ADC নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠন

ADC-র পুলিশ বাহিনী তৈরির নামে অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত!

ক্ষমতা

এক চাঞ্চল্যকর ঘোষণায় ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (ADC) প্রশাসন নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এডিসির মুখ্য নির্বাহী সদস্য (সিইএম) পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া পরিষদের অধিবেশনে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে এক ব্যাটালিয়ন, অর্থাৎ প্রায় ১২০০ জন সদস্য নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

রাজ্যের অনুমতি ছাড়া নিজস্ব বাহিনী গঠন কি আইনসিদ্ধ?

প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব এবং ADC-র নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের কোনো আইনি অধিকার নেই। ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল – টিটিএএডিসি) ১৯৮৫ সালে গঠিত হলেও, এর প্রশাসনিক কাঠামোতে নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের সুযোগ নেই। “ADC-র কার্যপরিধির মধ্যে পুলিশ বাহিনী গঠন করার বিধান নেই। এটি স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন এবং রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে পড়ে।” তবে ADC-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেই এই বাহিনী গঠন করা হবে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকারকে অবহিত না করেই কীভাবে এডিসি প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিল?

বিজেপির নীরবতা ঘিরে রহস্য!

যদিও বিজেপি সরকার এবং ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি এডিসির এই সিদ্ধান্তের পক্ষপাতী নয়, কিন্তু এডিসির অধিবেশনে এই ঘোষণা নিয়ে বিজেপির এমডিসিরা কোনো আপত্তি জানাননি। এটা আরও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাজনীতির মহলে। বিরোধীদের দাবি, বিজেপি সরকার দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দেবে কি না। কারণ, ADC নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠন করলেও, এর জন্য অর্থের প্রয়োজন হবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।

রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিঃ

বিশ্লেষকদের মতে, ADC-র নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের ঘোষণা শুধু প্রশাসনিক নয়, রাজনৈতিক ইঙ্গিতবাহীও। তিপ্রা মথার শাসনে থাকা ADC কি স্বশাসনের আরও অধিকারের দিকে এগোতে চাইছে? রাজ্য সরকারের এই বিষয়ে কী অবস্থান নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে ত্রিপুরার ADC প্রশাসনের নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত চরম বিতর্কিত ও আইনবিরুদ্ধ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এমন বাহিনী গঠন করা হলে তা প্রশাসনিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। অনেকেই এটিকে ADC-র “গোপন এজেন্ডা” বলে অভিহিত করছেন, যা রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল। যদি রাজ্য সরকারের অর্থেই এই বাহিনী পরিচালিত হয়, তবে সেটি সম্পূর্ণ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে, কারণ ADC-র নিজস্ব রাজস্ব তহবিল নেই। তাছাড়া, এই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হবে, সেটাও বড় প্রশ্ন, কারণ একে সরকারিভাবে কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

এখন সাধারণ মানুষের মনে আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের বিপরীতে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা ডেকে আনতে পারে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, ADC-র অধিবেশনে বিজেপির এমডিসিরা এ নিয়ে কোনো আপত্তি জানাননি, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে অনেকেই মনে করছেন, এটি হয়তো একটি গোপন রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ, যা ভবিষ্যতে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ত্রিপুরার জনগণও এডিসির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভক্ত—কেউ মনে করছেন এটি উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা, আবার কেউ বলছেন এটি অযৌক্তিক ও বিপজ্জনক। এত বড় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের আগে কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করায়, অনেকেই একে একতরফা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।

অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত!

ADC-র নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে— রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া বাহিনী গঠনের পেছনে কোনো গোপন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যা ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই সন্দেহ করছেন, ADC-র এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক ক্ষমতা বাড়ানোর একটি কৌশল। প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কি রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই বাহিনী গঠন করতে পারে? এডিসির নিজস্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের উদ্যোগ কি বাস্তবায়িত হবে? রাজ্য সরকার কি তাতে অনুমোদন দেবে? নাকি এই সিদ্ধান্ত আইনি জটিলতায় আটকে যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী দিনগুলিতেই।About Us

ধলাই জ্বালায় স্বাস্থ্য পরিষেবা

ধলাই জেলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহালদশায় ক্ষোভ পাহাড়ী এলাকায়!

