বামেদের

বামেদের সমালোচনায় বীরজিত

বামেদের সাথে কংগ্রেসের মধুচন্দ্রিমার অবসান এবার কি অবশ্যম্ভাবী? রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ সি.পি.আই.এম দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিত সিনহা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, দুজনেই সম্প্রতি কৈলাসহরে দলের সম্মেলনে প্রকাশ্যে বীরজিতের ভুমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন৷ তাদের বক্তব্য ছিল সিপিএমের ভোটে জয়ী হয়েও বীরজিত সিপিএমের সমালোচনায় মেতে উঠেছে।

কংগ্রেসের সাথে আসন রফার কারনেই সিপিএম সিটিং বিধায়ককে টিকিট দেয় নি৷ গত ১৭ ডিসেম্বর কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী কংগ্রেস দল এবং বিধায়ক বিরজিত সিনহাকে নিয়ে আক্রমনাত্মক বক্তব্য রেখেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরজিত সিনহা এর পাল্টা জবাব দিলেন। বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছিলেন , ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম দলের মধ্যে জোট না হলে এবং সি.পি.আই.এম দলের কর্মী সমর্থকরা ভোট না দিলে বিরজিত জিততে পারতেন না এবং বিধায়কও হতে পারতেন না। এর উত্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক বিরজিত সিনহা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, জোট না হলেও জিততাম। কৈলাসহর কেন্দ্র থেকে ছয়বার ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন পাঁচবারই সি.পি.আই.এম দলের প্রার্থীকে হারিয়ে ভোটে জিতেছেন। এই পাঁচবারের মধ্যে একবার এক সি.পি.আই.এম দলের মন্ত্রীকে এবং সি.পি.আই.এম দলের হিন্দু নেতাকে এবং দুইবার সি.পি.আই.এমের সংখ্যালঘু নেতাকে ভোটে হারিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালের ভোটে হারের কোনো সুযোগ ছিলো না। তাছাড়া রাজ্যে ২০১৮সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর ২০১৯সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কৈলাসহর আসনেই কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় দুই হাজার ভোটে লিড নিয়েছিলো। ২০১৯ সালে কংগ্রেস সি.পি.আই.এম জোট ছিলো না। ২০২৩ সালে জোট হয়েছে। কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে। তবে জোট না হলেও জিততেন বলে জানান তিনি । জিতেনবাবু কৈলাসহরে যেভাবে বীরজিতের বিরুদ্ধে কটুক্তি করেছেন তার তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানান। বিরজিত সিনহা জানান, জিতেনবাবু সতেরো ডিসেম্বর কৈলাসহরের দলীয় সভায় প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে মঞ্চে রেখে দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখার কারনে মানিক সরকার পরবর্তী সময়ে বক্তব্য রাখতে রাজি ছিলেন না। কারন, বেশির ভাগ দলীয় কর্মী সমর্থকরাই চলে গিয়েছিল।ফাঁকা মাঠে মানিকবাবু বক্তব্য রাখতে চান নি বলে জানান বীরজিত সিনহা। জিতেনবাবুর অহংকার হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি । উনি একজন জনজাতি নেতা। ২০২৩সালের বিধানসভা ভোটে জনজাতি সংরক্ষিত আসনে না দাঁড়িয়ে সাব্রুমে সাধারণ আসনে দাঁড়িয়ে দুইশো থেকে আড়াইশো ভোটে জিতেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রদ্যোত কিশোর ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে সাব্রুম আসনে দলীয় প্রার্থী দিতো তাহলে জিতেনবাবু কত হাজার ভোটে হারতেন তা রাজ্যের সবাই জানে। সুতরাং বলতে হয় বলেছেন। সম্প্রতি আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসকে বিশ্বাসঘাতক বলায় পরবর্তী সময়ে সি.পি.আই.এম দলকে পরগাছা অর্থাৎ স্বর্নলতা বলেছিলেন বীরজিত। সি.পি.আই.এম দল দেশের কোথাও নেই। শুধু কেরলে আছে তাও লোকসভায় নেই, সামনে ওরা জিরো হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন বীরজিত। ২০২৩সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সি.পি.আই.এম দল ৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৪শতাংশ ভোট পেয়েছিলো। আর, কংগ্রেস দল ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৩৯শতাংশ ভোট পেয়েছে। কংগ্রেসই বিজেপি দলের সাথে সমানে সমানে লড়াই করে। অন্যদিকে সারা রাজ্যে বিজেপি চল্লিশ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে জোট শরিক আই.পি.এফ.টি দলের এক শতাংশ ভোট যোগ করে একচল্লিশ শতাংশ হয়েছে।জিতেনবাবু তার বক্তব্যে উনার নিজের পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও বিধায়ক বিরজিত সিনহা বলেন, সুধীর রঞ্জন মজুমদার রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং রাজ্যসভার ছয় বছরের সাংসদ ছিলেন। উনার বাড়িতে বাম আমলে মাত্র দুজন পুলিশ দেওয়া হতো। সুধীরবাবুকে কোন সুযোগ সুবিধা দিতে রাজি ছিলো না তৎকালীন সি.পি.আই.এম সরকার। একটি করনিক পর্যন্ত দিতে চায়নি। সেইসময় কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে বিধানসভার স্পীকারকে বার বার বলার পর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো যে, কিছুই দেওয়া হবে না। আর, এখন প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বিলাসবহুল গাড়ি চড়েন। দ্বিতল বিশিষ্ট ডুপ্লেক্সে থাকেন। গাড়ির তেল কে দেয়? গাড়ির ড্রাইভারের বেতন কে দেয়? প্রশ্ন তুলেন তিনি।

