা চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পারছেন না।সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা কিছু কিছু জায়গায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও বাকিদের সমস্যা বাড়ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা স্বাস্থ্য পরিষেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাইছেন। তৃণমূল স্তরের মানুষ যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে পারেন তারজন্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ।

পর্যটক

পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য সম্পূর্ণ প্রয়াস জারি আছে।

পর্যটকদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বুধবার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ পরিসরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্যটকদের জন্য ১৬ আসনের ২ টি বাস ও ১০ টি প্যাডেল বোটের সূচনা করেছেন। এই প্যাডেল বোট গুলো রাজবাড়ী দীঘিতে চলবে। মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে রাজ্যের পর্যটনকে একটি বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কাজ করছে। তিনি জানান, রাজ্য ও বহিরাজ্যের পর্যটকদের জন্য দুটি বাস কেনা হয়েছে। এই বাস দিয়ে রাজ্যের দর্শনীয় স্থানগুলি পরিদর্শন করানো হবে। তিনি আরও জানান, নীরমহল, নারিকেল কুঞ্জ, ছবিমুড়া সহ রাজ্যের যে জলাশয়গুলিতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সেখানে প্যাডেল বোট দেওয়া হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ টি প্যাডেল বোট দেওয়া হবে। বাকি আরও ৫০ টি বোট আনা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যরা।

বিধানসভার

বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে কি রয়েছে কোন নতুন চমক?

বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে আগামী ১০ তারিখ থেকে। এটি হবে ত্রিপুরার ত্রয়োদশ বিধানসভার ষষ্ঠ অধিবেশন। আজ বিধানসভায় আয়োজিত বিজনেস এডভাইজারি কমিটির বৈঠকে এই অধিবেশনের যাবতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের পৌরহিত্যে আয়োজিত এই বৈঠকে নির্ধারিত হয়েছে, অধিবেশন চলবে তিনদিন। বছরের প্রথম অধিবেশন হওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে অধিবেশনের কাজ। অধিবেশনের প্রথম দিন, শুক্রবার রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি ভাষণ প্রদান করবেন। এছাড়া বিএসসির বৈঠকে নির্ধারিত কর্মসূচি মতাবেগ পরিষদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, তিন দিনের এই অধিবেশনে দুটি বিল উত্থাপিত হবে। বিল গুলির মধ্যে বিধানসভার সদস্যদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয় থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রতন লাল নাথ। এছাড়াও থাকবে প্রশ্নোত্তর পর্ব সহ রাজ্যপাল প্রদত্ত ভাষণের উপর আলোচনা। শ্রীনাথ জানিয়েছেন, রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া বিশেষ কোন কর্মসূচি না থাকার কারণে অধিবেশন তিন দিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মার্চ মাসের মধ্যেই পরবর্তী অধিবেশন আহ্বান করতে হবে। সেই অধিবেশনে পেশ করা হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। এদিন বিজনেস এডভাইসারি কমিটির বৈঠকে সব দলের সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্রীনাথ। তিনি বলেন সর্বসম্মতিক্রমে অধিবেশনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে।

রাজ্যে

রাজ্যে পরিবর্তন হলো মুখ্য তথ্য কমিশনারের মুখ!

রাজ্যের নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসেবে শপথ নিলেন অবসরপ্রাপ্ত আই এফ এস অফিসার বিনয় শংকর মিশ্র। রাজভবনে আজ সকালে এক অনুষ্ঠানে নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনারকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু। রাজ্যপালের অফিস কক্ষে আয়োজিত এই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালের সচিব ইউ কে চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা শাসক ডাক্তার বিশাল কুমারসহ অন্যান্য আধিকারিকরা। শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের সচিব অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। শেষে রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার বিনয় শংকর মিশ্রকে করমর্দন করে শুভেচ্ছা জানান।

অবৈধ

অবৈধ অর্থের বিনিময়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে অটোর রোডম্যাপ

