সংগঠনকে

বিজেপিকে হটাতে কংগ্রেস সংগঠনকে মজবুত করার বার্তা সুদীপ রায় বর্মনের!

রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর একমাত্র বিকল্প কংগ্রেস, সোনামুড়ায় প্রদেশ কংগ্রেসের কনভেনশন থেকে  বিজেপিকে হটানোর লক্ষ্যে কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করার বার্তা দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের মাইনরিটি ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে “জয় বাপু, জয় ভীম, জয় সংবিধান” অভিযানকে কেন্দ্র করে সোনামুড়া টাউন হলে এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে প্রধান বক্তা হিসেবে সুদীপ রায় বর্মন বলেন, “সোনামুড়া ও বিলোনিয়ার মত শহরগুলির ডিএনএতেই কংগ্রেস আছে। তাই পদের লোভ না করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে। যারা সঠিকভাবে কাজ করবে, তারাই দলে দায়িত্ব পাবে।”

তিনি বিজেপি মন্ত্রিসভার মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়ার নাম না করেই তাদের তীব্র কটাক্ষ করেন। বলেন, “যারা কেবল পদের লোভে দলে ছিল, তাদের না থাকাই দলের পক্ষে ভালো। তারা আপদ বিদেয় হয়েছে।” পাশাপাশি, তিনি জানান, তিনি নিজে ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা একসময় বিজেপিতে ছিলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করা সম্ভব নয় বুঝেই তাঁরা কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। কনভেনশনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী, যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বসহ অন্যান্য শাখা সংগঠনের সদস্যরা।

কনভেনশন শেষে সোনামুড়া শহরে এক বিশাল র‍্যালি সংঘটিত হয়, যেখানে কংগ্রেস নেতারা অংশগ্রহণ করেন। প্রদেশ মাইনরিটি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন কনভেনশনের সভাপতিত্ব করেন। কর্মীদের বুথ স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করার পরামর্শ দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্যে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে হলে ঘরে বসে থাকলে হবে না, সংগঠনকে মজবুত করেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে—মনটাই ছিল কনভেনশনের মূল বার্তা।

আয়করে

আয়করে রেকর্ড পরিমাণ ছাড়, স্বস্তিতে করদাতারাঃ কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ 

আয়করে ছাড়ের মাধ্যমে মধ্যবিত্তকে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিলেন নির্মলা সীতারমন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন। এবারের বাজেটে সবচেয়ে বড় ঘোষণা মধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীদের জন্য। নতুন আয়করের নিয়ম অনুযায়ী ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করলে কোনও আয়কর দিতে হবে না। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের জন্য ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত রাখা হয়েছে। এতে স্বভাবতই খুশি মধ্যবিত্তরা

নতুন কর কাঠামোয় আয়ের ভিত্তিতে করহার নির্ধারণ করা হয়েছে:

» শূন্য থেকে চার লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে কোনও কর নেই
» বছরে চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ কর। বছরে আট লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ কর থাকবে
» বছরে ১২-১৪ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ
» বছরে ১৬-২০ লক্ষ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ
» বছরে ২০-২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ
» বছরে ২৪ লক্ষ টাকার বেশি হলে ৩০ শতাংশ

অর্থাৎ, ১২ লক্ষ টাকার নিচে যাঁদের আয়, তাঁদের আয়করে বছরে প্রায় ৮০ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া, ১৮ লক্ষ টাকা আয়ে ৭০ হাজার টাকা এবং ২৫ লক্ষ টাকার আয়ে প্রায় ১.১৫ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে। অর্থনীতিবিদদের মতে, মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে বাজারে চাহিদা বাড়াতেই মোদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রবীণ নাগরিকদের জন্য করছাড়

৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রবীণদের করের বোঝা আরও কমবে।

স্বাস্থ্য খাতে বড় ঘোষণা, জীবনদায়ী ওষুধে শুল্কমুক্তি

ক্যানসার সহ দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের উপর শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের উপর ৫% শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে গুরুতর রোগের চিকিৎসা আরও সস্তা হবে।

ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর

সরকার কৃষকদের জন্য আরও ঋণের সুযোগ করে দিয়েছে; কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ঋণসীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। জল জীবন মিশন প্রকল্প ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১ লক্ষ আবাসন নির্মাণের জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।

শিক্ষা খাতে বিশাল বিনিয়োগ

সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে আরও উন্নতির লক্ষ্যে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ৭৫,০০০ নতুন আসন সংযোজনের ঘোষণা করেছে। আগামী বছর আরও ১০,০০০ আসন বৃদ্ধি করা হবে।

মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রকল্প

৮ কোটি মহিলা ও ১ কোটি সদ্য মা হওয়া মহিলাদের জন্য বিশেষ পুষ্টি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। ৭০% মহিলা যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান, সে বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া

মধ্যবিত্তদের জন্য আয়করে ছাড়ের খবরে খুশির হাওয়া বইছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক জনমুখী বাজেট, যা সাধারণ মানুষের হাতে আরও বেশি অর্থ তুলে দেবে এবং বাজারে চাহিদা বাড়াবে। প্রসঙ্গত বাজারে চাহিদা বাড়লে দ্রব্যমূল্যও বাড়বে। তবে, বিরোধীরা বলছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য এই বাজেটে বিশেষ কিছু রাখা হয়নি, যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

২০২৫ সালের বাজেটে করছাড়, কৃষকদের সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে এটি এক জনমুখী এবং স্বস্তির বাজেট বলেই মনে করা হচ্ছে।

নার্সিং

চিকিৎসা পরিষেবায় নার্সিং অফিসারদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণঃ মুখ্যমন্ত্রী।