২০২৪সালের আগস্ট মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম দলের মধ্যে কোনো জোট হয়নি বলেও তিনি জানান। পঞ্চায়েত ভোটের ফল ত্রিশংকু হবার পর পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস দল থেকে প্রধান এবং সি.পি.আই.এম দল থেকে উপপ্রধান হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে জিতেন চৌধুরী শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় সভায় এসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস, বিজেপি এবং তিপ্রা মোথাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন এবং কুৎসা করে গেছেন। অথচ এর কিছুদিন পর জিতেন বাবুর নির্দেশ পেয়ে সি.পি.আই.এম দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা কংগ্রেস দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয় এবং বিজেপি দলের সাথে মিলে পঞ্চায়েত গঠন করে। এটা কি ধরনের নীতি হলো? এমনটাই প্রশ্ন বীরজিতের। কৈলাসহর শহরে এসে দলীয় মহকুমা কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য জনসভায় যেভাবে কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং বিষোদগার করেছেন ঠিক সেইভাবে সাহস থাকলে আশারাম বাড়ি, রামচন্দ্রঘাটে কিংবা খোয়াইতে গিয়ে এভাবে প্রকাশ্য জনসভা করে দেখান বলে চেলেঞ্জ ছুড়ে দেন। কিছুদিন পূর্বে ধর্মনগরে তো প্রকাশ্য জনসভা করার সুযোগই পায়নি এবং অনুমতিও আদায় করতে পারে নি। জিতেনবাবু বলছেন সি.পি.আই.এম দলের জন্য কংগ্রেস পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছে। অথচ, সি.পি.আই.এম দল পঞ্চায়েত ভোটে কৈলাসহরে ৯৯শতাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারে নি। সি.পি.আই.এম দলের দশজন বিধায়ক তাদের এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন জমা দিতে পারেনি। কারন উনারা একেবারেই জনভিত্তি হারিয়ে ফেলেছেন। আগামী দিনে জিরো হয়ে যাবে সিপিএম।এমনটাই বলেন তিনি।

ত্রিপুরা

“ত্রিপুরা হামবগত আমি” এক নতুন বৈরী সংগঠন!

ত্রিপুরা রাজ্যে জন্ম নিলো নতুন বৈরী সংগঠন ‘ত্রিপুরা হামবগত আমি’। ফের অস্থিরতা শুরু হতে পারে রাজ্য সহ গোটা দেশে। এমনটাই সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। আতঙ্কিত সীমান্ত এলাকার মানুষ। নতুন বৈরী সংগঠনের চাঁদার রসিদ বিতরণ শুরু। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতে বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে বড়সড় ঘাঁটি গেড়েছে নতুন বৈরী সংগঠন। ত্রিপুরায় অশান্তি সৃষ্টির নীল নক্সার পর্দা ফাঁস করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে ৮০-র দশকে তাণ্ডব সৃষ্টিকারী এটিটিএফ, এনএলএফটি, টিএনভি’র মতো বৈরী সংগঠনের অস্তিত্ব যখন রাজ্য থেকে মুছে গেছে ঠিক তখন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সে দেশের কট্টরপন্থীরা নতুন করে উৎপাত শুরু করে দিয়েছে।