অবৈধ অর্থের বিনিময়ে প্রাপ্ত পারমিট বাতিল করবে পরিবহন দপ্তর; আগরতলা পুরো নিগম এলাকায়। আগরতলা পুরো নিগম এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ রয়েছে। তারপরেও পরিবহন দপ্তরের সক্রিয় একটি চক্র পেছনের দরজা দিয়ে অবৈধভাবে পারমিট পাইয়ে দিচ্ছে। গত ২৫ ডিসেম্বর জিবি – বণিক্য চৌমুহনি রুটের অটোচালকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তারা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছিল। কিভাবে অন্যরুটের অটোগুলো জিবি বণিক্য চৌমুহনি রুটে চলাচল করছে। কে পারপিট দিচ্ছে। প্রশ্ন তুলেছিল তারা? পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নজরে পড়ে বিষয়টি। তার নির্দেশে পরিবহন দপ্তর অটোরিকশা মজদুর সংঘের নেতৃত্বদের ডেকে মঙ্গলবার বিস্তারিতভাবে জেনে নেয় এবং কে বা কারা পারমিট দিয়েছে বা দিচ্ছে তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে। জিবি এবং বণিক্য চৌমুহনী রুটে অবৈধভাবে দেওয়া পারমিট গুলো বাতিল করা হবে বলে পরিবহন দপ্তর থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে অটো রিক্সা মজদুর সংঘের পশ্চিম জেলার সাধারণ সম্পাদক লিটন মোদক জানিয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে আগরতলা শহরের সর্বত্র শর্ট পারমিটের অটোগুলো চলাচল করার কারণে ইদানিং যানজট বেড়েছে। রুট পরিবর্তন করে কি করে তারা শহরের রাস্তায় চলাচল করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।ট্রাফিক বা পরিবহন দপ্তরের কোন ভূমিকা নেই। বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকেও অটোগুলো এসে শহরের রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছে। রাজ্য সরকার বলছে পুরনিগম এলাকায় অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, পারমিট প্রদান বন্ধ হলে বিভিন্ন রূটে কিভাবে প্রতিদিন যাত্রীবাহী অটোর সংখ্যা বাড়ছে। তার মানে পরিবহন দপ্তরে একটা চক্র সক্রিয়। বাম আমলের মত রাম আমলেও অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য পারমিট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।

পরিবহন দপ্তর পারমিট না দিলেও অর্থের বিনিময়ে অটোর রোড ম্যাপ পরিবর্তন হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ অটো চালকদের অন্য রুটের পারমিটপ্রাপ্ত অটোগুলো শহরে বেআইনিভাবে চলাচল করছে। এতে করে প্রতিদিন শহরে যানজটে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কি করে শর্ট পারমিটের যাত্রীবাহী অটোগুলো শহরের রাস্তায় চলাচল করছে, সেটাই প্রশ্ন। আবার পরিবহন দপ্তরে একটি চক্র গজিয়েছে। মোটা টাকার বিনিময় রুট পারমিট চেঞ্জ করে দিচ্ছে। এরকম অভিযোগ ও উঠেছে। আগরতলা পৌর নিগমে অটোর পারমিট প্রদান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। তারপরেও কি করে প্রতিদিন শহরে অটো বাড়ছে সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। গত কয়েক মাস ধরে অটো চালকরা লক্ষ্য করছে জিবি থেকে বণিক্য চৌমুহনী রোডে দিন দিন অটোর ভিড় বাড়ছে। কোথা থেকে এলো এত অটো। অটো গাড়ির পারমিট না দেওয়ার পরেও কিভাবে এলাকায় অটোর সংখ্যা বাড়ছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এগুলি খয়েরপুর, রাজচন্তাই, রানীর বাজার, মোহনপুর, জিরানিয়া, আনন্দনগর সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার অটো। শর্ট পারমিটের অটোগুলির কারণে জিবি থেকে বণিক্য চৌমুহনী রোডে চলাচলকারী অটো চালকরা অসন্তুষ্ট। কারণ তাদের পেটে লাথি পড়ছে।শহর এলাকায় অটোর পারমিট দেওয়া বন্ধ থাকলেও কি করে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের অটোগুলো শহরে চলাচল করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অটোচালকরা। এতে করে জিবি – বণিক্য চৌমুহনী রুটের পারমিট প্রাপ্ত অটো চালকরা প্রতিদিন মার খাচ্ছে। তাদের রোজগার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