রাজ্যে একের পর এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ সরকারি ছাড়পত্র পেয়ে গজিয়ে উঠলেও পাহাড়ি এবং প্রত্যন্ত এলাকার সরকারি হাসপাতালগুলোর হাল বেহাল। চিকিৎসা পরিষেবা বলতে যেন শুধুই নামকাওয়াস্তে কিছু ব্যবস্থা। এদিকে রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতিকেও উন্নয়নের জোয়ার বলে প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষের কাছে এক নির্মম রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ধলাই জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবাঃ

ত্রিপুরার সবচেয়ে পশ্চাৎপদ জেলা হিসেবে চিহ্নিত ধলাই জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চিত্র অত্যন্ত শোচনীয়। স্বাধীনতার এত বছর পরও এই জেলার একাধিক ব্লক এবং মহকুমায় স্বাস্থ্য পরিষেবার ন্যূনতম সুবিধাটুকুও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার পরিস্থিতি সবচেয়ে সংকটজনক। সরকারি খতিয়ান অনুযায়ী এখানে একটি মহকুমা হাসপাতাল থাকলেও, নেই একজনও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কোন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ। ফলে এই অঞ্চলের মানুষকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য বহু দূর পাড়ি দিয়ে অন্যত্র যেতে হয়।

দিনে তিন ঘন্টা স্বাস্থ্য পরিষেবা!

গন্ডাছড়া মহকুমার দলপতি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক। এলাকাটি ম্যালেরিয়া ও জলবাহিত রোগপ্রবণ হওয়ার পরও এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দৈনিক মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য খোলা থাকে। ফলে জরুরি চিকিৎসার অভাবে বহু রোগীকে হয়রানির শিকার হতে হয়। এছাড়া রইস্যাবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং জগবন্ধু পাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র কার্যত নামকাওয়াস্তে চলছে। চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় ওষুধের তীব্র সংকট রয়েছে সেখানে।

নেপালটিলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেঃ

উনকোটি ও ধলাই জেলার সীমানায় অবস্থিত নেপালটিলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র দুটি জেলার মানুষের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালটিও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জীবনদায়ী ওষুধের অভাবে ধুঁকছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা বহুদিন ধরেই এই হাসপাতালের পরিদর্শনে আসেননি। ফলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হিমশিম খাচ্ছেন।

বিরাশি মাইল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেঃ

আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশেই অবস্থিত বিরাশি মাইল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিশাল নতুন ভবন তৈরি হলেও চিকিৎসা পরিষেবা সেই মান্দাতা আমলের মতোই চলছে। আধুনিক পরিকাঠামো তৈরির পরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, যন্ত্রপাতি এবং ওষুধের ঘাটতির কারণে হাসপাতালটি কার্যত অকেজো হয়ে রয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলের স্বাস্থ্য কাঠামো!

ধলাই জেলার আঠারোমুড়া, লংতরাই এবং শাখান পাহাড়ের কিছু অংশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও সংকটপূর্ণ। কালাঝারি পাহাড়ের পরিস্থিতিও একইরকম। বাম আমল থেকে বর্তমান সরকারের আমলেও পাহাড়ি এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিঃ

এই পরিস্থিতিতে পিপলস মুভমেন্ট ফর ট্রাইবাল রাইটস নামে একটি সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে পাহাড়ি এলাকায় উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করার দাবিতে সরব হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি অবিলম্বে পাহাড়ি এলাকায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না করা হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা।

সরকারের নীরবতাঃ

স্বাস্থ্য পরিষেবার এই চরম বেহাল দশার পরও রাজ্য সরকার কেন নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ধলাই ও আশেপাশের পাহাড়ি এলাকার মানুষের দাবি, সরকার শুধু বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর উন্নয়নে মনোযোগ না দিয়ে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। সরকার কি এই দাবিগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেবে, নাকি প্রান্তিক মানুষের কষ্ট উপেক্ষা করেই উন্নয়নের ঢোল বাজিয়ে যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।About Us

ক্রিকেট

ভারতীয় ক্রিকেট টিম আবারো প্রমাণ করলো ক্রিকেট দুনিয়ায় তাদের টক্করে কেউ নেই!

ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি সোনালী অধ্যায় লিখল ভারত! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো টিম ইন্ডিয়া। একটিও ম্যাচ না হেরে তারা বিশ্বকাপ নিজেদের দখলে নিল। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের আধিপত্য আরও একবার প্রমাণ করল।

সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু রোহিত শর্মা নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ক্যাঙ্গারুর বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সহজ জয় নিশ্চিত করে। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি এবং শুভমান গিল দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, আর বল হাতে মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব মিলিতভাবে ৭ উইকেট শিকার করেন।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) শুরু থেকেই জানিয়ে দেয়, ভারতীয় দল পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না। সেই কারণে আইসিসি বাধ্য হয়ে ফাইনালসহ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো দুবাইতে স্থানান্তর করে। আয়োজক পাকিস্তানের দর্শকদের নিজ দেশে খেলা দেখার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। এছাড়া, ভারতীয় দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তান দুইভাবে হতাশায় ডুবে যায়— প্রথমত, নিজেদের দেশে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি, দ্বিতীয়ত, ভারত সেমিফাইনালের আগেই পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়!

ফাইনালে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২‌৫১/৯ রান সংগ্রহ করে। কিউইদের পক্ষে কেন উইলিয়ামসন (৮৭), ডেভন কনওয়ে (৫৬) কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন, তবে ভারতীয় বোলারদের সামনে তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যশপ্রীত বুমরাহ (৩/৪৫), কুলদীপ যাদব (২/৩৯) এবং মোহাম্মদ সিরাজ (২/৪৮) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। জবাবে, ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রাখে। রোহিত শর্মা , শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলির অনবদ্য ব্যাটিং করে দলকে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে ভারত বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়েছিল। এই পরাজয়ের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমর্থকদের মধ্যে ভারত-বিরোধী মনোভাব আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ফাইনালের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অনেক সমর্থক পোস্ট করছিলেন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলেন যেন ভারত ট্রফি না জেতে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো! ভারতীয় সমর্থকরাই শেষ হাসি হেসেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের দখলে নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশি সমর্থকদের সব আশা গুড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার এই অসাধারণ জয় আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত। বিশ্বকাপে অপরাজিত থেকে জয়ী হওয়া সত্যিই এক অনন্য কৃতিত্ব!” সারা ভারতজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে উদযাপন করেছে, আতশবাজি ফুটিয়েছে। ত্রিপুরা সহ মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা সহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে ভারতীয় সমর্থকরা এ জয় উদযাপন করেছে। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত আরও একবার প্রমাণ করল যে তারা আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি। এবার ভারতীয় সমর্থকদের চোখ ২০২৭ বিশ্বকাপের দিকে, যেখানে তারা আরও একবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে!About Us

বিকাশের দিশায় ত্রিপুরা

মুখ্যমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা রাজ্য!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সুযোগ্য নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা রাজ্য। ২০২৩ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় ত্রিপুরা অভূতপূর্ব উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রাজ্যকে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জনমুখী নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ত্রিপুরা সরকার। সমাজের সকল অংশের মানুষের উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে, রাজ্যের সার্বিক বিকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যেমন—

  • প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা: ৬.০৮ লক্ষ পরিবারকে ৩.০৮ লক্ষ মেট্রিক টন রেশন বিনামূল্যে বিতরণ।
  • প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা: ১,৮৩,৪৬১ দরিদ্র পরিবারকে পাকা ঘর প্রদান।
  • জল জীবন মিশন: ১,৮১,১৭৭ বাড়িতে নলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহ।
  • প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি: ২,৩৯,৮৭৫ কৃষককে ২৮৭.১৬ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা।
  • প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা: ৮১,৩৪৪ পরিবারকে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ।
  • আয়ুষ্মান ভারত ও মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা: ২০.৫৬ লক্ষ লাভার্থী নিবন্ধিত, যার মধ্যে ৪.৩০ লক্ষ ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যবিমা সুরক্ষা প্রদান।
  • ধান ক্রয়: ৫৩,৯০৮ মেট্রিক টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয়।
  • স্যানিটেশন: ৪২,৫১২টি বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণ এবং ৪৩৬টি কমিউনিটি শৌচালয় স্থাপন।
  • বিদ্যুৎ সংযোগ: ৪২,৩৯৩ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান।
  • দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা: ১,১৯,৯৮৬ মহিলাকে নিয়ে ৯,০৬৬টি স্ব-সহায়ক দল গঠন। (২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত ৫৩,৬২৩টি স্ব-সহায়ক দলে ৪.৮৪ লক্ষ জনকে যুক্ত করা হয়েছে)।