রাজ্যে নাশকতার জন্য নতুন জঙ্গি সংগঠনের সৃষ্টি করছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৭২ জন জঙ্গিকে নিয়ে নতুন বৈরী দল তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ওপারে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিপুরা হামবগ্রত আমি’। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের কট্টরপন্থী জেহাদি সেনাদের এবং পাকিস্তানের সেনাদের কাজে লাগাতে শুরু করে দিয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় তিনটি শিবিরে এই ৭২ জন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা জমানায় যেসকল সন্ত্রাসীদের জেলে পুড়ে দেওয়া হয়েছিলো সেইসকল জঙ্গিদের সাথেও নতুন জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা শুরু করেছে বাংলাদেশের জেহাদি এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের এজেন্টরা। যে তিনটি শিবিরে সন্ত্রাসবাদীরা অবস্থান নিয়েছে সেগুলি হলো জপুই, গর্জনপাশা এবং সিমুই।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর জম্পুই শিবিরে অবস্থান নিয়েছে ২৩ জন, গর্জনপাশা শিবিরে ২৭ জন এবং শিমুই শিবিরে ২২ জন।গোয়েন্দা সূত্রে আরো খবর, চলতি মাসের ২০ তারিখের পর থেকেই রাজ্যের উত্তর জেলার আনন্দবাজার থানা এলাকার সীমান্ত দিয়ে বৈরী সংগঠনের সদস্যরা খাগড়াছড়ির পুরাতন জপুই এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে জঙ্গিরা এখন থেকেই ঠিকেদারদের উদ্দেশ্যে লিফলেট বিলি করতে শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি আনন্দবাজার এলাকার রিয়াং জনজাতি যুবকদের বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে জঙ্গি দলে টানার চেষ্টা করছে নতুন জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। গোটা নীল নক্সা তৈরি করছে বাংলাদেশের জেহাদি গোষ্ঠী। বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করা হচ্ছে বলেও খবর উঠে আসছে। একেবারেই আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী হিসাবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।

এই অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। রাজ্যের সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার দিকেও রাজ্য সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বাংলাদেশের ওপার থেকে জানা গেছে, জামাত মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), সিমি, হুজির মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। তারা ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য নতুন জন্ম নেওয়া জঙ্গি সংগঠনের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশের পরিকল্পনা শুরু করেছে।

সব মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইউনুস সরকার এবং পাকিস্তানের আইএসআই বড়সড় নাশকতার জাল বিস্তার করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু থেমে নেই অনুপ্রবেশের ঘটনা। এরমধ্যে রবিবার রাজ্যের সীমান্ত এলাকা থেকে বেশ কিছু ভয়ঙ্কর দৃশ্য উঠে এসেছে। মূলত কাঁটাতারের বিভিন্ন জায়গায় কেটে রেখেছে সীমান্ত চোরা কারবারীরা সেই কাঁটাতারের বেড়া বাঁশ দিয়ে নামমাত্র বেধে রেখেছে বিএসএফ। ফলে এই সকল সীমান্ত ভেদ করে অনায়াসে এপারে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীরা পৌঁছে যেতে পারবে এতে সন্দেহ নেই।About Us

রাজ্য

রাজ্য সরকারের এক অভিনব প্রয়াস!

রাজ্য সরকারের খাদ্য, ভোক্তা বিষয়ক, পরিবহন ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তর; যৌথভাবে সড়ক নিরাপত্তা, ভোক্তা সুরক্ষা ও ড্রাগসের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রী দের সচেতনতা তৈরিতে ‘জাগৃতি’ নামে এক অভিনব কর্মসূচী হাতে নিয়েছে । আজ মহাকরনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন ও খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এই সংবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর জানুয়ারী ও ফেব্রয়ারী মাসে এই জাগৃতি কর্মসূচী পালন করা হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি ডিগ্রি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক কলেজ ও আটিআই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে ভোক্তা সুরক্ষা, সড়ক নিরাপত্তা ও ড্রাগসের বিরুদ্ধে সচেতনতা মুলক ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে । আগামী ১১ ই জানুয়ারী উদয়পুরে – গোমতী জেলা, দক্ষিণ জেলা ও সিপাহীজলা জেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমুহের নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে, ১৮ ই জানুয়ারী কুমারঘাটে – উত্তর ত্রিপুরা, উনকোটি ও ধলাইজেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমুহের নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এবং ২৭ শে জানুয়ারী আগরতলায় পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমুহের নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। চুড়ান্ত পর্বের ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হবে আগামী ৮ ই ফেব্রুয়ারী আগরতলায়। খাদ্য ও পরিবহন মন্ত্রী বলেন, পরবর্তী সময়ে স্কুলস্তরেও এই সচেতনতামুলক কর্মসূচী সম্প্রসারনের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। পরিবহন মন্ত্রী জানান, পরিবহন ও ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর রাজ্যে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ শতাংশ কমে হয়েছে ২২৬। এর আগের বছরে এই সংখ্যা ছিল ২৬১। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী, খাদ্য অধিকর্তা সুমিত লোধ, স্কুল অব সায়েন্সের কর্নধার অভিজিৎ ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা ইনফো ডট কম- এর কর্ণধার জয়ন্ত দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