মূলবৃদ্ধির বাজারে পরিবার প্রতিপালন করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তাদের প্রশ্ন শহরে অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ তারপরেও কিভাবে প্রতিদিনই নতুন নতুন অটো শহরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। টাকার বিনিময়ে রুট পরিবর্তন করে পারমিট নিয়ে নিচ্ছে একাংশ অটো চালক। এমনটাই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন অটো চালকরা। পরিবহন দপ্তরে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় গত এক বছরে খয়েরপুর থেকে রাজচন্তাই, চন্দ্রপুর থেকে আনন্দনগর এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার অটোর রোডম্যাপ করে দেওয়া হয়েছে জিবি থেকে বনিক্য চৌমুহনী পর্যন্ত। তাদের বক্তব্য শুধু জিবি – বনিক্য চৌমুহনি রুটই প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ টি অটো চলাচল করে। গত কয়েক মাসে এই সংখ্যাটাও বেড়ে গেছে। এখন শতাধিক যাত্রীবাহী অটো এই রুটে চলাচল করছে বলে অটো চালকরা জানিয়েছেন। তারা জানান, এখন প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করতে অটোচালকদের হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর রয়েছে টমটম, ই-রিক্সার দাপট। যেভাবে বেআইনি অটোর সংখ্য বাড়ছে তাতে আগামী দিনে এই রুটের অটো চালকদের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার করতে হিমসিশ খেতে হবে। কোন ধরনের আগাম নোটিশ জারি না করে মোটা অর্থের বিনিময়ে বাঁকা পথে রোড ম্যাপ পরিবর্তন করার পারমিট দিয়ে চলেছে বলে পরিবহন দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন অটো চালকরা। তবে পরিবহন দপ্তরের ভুমিকায় খুশি অটো চালকরা।

2025

2025 শুরুর সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর

2025 শুরুর সাথে সাথে চলার পথে আমরা এগিয়ে গেলাম আরো একটি বছর। ২০২৪ এর ঘড়ির কাটা ১২টা অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে চলে এলো আরও একটি বছর। আরও একটি বছর হারিয়ে গিয়ে শুরু হলো নতুন বর্ষ গণনা। সব ব্যথা-বেদনা, দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন আলোর প্রত্যাশায় সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যেও বরণ করে নেওয়া হয়েছে নতুন বছরকে। স্বাগতম ২০২৫। পুরনো বছরের যা কিছু মলিনতা সমস্তটাই পিছনে ফেলে নতুন আশা এবং নয়া উদ্যম নিয়ে 2025 সালে পদর্পণ। একবিংশ শতাব্দিতে যুক্ত হল আরও একটি নতুন বছর। এদিকে, শব্দবাজি ফোটানোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নতুন বছর বরণ করছে রাজধানীবাসী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে 2025 সালকে স্বাগত জানানো হয়। আতশবাজির ঝলকে রঙিন হয়ে ওঠে শহরের আকাশ। এর সঙ্গে রয়েছে পটকার শব্দ, আকাশে শত শত ফানুস। সব নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বরাবরের মতো এবারও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ছিল সবকিছুই। নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা থাকে নাগরিকের। কারণ অতীতের পথ ধরেই সাজাতে হয় বর্তমান। আর সেজন্যই অতীতকে মনে রাখতে হয়। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০২৪ একটি ঘটনাবহুল বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে বছরটির কথা মনে থাকবে অনেক দিন। ২০২৪ সালে আমরা যেমন হারিয়েছি অনেক, তেমন প্রাপ্তি যোগও রয়েছে।

বছরের শেষ দিনে আগরতলার শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যুবক যুবতীদের বা টিনেজারদের এতটা ভিড় ছিল না। গভীর রাত পর্যন্ত স্বাভাবিক ছন্দেই ছিল রাজধানী আগরতলা। তবে রাত ১২ টার পর শহরের বেশ কিছু রাস্তায় গাড়ি নিয়ে দাপাদাপি করতে দেখা গেছে কিছু যুবকদের। তবে হোটেলগুলোতে রকমারি আয়োজন ছিল। বছরের শেষ রাতে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক ছিল পুলিশ। অধিক রাত পর্যন্ত আগরতলা সিটি সেন্টার সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নজরদারি ছিল। রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের সর্বত্র বছরের শেষ দিনটি ভালই ভালই কেটেছে। শহরের বেশকিছু ক্লাব ও সামাজিক সংস্থা নিজেদের মত করে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন। হয়েছে পিকনিকের আয়োজন। পাশাপাশি রাত বারোটায় বাজি পটকা পুড়িয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন এই শহরের মানুষ।