এর পাশাপাশি রাজ্যের জনকল্যাণমূলক সার্বিক বিকাশের ধারা অব্যাহত রেখে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গত ২১ ডিসেম্বর আগরতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি অধিবেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিঃ

  • নতুন ৫১ কি.মি. (২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত ৪০৯ কি.মি.) জাতীয় সড়ক নির্মাণ।
  • উন্নততর রেল পরিষেবা এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি।
  • মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও বিমান চলাচলের সম্প্রসারণ।

চাকরি ও কর্মসংস্থানঃ

  • সরকারি চাকরি: স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমে ৫,৯৭২টি সরকারি পদে নিয়োগ (২০১৮ থেকে মোট ১৭,৬৪৫টি নিয়োগ)।
  • আসন্ন নিয়োগ: ৮,২৫২টি নতুন পদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু।
  • স্টার্টআপ পলিসি ২০২৪: যুবকদের স্বনির্ভর করতে নতুন উদ্যোগ।
  • শিল্পনীতি: নতুন শিল্পনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ।

শিক্ষা ও যুব উন্নয়নঃ

  • জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন: শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ।
  • কলেজ ছাত্রীদের জন্য স্কুটি প্রদান: উচ্চশিক্ষায় নারীদের উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে স্কুটি বিতরণ।
  • স্বাস্থ্য শিক্ষা: নতুন মেডিকেল কলেজ ও উন্নততর স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যবস্থা।

পর্যটন ও সামাজিক উন্নয়নঃ

  • পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আধুনিকীকরণ এবং পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি।
  • তপশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প।
  • শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের অর্থমূল্য দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি।
  • চতুর্পাক্ষিক চুক্তির অধীনে পুনর্বাসিত ব্রু পরিবারকে গৃহনির্মাণ, কর্মসংস্থান ও বিনামূল্যে রেশন সুবিধা প্রদান।

আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাঃ

  • নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে বিশেষ অভিযান।
  • দিব্যাঙ্গজন ক্ষমতায়ন নীতি চালু।
  • বিভিন্ন সামাজিক ভাতা প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের সহায়তা।

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মাথাপিছু গড় আয় হয়েছে ১,৭৭,৭২৩ টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ছিল ১,১৩,০১৬ টাকা। ক্রীড়া পরিকাঠামোর সার্বিক বিকাশ ও উন্নয়নের ফলে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার সফল আয়োজন সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় স্তরে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে। অবকাঠামো বিকাশ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক বিকাশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিটি নাগরিকের কল্যাণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে “এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা” গঠনের লক্ষ্য সফল হয়।About Us

পর্যটনের ঠিকানা হবে ত্রিপুরা

পর্যটনের উন্নয়নে বড়সড় পরিকল্পনা চলছে!

রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বড়সড় অর্থ বরাদ্দ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য মোট ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ করে রাজ্যের একমাত্র হিল স্টেশন হিসেবে পরিচিত জম্পুই হিল-কে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোকেও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন যে জম্পুই হিলকে আরও আকর্ষণীয় পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, ইডেন টুরিস্ট লজ-কে নতুনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক আবাসনের ব্যবস্থা আরও উন্নত করা যায়।