বামেদের

বামেদের সমালোচনায় বীরজিত:

বামেদের সাথে কংগ্রেসের মধুচন্দ্রিমার অবসান এবার কি অবশ্যম্ভাবী? রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ সি.পি.আই.এম দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিত সিনহা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, দুজনেই সম্প্রতি কৈলাসহরে দলের সম্মেলনে প্রকাশ্যে বীরজিতের ভুমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন৷ তাদের বক্তব্য ছিল সিপিএমের ভোটে জয়ী হয়েও বীরজিত সিপিএমের সমালোচনায় মেতে উঠেছে।

কংগ্রেসের সাথে আসন রফার কারনেই সিপিএম সিটিং বিধায়ককে টিকিট দেয় নি৷ গত ১৭ ডিসেম্বর কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী কংগ্রেস দল এবং বিধায়ক বিরজিত সিনহাকে নিয়ে আক্রমনাত্মক বক্তব্য রেখেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরজিত সিনহা এর পাল্টা জবাব দিলেন। বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছিলেন , ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম দলের মধ্যে জোট না হলে এবং সি.পি.আই.এম দলের কর্মী সমর্থকরা ভোট না দিলে বিরজিত জিততে পারতেন না এবং বিধায়কও হতে পারতেন না। এর উত্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক বিরজিত সিনহা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, জোট না হলেও জিততাম। কৈলাসহর কেন্দ্র থেকে ছয়বার ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন পাঁচবারই সি.পি.আই.এম দলের প্রার্থীকে হারিয়ে ভোটে জিতেছেন। এই পাঁচবারের মধ্যে একবার এক সি.পি.আই.এম দলের মন্ত্রীকে এবং সি.পি.আই.এম দলের হিন্দু নেতাকে এবং দুইবার সি.পি.আই.এমের সংখ্যালঘু নেতাকে ভোটে হারিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালের ভোটে হারের কোনো সুযোগ ছিলো না। তাছাড়া রাজ্যে ২০১৮সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর ২০১৯সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কৈলাসহর আসনেই কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় দুই হাজার ভোটে লিড নিয়েছিলো। ২০১৯ সালে কংগ্রেস সি.পি.আই.এম জোট ছিলো না। ২০২৩ সালে জোট হয়েছে। কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে। তবে জোট না হলেও জিততেন বলে জানান তিনি । জিতেনবাবু কৈলাসহরে যেভাবে বীরজিতের বিরুদ্ধে কটুক্তি করেছেন তার তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানান। বিরজিত সিনহা জানান, জিতেনবাবু সতেরো ডিসেম্বর কৈলাসহরের দলীয় সভায় প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে মঞ্চে রেখে দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখার কারনে মানিক সরকার পরবর্তী সময়ে বক্তব্য রাখতে রাজি ছিলেন না। কারন, বেশির ভাগ দলীয় কর্মী সমর্থকরাই চলে গিয়েছিল।ফাঁকা মাঠে মানিকবাবু বক্তব্য রাখতে চান নি বলে জানান বীরজিত সিনহা। জিতেনবাবুর অহংকার হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি । উনি একজন জনজাতি নেতা। ২০২৩সালের বিধানসভা ভোটে জনজাতি সংরক্ষিত আসনে না দাঁড়িয়ে সাব্রুমে সাধারণ আসনে দাঁড়িয়ে দুইশো থেকে আড়াইশো ভোটে জিতেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রদ্যোত কিশোর ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে সাব্রুম আসনে দলীয় প্রার্থী দিতো তাহলে জিতেনবাবু কত হাজার ভোটে হারতেন তা রাজ্যের সবাই জানে। সুতরাং বলতে হয় বলেছেন। সম্প্রতি আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসকে বিশ্বাসঘাতক বলায় পরবর্তী সময়ে সি.পি.আই.এম দলকে পরগাছা অর্থাৎ স্বর্নলতা বলেছিলেন বীরজিত। সি.পি.আই.এম দল দেশের কোথাও নেই। শুধু কেরলে আছে তাও লোকসভায় নেই, সামনে ওরা জিরো হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন বীরজিত। ২০২৩সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সি.পি.আই.এম দল ৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৪শতাংশ ভোট পেয়েছিলো। আর, কংগ্রেস দল ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৩৯শতাংশ ভোট পেয়েছে। কংগ্রেসই বিজেপি দলের সাথে সমানে সমানে লড়াই করে। অন্যদিকে সারা রাজ্যে বিজেপি চল্লিশ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে জোট শরিক আই.পি.এফ.টি দলের এক শতাংশ ভোট যোগ করে একচল্লিশ শতাংশ হয়েছে।জিতেনবাবু তার বক্তব্যে উনার নিজের পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও বিধায়ক বিরজিত সিনহা বলেন, সুধীর রঞ্জন মজুমদার রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং রাজ্যসভার ছয় বছরের সাংসদ ছিলেন। উনার বাড়িতে বাম আমলে মাত্র দুজন পুলিশ দেওয়া হতো। সুধীরবাবুকে কোন সুযোগ সুবিধা দিতে রাজি ছিলো না তৎকালীন সি.পি.আই.এম সরকার। একটি করনিক পর্যন্ত দিতে চায়নি। সেইসময় কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে বিধানসভার স্পীকারকে বার বার বলার পর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো যে, কিছুই দেওয়া হবে না। আর, এখন প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বিলাসবহুল গাড়ি চড়েন। দ্বিতল বিশিষ্ট ডুপ্লেক্সে থাকেন। গাড়ির তেল কে দেয়? গাড়ির ড্রাইভারের বেতন কে দেয়? প্রশ্ন তুলেন তিনি।