যেকোন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে নার্সিং অফিসারদের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নার্সিং অফিসারদের উপরই সেই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি নির্ভর করে। তাই রোগী ও রোগীর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে নার্সদের।

শুক্রবার আমতলি বাইপাস রোড সংলগ্ন এলাকায় নর্থ ইস্ট ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং সায়েন্সের নতুন একাডেমিক এবং হোস্টেল বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দুটি মেডিকেল কলেজ, একটি ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের কারণে বর্তমানে রাজ্যে নিউরো সার্জারি সহ বিভিন্ন জটিল অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন চালুর পর লিভার সহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামীদিনে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নার্সদের বিশেষ ভূমিকা থাকে। দেশ-বিদেশে নার্সিং পরিষেবার ক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে রাজ্যের অনেক ছেলেমেয়ে। আগামীদিনে এই ইনস্টিটিউট থেকেও ভালো সংখ্যক নার্স তৈরি হয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবে। উদ্বোধনী বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও জিবিপিতে সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা উপকৃত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে জেলা হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারকে শক্তিশালী করা হয়েছে। ধলাই জেলার আমবাসায় একটি কার্ডিয়াক কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবায় রাজ্য সরকারের এধরণের উদ্যোগের কারণে এখন বহিরাজ্যে রোগী রেফারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, স্থানীয় বিধায়িকা মীনারাণী সরকার, পদ্মশ্রী চিত্তরঞ্জন মহারাজ, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দীপক শর্মা, নর্থ-ইস্ট ইনস্টিটিউট অব নার্সিং সায়েন্সের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ প্রতিম সাহা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

শিক্ষা

শিক্ষামূলক ভ্রমণ থেকে ফেরার পথে শিক্ষিকাদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিলো মোটর শ্রমিক?

শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষিকা, ঘটনা চম্পকনগরে। শিক্ষাসফর থেকে ফেরার পথে স্কুলছাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে চম্পকনগরে। অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকারা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক ও সহ-চালক মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনার জেরে চম্পকনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সায়েন্স সিটিতে শিক্ষাসফরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফেরার পথে ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বাসে শিক্ষিকারাও ছিলেন। তবে বাড়ির সামনে পৌঁছেই শিক্ষিকারা বাস থেকে নেমে যান এবং স্কুলের ঐ শিক্ষিকারা ছাত্রীদের চালক ও সহ-চালকের হাতে ছেড়ে দেন। তারপরেই চালক ও সহ-চালক মদ্যপান করে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ওঠে। আতঙ্কিত ছাত্রীদের কান্নার মধ্যেই তারা বাড়িতে ফোন করলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত স্থানীয়রা এবং অভিভাবকরা আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নজরে এলে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরেই শিক্ষা দপ্তর, কর্তব্যে চরম অবহেলার দায়ে তিন শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকারা হলেন গৌরী মজুমদার, রূপা দেবনাথ এবং কুমকুম দাস, যারা সকলেই স্নাতক স্তরের শিক্ষক।

ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চালক ও সহ-চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, রাজ্য সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়মুক্ত ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

দলীয়

দলীয় সংবিধান অমান্য করতে বাধ্য হলেন CPIM?

পার্টি সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে মানিক সরকারেই ভরসা CPIM-র। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৭৫ বছরের বেশি বয়স হলে পার্টির কোনো পদে থাকা যাবে না, তবুও ৭৫ বর্ষীয় মানিক সরকারের উপরেই ভরসা রাখল সিপিএম। এই নিয়মের কারণে পবিত্র কর ও নারায়ণ করকে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হলেও মানিক সরকারের ক্ষেত্রে এই দলীয় আইন প্রযোজ্য হয়নি । এতে স্পষ্ট, আগামী ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই হবেন দলীয় মুখ।

CPIM-র রাজ্য সম্মেলনে নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে জিতেন্দ্র চৌধুরী রাজ্য কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সম্মেলনের পর দলীয় কৌশল থেকে স্পষ্ট, নেতৃত্বের মূল ভরসা এখনো মানিক সরকারই। জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, “মানিকদার বয়স ৭৫ এর বেশি হলেও তিনি এখনো সতেজ ও সুস্থ। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তার এখনো অটুট।” রাজ্য কমিটিতে নতুন মুখ প্রায় নেই বললেই চলে, মাত্র একজন নতুন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ, দল নতুন নেতৃত্ব গঠনে ব্যর্থ হয়েছে এবং পুরনোদের উপরেই ভরসা রাখতে বাধ্য হচ্ছে। একসময় নৃপেন চক্রবর্তী দলকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং মানিক সরকার, বাদল চৌধুরী ও বিজন ধরকে নেতৃত্বের উপযোগী করে গড়ে তুলেছিলেন, যার ফলে দল একটানা ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল। কিন্তু মানিক সরকার দীর্ঘ ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও কোনো উত্তরসূরি তৈরি করেননি। দলের তিন দিনব্যাপী রাজ্য সম্মেলন শেষে শুক্রবার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৬০ সদস্যের রাজ্য কমিটিতে ৮ জন স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য রাখা হয়েছে। যদিও জিতেন্দ্র চৌধুরী রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন, তবে ২০২৮ সালের নির্বাচনে মানিক সরকারই দলের প্রধান মুখ থাকবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাকে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছে CPIM।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেল, নতুন নেতৃত্ব উঠে আসার সুযোগ এখনো তৈরি হয়নি এবং পুরনোদের উপরেই দল নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে। সিপিএম কি ভবিষ্যতের জন্য নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে পারবে, নাকি মানিক সরকারের অভিজ্ঞতার উপরই নির্ভর করবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।