মন্ত্রী আরও বলেন যে রাজ্য সরকার অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জম্পুই হিলে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ বাড়াতে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হবে। এর মধ্যে থাকবে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং, নেচার ট্রেইল এবং অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। এই উদ্যোগ পর্যটকদের জন্য জম্পুই হিলকে নতুনভাবে উপস্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলির জন্য ইতিমধ্যেই ডিটেইল্ড প্রজেক্ট রিপোর্ট (DPR) তৈরি করে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্র এই প্রকল্পগুলির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

পর্যটনমন্ত্রী জানান যে শুধুমাত্র জম্পুই হিল নয়, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। পশ্চিম জেলার জিরানিয়ার এসএন কলোনিতে একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। আধুনিক রিসর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা এখানে তৈরি করা হবে, যাতে রাজ্যবাসী এবং বাইরের পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে পারেন।

পর্যটনমন্ত্রী আরও জানান যে তুফানিয়া লুঙ্গায় ৩০ কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর জন্যও DPR কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে এবং কেন্দ্র এই প্রকল্পের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

রাজ্যের অন্যতম ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র উদয়পুরের বনদুয়ার-এ একান্ন শক্তিপীঠ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য ৯৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ৬৭ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে বলে পর্যটনমন্ত্রী জানিয়েছেন। এবং এই প্রকল্পের জন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন যে রাজ্য সরকার ত্রিপুরাকে বিশ্বের পর্যটনের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। পর্যটনের এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পর্যটনমন্ত্রী আশাবাদী যে পর্যটনের এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে রাজ্যে পর্যটকদের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং রাজ্য একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত হবে।About Us

গণবন্টন ব্যবস্থা

গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে মন্ত্রী সুশান্তের প্রয়াস!

রাজ্যের খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবগত করতে দিল্লি সফরে গেলেন রাজ্যের খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন তিনি কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন, উপভোক্তা বিষয়ক এবং নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি দপ্তরের ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশির সাথে বৈঠক করেন।

সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং সার্বজনীন করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কল্যাণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে রাজ্যের বাসিন্দারা আরও সহজে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন।

রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম উৎসব উপলক্ষে বিনামূল্যে রেশন ভোক্তাদের এক কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম ময়দা এবং ৫০০ গ্রাম সুজি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই প্রথমবার রেশন দোকানের মাধ্যমে ভোজ্য তেলও বিতরণ করা হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে গণবন্টন ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে এবং মানুষ ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে চাল প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এতে দুঃস্থ পরিবারগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।

রাজ্য সরকার নতুন উদ্যোগ হিসেবে স্ব-সহায়ক দলগুলোর উৎপাদিত পণ্য গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে স্থানীয় উৎপাদকরা সরাসরি উপকৃত হবেন এবং স্বনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন।

বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রাজ্যের খাদ্য ও গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের আবেদন করেন এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। তিনি রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ রাজ্যের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্ব-সহায়ক দলগুলোর আর্থিক উন্নয়নের পথ সুগম করবে বলে মনে করা হচ্ছে।About Us

বাজেট 2025-26

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের শেষ বাজেট ২০২৫-২৬!

আগামী ২১ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরা বিধানসভার বাজেট অধিবেশন, যা চলবে কমপক্ষে পাঁচ দিন। এই অধিবেশনের প্রথম দিনেই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাব পেশ করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এটি হবে তাঁর তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাব, এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদকালের শেষ বাজেট। ফলে, এই আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাব ঘিরে রাজ্যবাসীর প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গেছে।

বাজেট ইঙ্গিত!

বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, এবারের আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাব হবে সম্পূর্ণ জনমুখী। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের রাজস্ব আদায় ও জনসেবার ভারসাম্য বজায় রেখে বাজেটের আকার ক্রমশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরেও সেই ধারা বজায় রাখা হবে এবং গত বছরের তুলনায় আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাবের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

গুরুত্বঃ

অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে, এবারের আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাবে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। তাই, মূলধনী ব্যয় বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে, যা আগের প্রস্তাবেও গুরুত্ব পেয়েছিল এবং এবারের প্রস্তাবেও তা অব্যাহত থাকবে।