২০২৪সালের আগস্ট মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম দলের মধ্যে কোনো জোট হয়নি বলেও তিনি জানান। পঞ্চায়েত ভোটের ফল ত্রিশংকু হবার পর পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস দল থেকে প্রধান এবং সি.পি.আই.এম দল থেকে উপপ্রধান হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে জিতেন চৌধুরী শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় সভায় এসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস, বিজেপি এবং তিপ্রা মোথাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন এবং কুৎসা করে গেছেন। অথচ এর কিছুদিন পর জিতেন বাবুর নির্দেশ পেয়ে সি.পি.আই.এম দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা কংগ্রেস দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয় এবং বিজেপি দলের সাথে মিলে পঞ্চায়েত গঠন করে। এটা কি ধরনের নীতি হলো? এমনটাই প্রশ্ন বীরজিতের। কৈলাসহর শহরে এসে দলীয় মহকুমা কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য জনসভায় যেভাবে কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং বিষোদগার করেছেন ঠিক সেইভাবে সাহস থাকলে আশারাম বাড়ি, রামচন্দ্রঘাটে কিংবা খোয়াইতে গিয়ে এভাবে প্রকাশ্য জনসভা করে দেখান বলে চেলেঞ্জ ছুড়ে দেন। কিছুদিন পূর্বে ধর্মনগরে তো প্রকাশ্য জনসভা করার সুযোগই পায়নি এবং অনুমতিও আদায় করতে পারে নি। জিতেনবাবু বলছেন সি.পি.আই.এম দলের জন্য কংগ্রেস পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছে। অথচ, সি.পি.আই.এম দল পঞ্চায়েত ভোটে কৈলাসহরে ৯৯শতাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারে নি। সি.পি.আই.এম দলের দশজন বিধায়ক তাদের এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন জমা দিতে পারেনি। কারন উনারা একেবারেই জনভিত্তি হারিয়ে ফেলেছেন। আগামী দিনে জিরো হয়ে যাবে সিপিএম।এমনটাই বলেন তিনি।

লংতরাই

লংতরাই ‘দীপা কর্মকারকে’ তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত করল।

লংতরাই ব্র্যান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিল রাজ্যের স্নেহধন্যা কন্যা দীপা কর্মকার; ত্রিপুরার বুকে জন্ম নেওয়া এক প্রতিভা, যার অধ্যবসায়, স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা, এবং নিরলস প্রচেষ্টা ত্রিপুরাকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক গৌরব।

তিনি ছোট্ট ত্রিপুরা থেকে উঠে এসে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের হয়ে পদক জয় করেছেন। লংতরাই ব্র্যান্ড আজ ওনাকে লংতরাই পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে মনোনীত করে তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বরণ করে নিয়েছে।। লংতরাই, ত্রিপুরা থেকে যাত্রা শুরু করে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, একেবারে দীপার যাত্রাপথের প্রতিচ্ছবি। ত্রিপুরার মাটির গুণমান আর ঐতিহ্য ধারণ করে, লংতরাই আজ এক বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই শুভ মুহূর্তটি ঐতিহাসিকভাবে নথিভুক্ত করতে লংতরাই শুক্রবার দুপুর একটায় আগরতলা প্রেস ক্লাবে একটি প্রেস মিটের আয়োজন করে যেখানে স্বশরিরে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জিমনাস্ট পদ্মশ্রী শ্রীমতী দীপা কর্মকার এবং উপস্থিত ছিলেন ওনার শিক্ষাগুরু, দ্রোণাচার্য সম্মানপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক শ্রী বিশ্বেশ্বর নন্দী। উপস্থিত ছিলেন লংতরাইয়ের কর্ণধার এবং কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রী রতন দেবনাথ, এবং জেনারেল ম্যানেজার শ্রী সুব্রত দেবনাথ সহ কম্পানির অন্যান্য ব্যাক্তিত্বরা।

ভাইরাস

“ভাইরাস” আবারো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাথাব্যথার কারণ!

