খোয়াই সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার মণিপুরের যুবক!
আগরতলা কাস্টমস ডিভিশনের কর্মকর্তারা গোপন সূত্রে খবর পান যে মণিপুরের এক ব্যক্তি লামডিং থেকে আগরতলায় পিস্তল ও কার্তুজ নিয়ে এসেছে। তাদের তৎপরতায় ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয় এবং খোয়াই জেলার সিঙ্গিছড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের সময় হাতেনাতে ধরা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম দাংশাওয়া মোলজি (২৫)। তাঁর কাছ থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র (রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় তৈরি), ১৫০টি কার্তুজ এবং ৫টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা!
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তবে সরকার দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। এছাড়া, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাঁর সমর্থকদের বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারীতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে ইউনুস সরকার ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে যাতে শেখ হাসিনা এমন কোনো বক্তব্য না দেন যাতে তাঁর সমর্থকরা উজ্জীবিত হতে পারে, যা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি বিভিন্ন দেশ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খোয়াই সীমান্তে দাংশাওয়া মোলজির গ্রেপ্তার এ ধরনের কার্যকলাপেরই একটি উদাহরণ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে আইনি হয়রানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সরকারকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া!
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সীমান্তে বেড়ে চলা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, আগরতলা সীমান্তে অস্ত্রসহ এক মণিপুরের যুবকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংস কর্মকাণ্ড আমাদের জন্যও উদ্বেগের বিষয়। সীমান্তে অবৈধ অস্ত্র পাচার রুখতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব এবং বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” এছাড়া, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সন্ত্রাস দমনে আরও সক্রিয় হতে অনুরোধ জানিয়েছে।