প্রতিফলনঃ

অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার একটি জনমুখী বাজেট পেশ করেছে, যেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির করছাড়ের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা কমাবে। কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাবের এই দৃষ্টান্তকে অনুসরণ করেই ত্রিপুরার প্রস্তাবেও সাধারণ মানুষের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রাজস্বঃ

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, বিজেপি সরকারের শাসনকালে ত্রিপুরার সম্পদ এবং রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গড় অনুসারে কর আদায়ের নিরিখে ত্রিপুরা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এটি রাজ্যের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নতির প্রতিফলন বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী।

বিনিয়োগঃ

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবারের আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাবে শিল্প বিনিয়োগকে আকর্ষণীয় করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে। নতুন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে যাতে সুবিধা হয়, তার জন্য প্রস্তাবে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (MSME) খাতকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থাও থাকতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

কর্মসংস্থানঃ

রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান চাহিদা হলো কর্মসংস্থান বৃদ্ধি। এই আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাবে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। নির্বাচনের আগে বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার কতটা জনমুখী বাজেট পেশ করতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।

সম্ভাবনাঃ

যেহেতু এটি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদকালের শেষ বাজেট, তাই বিশেষ কিছু বড় ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাবে কী কী নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং তা কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। উল্লেখযোগ্য বিজেপির ঘোষণা অনুযায়ী কর্মচারীদের পে কমিশনের ব্যাপারে মুখ খোলেন নি অর্থমন্ত্রী। এখন বাজেট অধিবেশন শুরুর অপেক্ষায় রাজ্যবাসী এবং আর্থিক পরিকল্পনা প্রস্তাবের প্রতিটি দিক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে তবেই বোঝা যাবে, এই প্রস্তাব কতটা জনমুখী এবং রাজ্যের উন্নয়নে কতটা কার্যকরী হতে চলেছে।About Us

তিপ্রা মথায় আভ্যন্তরীণ অসন্তোষ

সুপ্রিমোর দ্বৈত ভূমিকায় বিভাজিত তিপ্রা মথা!

রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দল তিপ্রা মথার অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও বিভেদের বাতাবরণ এতটাই গভীর যে, একাধিক বিধায়ক এবং হেভিওয়েট নেতা এখন দলের সুপ্রিমোর সাথে মঞ্চ শেয়ার করতেও অনিচ্ছুক। এই অসন্তোষের সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগেই হয়েছিল, তবে সম্প্রতি তা নতুন মাত্রা পেয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিত তিপ্রা মথার যুব সংগঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই অসন্তোষের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং প্রবীণ নেতা এই কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। বিশেষ করে দলের এক মহিলা বিধায়কসহ একাধিক নেতা এখন সুপ্রিমোর নেতৃত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলছেন।

তবে তিপ্রা মথার অভ্যন্তরীণ সংকট নতুন নয়। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। মূলত প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি নিয়েই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়। দলের সর্বমোট ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার সময় সুপ্রিমোর একক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছিল, যা অনেক প্রবীণ নেতারই পছন্দ হয়নি। তাঁদের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করা বহু যোগ্য নেতাকে উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল।

বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির সঙ্গে তিপ্রা মথার রাজনৈতিক মধুচন্দ্রিমা শুরু হয়। যদিও এই জোট নিয়েও দলীয় অন্দরে বিরোধিতা ছিল। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিতর্ক আরও বাড়ে, যখন দলের প্রবীণ নেতাদের উপেক্ষা করে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে বিজেপির পদ্ম চিহ্নে প্রার্থী করা হয়। অনেকেই অভিযোগ তোলেন, এই প্রার্থী মনোনয়নের জন্য দলের মূল দাবিগুলোকেই বিসর্জন দিতে হয়েছিল। তখন থেকেই দলের মধ্যে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছিল, যা এখন প্রকাশ্যে আসছে।

দলের আরও একাংশের অভিযোগ, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে “তিপ্রাসা চুক্তি” নিয়ে আলোচনায় এক নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দলের বেশিরভাগ প্রবীণ নেতাকে এই আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছে। এতে অনেকেই মনে করছেন, সুপ্রিমো নিজেই একটি বিশেষ গোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে একতরফা নীতি অনুসরণ করছেন।