ভাইরাস প্রাদুর্ভাব আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো; করোনার পাঁচ বছর পের হতেহতে না হতেই। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরে এসেছে এক নতুন ভাইরাস, যার নাম ‘হিউম্যান মেটো পনিউমো ভাইরাস’ বা এইচ এম পি ভি।

শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী এই ভাইরাস মূলত শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। হিউম্যান মেটোপনিউমোভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। এটি প্যারামাইক্সোভাইরাস পরিবারের সদস্য এবং প্রধানত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। সাধারণ ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরে আক্রান্ত হওয়া এর সাধারণ লক্ষণ। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে এটি নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কিওলাইটিসের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ বছরের নিচে শিশু, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ, এবং যাদের আগে থেকেই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ভাইরাস মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি বা সংক্রমিত পৃষ্ঠের সংস্পর্শে এলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এইচএমপিভি-র কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত নেই। সংক্রমণ এড়াতে হাত ধোয়া, জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা, এবং অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, প্রতি বছর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই ভাইরাস দায়ী। ভারতে এখনও এইচএমপিভি নিয়ে বড় ধরনের কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য গবেষণা চালিয়ে এই ভাইরাসের প্রকৃতি বোঝার এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। নতুন ভাইরাসের আবির্ভাব জনস্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ, এবং এর মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

ত্রিপুরা

ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে রাজ্যের স্থানীয় অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি চক্র। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সেই চক্রটি কাগজপত্র তদারকি না করেই লোন দিয়ে দিচ্ছে অনেককে। যার ফলে ব্যাংকের মাধ্যমে পরোক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতি। ব্যাংকের যেসব কর্মচারী এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেও অনাগ্রহ দেখাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক। ফলে এই অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তারা পার হয়ে যাচ্ছে।এরকম ভাবেই কাগজপত্র জালিয়াতের মাধ্যমে লোন দেওয়ার আরো একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বলার পরে ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত ব্যাংক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকেই সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে যে, রাজ্যের মৎস্য বিভাগের একজন কর্মী ভুয়া নথি জমা দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ গ্রহণ করেছেন। অভিযুক্ত কর্মী হলেন সঙ্গীতা আইচ দত্ত (স্বামী শ্যামল দত্ত), মৎস্য দপ্তরের বেতনভুক্ত কর্মী হিসেবে তিনি এই ঋণ পেয়েছিলেন। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঋণ পাওয়ার সময় তার পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কেওয়াইসি, ডিডিও সার্টিফিকেট ও বেতনের স্টেটমেন্ট জাল ছিল। ঋণ গ্রহণের পরই বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে, যে নথিগুলি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছিল। গত ১৪ মে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের জয়নগর ব্রাঞ্চ এই বিষয়টি জানায় মৎস দপ্তরকে। বিষয়টি বিবেচনা করে দুইমাস পরে অর্থাৎ ১৩ জুলাই মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বলে। ব্যস এটুকুই অগ্রগতি। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সঙ্গীতা আইচ দত্তের বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা, এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি পরে খবর। জাল নথি ব্যবহার করে ঋণ গ্রহণের পরেও বহাল তবিয়তে আছেন সঙ্গীতা দেবী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসে মামলা করার জন্য বলা হলেও, কেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টিতে উদাসীনতা দেখাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর আধিকারিকভাবে পাওয়ার না গেলেও, ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার ভয়ে মামলা থেকে নিজেদের দূরে রাখছে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক। কারণ ওই মহিলা যেমন জাল নথি ব্যবহার করে ঋণ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তেমনি সেই নথিগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্বও এড়াতে পারেনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক কারণে সেই মহিলার ঋণগ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের যোগ সাজসের সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এটি একটি মাত্র ঘটনা নয়, এরকম আরো বহু অভিযোগ রয়েছে এই ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার বিরুদ্ধে, যেখানে একটি অসাধুচক্র টু-পাইস কমানোর লোভে বাঁকা পথে অনেককে ঋণ মঞ্জুর করে দেয়। সেই চক্রটিকে আড়াল রাখার জন্যই মামলা থেকে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক নিজেদের দূরে রাখছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। কারণ মামলা শুরু হলে, এইরকম আরো বহু ঘটনা সামনে উঠে আসতে পারে, যেখানে ব্যাংকের বহু কর্মচারী তদন্তের আওতায় চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু ঋণ মঞ্জুর করাই নয়, ঋণ খেলাপি সহ বহু ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসতে পারে তদন্ত শুরু হলে। আর এক্ষেত্রে মৎস দপ্তরও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সেটাও অনেকের বোধগম্য নয়।

কৈলাসহর

কৈলাসহর এর মহকুমা শাসকের অফিসে ঢুকে, দা দিয়ে কর্মচারীদের প্রাননাশের চেষ্টা!

কৈলাসহর এর মহকুমা শাসকের অফিসে ঢুকে, প্রকাশ্যে ধারালো দা নিয়ে কর্মচারীদের প্রাননাশের চেষ্টা ঘিরে আতঙ্ক উনকোটি জেলায়। কৈলাসহর মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে এই ঘটনা। মহকুমা অফিসে ঢুকে অফিস চলাকালীন সময়ে সরকারি কর্মচারীদের ঠেলা ধাক্কা দিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেয় দুস্কৃতিকারীরা। এই ঘটনার পর কর্মচারীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন৷

শুক্রবার কৈলাসহর মহকুমা শাসকের অফিসের সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবীতে কলম ধর্মঘট করে। ফলে মহকুমাশাসক অফিসের কাজকর্ম বন্ধ ছিলো। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের মহকুমা শাসকের অফিসের বর্তমান বিল্ডিং পুরনো হওয়ার কারনে রাজ্য সরকার সম্প্রতি অফিস বাড়ি নতুন করে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। খুব শীঘ্রই নতুন অফিস বিল্ডিংয়ের নির্মানের কাজ শুরু হবে। এরফলে মহকুমা শাসকের অফিস অস্থায়ী ভাবে কিছুদিনের জন্য অন্যত্র স্থানান্তরিত হবে। পুরনো বিল্ডিং ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিল্ডিং ভাংগার কাজ চলাকালীন হঠাৎ কিছু যুবক হাতে ধারালো দা নিয়ে অফিস চত্বরে প্রবেশ করে। সেসময় কাজ তদারকিতে ছিলেন মহকুমাশাসকের সরকারি কর্মচারী রিক্সানিয়ানা দারলং সহ আরও কয়েকজন কর্মচারীরা। যুবকরা নিজরা নির্মাণ কাজ করবে বলে হুশিয়ারি দেয়। জিজ্ঞেস করে কার নির্দেশে অফিস বিল্ডিং ভাংগা হচ্ছে? রিক্সানিয়ানা দারলং তখস মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকারকে দেখিয়ে দেন। তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে বলেন তিনি। সাথে সাথে যুবকরা ধারালো দা দেখিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের ঠেলা ধাক্কাও দিয়েছে বলে সরকারি কর্মচারীরা জানিয়েছেন।যদিও সে সময়ে মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার অফিসে ছিলেন না। কারন মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার ছুটিতে ছিলেন। এই ঘটনায় মহকুমাশাসকের সরকারি কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সবাই একসাথে অফিস শুরুর প্রথমার্ধে কর্মবিরতি শুরু করে। এই কর্মবিরতির ফলে মহকুমাশাসকের অফিসের সব বিভাগের কাজ বন্ধ ছিলো। কর্মবিরতি চলাকালীন মহকুমাশাসক অফিসের রেভিনিউ সেকশনের সরকারি কর্মচারী দিয়েম চাকমা সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান যে, এভাবে অফিস চত্বরে এসে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার ফলে উনারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই যতক্ষন পর্যন্ত ঘটনার সমাধান না হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে বলে জানান তিনি। কর্মচারী রিক্সানিয়ানা দারলং জানান তাকেই প্রথমে ধারালো দা নিয়ে যুবকরা ঠেলা ধাক্কা দেয় এবং কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তী সময়ে, যুবকরা অফিসের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের সাথেও কথা কাটাকাটি করে এবং অভব্য আচরণ করে। শুক্রবার মহকুমাশাসকের অফিসে কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে ঘটনার সাথে জড়িত যুবকরা অফিসে এসে সরকারি কর্মচারিদের কাছে ভুল স্বীকার করেছে এবং ঘটনার মীমাংসা হয়৷ পরে কর্মচারিরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় বলে জানান সরকারি কর্মচারী রিক্সানিয়ানা দারলং।