দলের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলছেন, যদি বিজেপির বিরুদ্ধে এতটাই ক্ষোভ থাকে, তাহলে কেন তিপ্রা মথা এখনো বিজেপির সঙ্গে সরকারে রয়েছে? কেন দলের সুপ্রিমো সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করে আন্দোলনের পথ বেছে নিচ্ছেন না? এই বিষয়ে দলের এক বিধায়ক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে যদি সত্যিই এত ক্ষোভ থাকে, তাহলে বিজেপির সঙ্গে সরকারে থাকার কোনো অর্থ নেই। সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ুন।”

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিপ্রা মথা একটি গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতাদের উপেক্ষা করে যুব সংগঠনের উপর নির্ভর করে রাজনীতির চাল চেলে যাচ্ছেন সুপ্রিমো, এমন অভিযোগ দলের ভেতরেই উঠেছে। একদিকে বিজেপির সঙ্গে সরকারে থাকা, অন্যদিকে বিজেপির বিরোধিতা করা—এই দ্বৈত ভূমিকা আদৌ দলের জন্য কতটা লাভজনক হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তিপ্রা মথার এই ভাঙন ভবিষ্যতে রাজ্যের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। দল কি আদৌ ঐক্যবদ্ধ থাকবে, নাকি আরও বড় ভাঙনের দিকে এগোবে—সেটাই এখন দেখার বিষয়।About Us

ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ভারত

ভারতের অশ্বমেধের ঘোড়া ক্যাঙ্গারুকে টপকে ফাইনালে!

ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক দিন! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে আজ। এই জয়ের নায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল, যাঁদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভারতকে গৌরব এনে দিয়েছে।

প্রথম ইনিংসঃ

টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতীয় বোলারদের বিধ্বংসী আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে তারা। পুরো ৫০ ওভার খেললেও অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতের বোলাররা শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে, যেখানে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজের দাপটে ধসে পড়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপ।

দ্বিতীয় ইনিংসঃ

২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ইনিংসের শুরুটা বেশ সতর্কতার সঙ্গে হয়। তবে বিরাট কোহলি তাঁর চিরচেনা ছন্দে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ভারতীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস চরমে পৌঁছায় যখন শেষের দিকে কে এল রাহুল একটি বিশাল ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ১১ বল বাকি থাকতেই ভারত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

অগ্রগতিঃ

গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেই হারের প্রতিশোধ এবার নিয়ে নিল রোহিত শর্মার দল। তার মানে ভারতীয় ক্রিকেট নিজেদের শুধরে নিয়েছে এবং অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। পুরো ম্যাচ জুড়ে ভারতীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখার মতো ছিল।

প্রতিক্রিয়াঃ

ভারতের এই জয়ের সাথে সাথেই যেন উচ্ছ্বাসে ফেটে গেল ভারতীয় সমর্থকদের আবেগে! গ্যালারি কাঁপানো চিৎকার, তেরঙ্গা উড়িয়ে বিজয় উল্লাস—সমস্ত দেশ যেন একসঙ্গে নাচতে শুরু করল! “জয় হিন্দ! ভারত মাতা কি জয়!”—গর্জে উঠল হাজারো কণ্ঠ। রাস্তায় বাজি, ঢাক-ঢোল, বিজয় মিছিল—এ যেন এক উৎসব! কেউ আবেগে কেঁদে ফেলছে, কেউ লাফিয়ে উঠে প্রতিবেশীদের গলায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে! সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক পোস্ট, মিম, ভিডিও—পুরো দেশ যেন জয়োৎসবে ভাসছে! এ যেন শুধু এক ম্যাচের জয় নয়, হৃদয়ের জয়, দেশের জয়!

অন্যদিকে ভারতের এই জয়ের পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কিছু সমর্থক হতাশ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত-বিরোধী পোস্ট দিতে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার ভারতের ফাইনাল পরাজয়ের জন্য প্রার্থনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন।

অপেক্ষায়ঃ

এখন ভারতের সামনে ফাইনালের বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে পাকিস্তানে। সেই ম্যাচের বিজয়ী দলের সঙ্গেই ভারত লড়বে দুবাইয়ের ফাইনালে। সমগ্র ভারতীয় সমর্থকরা এখন আশায় বুক বেঁধেছেন, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জন্য।About Us

বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায়!

বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশের জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে, তাদের একটাই দাবি—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু একটি রাজনৈতিক সঙ্কট নয়, বরং দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতার জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ষড়যন্ত্রের শিকার গণতান্ত্রিক সরকার!

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ব রাজনীতির নানা চক্রান্তের অংশ হিসেবে, একটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চক্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করে। বাংলাদেশে বহু বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও, এই ঘটনার মাধ্যমে তা এক নতুন রূপ নেয়। নিরীহ ছাত্র ও যুবকদের ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করা হয় এই ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রবাদীরা তরুণদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঐদেশের এক শ্রেনীর বুদ্ধিজীবীদের মতে, শেখ হাসিনার অনুপস্থিতির পর দেশে এক অভূতপূর্ব অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে, নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন দেশের নাগরিকরা। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে বহুগুণে। বিশেষ করে যারা বর্তমানে সরকার পরিচালনা করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে।

অনুশোচনা?

দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী যারা আগে শেখ হাসিনার বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ নিজেদের ভুল বুঝতে পারছে। একসময় যারা তার কঠোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করত, তারা এখন বলছে, “দেশ চালাতে গেলে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, যা হয়তো কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের ভালো লাগেনি।” বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার শাসনামলে যে স্বস্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে ছিলেন, তা আজ চরমভাবে অনুপস্থিত। বিশেষ করে নারীরা নিজেদের আগের চেয়ে অনেক বেশি অনিরাপদ মনে করছেন। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এই আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন দেশের সাধারণ নাগরিকরা।

নতুন ষড়যন্ত্র!

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভাষার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার নামে বাংলা ভাষার ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করছে। অথচ এই দেশ তৈরি হয়েছিল বাংলা ভাষার দাবির ভিত্তিতে। তাহলে যদি বাংলা ভাষার গুরুত্ব হারিয়ে যায়, তবে দেশটির অস্তিত্বই আর অর্থবহ থাকবে না—এমনটাই মনে করছে দেশের জনগণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সরকার শুধু ভাষাগত দিক থেকে নয়, আদর্শিকভাবেও একটি ভিন্ন পথ অনুসরণ করছে, যা বাংলাদেশকে তার মূল চেতনাবোধ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।

পুনরায় পাকিস্তান?

বয়স্ক নাগরিকরা এখন আলোচনা করছেন, কিভাবে এক সময় ভারত থেকে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল এবং সেই পাকিস্তানেরই একটি অংশ ছিল আজকের বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা স্বাধীন হলেও, বর্তমানে কিছু মহল দেশটিকে আবার পাকিস্তানের মতো করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি দুষ্টচক্র দেশের অভ্যন্তরে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একদিকে তারা ভারত-বিরোধী স্লোগান তুলছে, অন্যদিকে বাংলাদেশকে পুনরায় পূর্ব বাংলা করার চেষ্টা করছে। ভারতের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে তারা দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

কূটনৈতিক মহল!

এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়, ভারতের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার অনুগতরা মনে করেন, ভারত শেখ হাসিনার সমর্থন সমর্থনে দাঁড়িয়েছে এবং তার দেশে ফেরার পথ সুগম করতে কাজ করছে। এদিকে, কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মুখে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, বরং তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, “বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

সূক্ষ দৃষ্টিঃ

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর ভারত গভীর নজর রাখছে এবং যে কোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে, যারা ত্রিপুরা, মনিপুর ও আসামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

শেষ কথাঃ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে, তা নির্ভর করছে আসন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর উপর। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে জনগণের এই আন্দোলন কতদূর যাবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটুকু স্পষ্ট—বাংলাদেশের জনগণ আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মতো সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে তারা দেশকে অরাজকতার কবল থেকে রক্ষা করতে চায়। বাংলাদেশ কি আবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফিরে আসবে, নাকি এই অরাজকতা আরো গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাবে? দেশবাসী তাকিয়ে আছে ভবিষ্যতের দিকে।About Us