বই

বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বই চেতনার সীমা বাড়ায়। নতুন বইয়ের গন্ধে যে আত্ম তৃপ্তি আসে তা আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাই পরবর্তী প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। এজন্য অভিভাবকদের আরও বেশী দায়িত্ব নিতে হবে। আজ সন্ধ্যায় হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় মঞ্চে ৪৩তম আগরতলা বইমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। বইমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বইমেলার জন্য রাজ্যবাসী সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে এবছর বইমেলা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বই উপহার দেওয়ার প্রচলন ছিল। এই অভ্যাস আবার ফিরিয়ে আনা উচিত। আমাদের সবারই বই পড়া অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, মেধা ও মননের উৎসব হল বইমেলা। জ্ঞান অর্জনের ভিত্তি হল বই। আমাদের রাজ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতি বছরই বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৩ দিনব্যাপী ৪৩তম আগরতলা বইমেলা চলবে আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বইমেলায় ১৭৮টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে বহি:রাজ্যের ৪২টি স্টল রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বইমেলায় যাতে সবাই আসতে পারেন সেজন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগরতলা বইমেলায় প্রতি বছরই বই বিক্রির সংখ্যা বাড়ছে। প্রকাশক, বিক্রেতা ও স্টলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতেই বোঝা যায় আগরতলা বইমেলার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে। আগরতলা বইমেলা নিয়ে তাই আমরা গর্ববোধ করি। বইমেলায় এবারও নতুন বইয়ের প্রকাশ, আলোচনা সভা, ক্যুইজ, কবি সম্মেলন প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবছর বইমেলার মূল ভাবনা হলো ‘সর্বেষাং শান্তির্ভবতু’। যার অর্থ হলো সবার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান বই পড়ুন, বই পড়ান ও জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। বইমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বইমেলার স্মরণিকা এবং বইমেলার মূল ভাবনার উপর বাংলা ও ককবরকে থিম সংয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, বইমেলা হল লেখক, প্রকাশক ও গ্রন্থপ্রেমীদের মিলন মেলা। বই কখনো পুরনো হয়না। যখনই বই পড়ব তখন নতুন মনে হবে। তিনি বলেন, আগরতলা বইমেলার বিস্তার এবং বই প্রেমীদের উৎসাহ আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বইমেলায় এসে বই কেনার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলকাতার বিশিষ্ট লেখক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিধায়ক মিনারাণী সরকার। তিনি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আগরতলা বইমেলায় আসার জন্য রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে সাহিত্য চর্চায় বইমেলারও বিশেষ অবদান রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের কথা চিন্তা করে এবারের বইমেলা জানুয়ারি মাসে এগিয়ে আনা হয়েছে। তিনি আগরতলা বইমেলার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত অতিথি ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ও বিধায়ক দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য ও রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য অতিথিগণ বইমেলা ঘুরে দেখেন। প্রতিদিন বইমেলা শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলিতে বইমেলা শুরু হবে দুপুর ২টায়। মেলা চলবে রাত সাড়ে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

আগরতলা বইমেলায় জাতীয় স্বাস্থ্যমিশন ত্রিপুরার নি-ক্ষয় শিবির খোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই শিবিরের এবং স্বাস্থ্য সংবাদ নভেম্বর সংখ্যার উদ্বোধন করেন। তিনি চারজন নি-ক্ষয় মিত্রকে শংসাপত্র প্রদান করেন। এই শিবিরে টিবি রোগের জীবানু সনাক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। শিবিরে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া হবে। মেলায় একটি নি-ক্ষয় বাহনও রয়েছে। নি-ক্ষয় বাহণে সিবি-নেট মিশিনের মাধ্যমে টিবি রোগের জীবানু পরীক্ষা করা হবে।

রাজ্যে

রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর পৌরোহিত্যে সচিবালয়ে শীর্ষস্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত!

রাজ্যের; খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর পৌরোহিত্যে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় গুলোতে ভোক্তা সুরক্ষা আইন, সড়ক নিরাপত্তা এবং মাদকবিরোধী কর্মশালা ও সচেতনতামূলক প্রচারণার অঙ্গ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা ও ৱ্যালি আয়োজনের জন্য একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালদের সাথে ভার্চুয়াল কনফারেন্স এর মাধ্যমে আলোচনা করা হয়। মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিকে আয়োজন করার জন্য বিভিন্ন কলেজে তারিখ নির্ধারনের পাশাপাশি এই সচেতনতামূলক কর্মসূচিকে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করেন । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর এবং শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর,পরিবহন দপ্তর, ট্রাফিক পুলিশ এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তর সম্মিলিত ভাবে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।