৮ম

৮ম বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা হয়েগেল!

৮ম বেতন কমিশন গঠনের সুখবর ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

৮ম এর আশায় বুক বাঁধছেন ত্রিপুরার কর্মচারী মহল, ৭ম এখন ইতিহাস! ত্রিপুরার কর্মচারী বঞ্চনার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় একমাত্র সুধীর রঞ্জন মজুমদারের সরকারই‌‌ ত্রিপুরায় বেতন কমিশন গঠন করেছিল। “ত্রিপুরার দীর্ঘ বাম শাসন” বেতন কমিশন বলেও যে কোন জিনিস ভারতবর্ষে আছে তা কর্মচারী মহলের মন থেকে ভুলিয়ে দিয়েছে। ২০১৮ সালে এই সুযোগ নিয়ে, খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে, সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে মিছিলের লাইন লম্বা করে; ভোট ভিক্ষা করেছিল ক্ষমতাসীন বিজেপি দল। স্বপ্ন দেখিয়েছিল ওরা ক্ষমতায় এলে প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনেই সপ্তম বেতন কমিশন চালু করা হবে। উল্লেখ্য ত্রিপুরা রাজ্যের কর্মচারীরা ভারতবর্ষের সবকটি রাজ্য থেকে সবচেয়ে কম বেতনে কাজ করছে। কর্মচারী মহলের বেতন কাঠামোর দিকে তাকালে বুঝাই যায় না ত্রিপুরা রাজ্য ভারতবর্ষেরই একটি রাজ্য।

এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য আবার সুখবর। কেন্দ্রীয় সরকার, কর্মীদের জন্য নতুন পে কমিশন গঠনের ঘোষণা করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই এই কমিশন তাদের রিপোর্ট এবং সুপারিশ জমা দেবে। সরকারের সূত্র অনুযায়ী, ৮ম বেতন কমিশন শীঘ্রই কাজ শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যেই এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে, কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করে নতুন সুপারিশ চালু করা হবে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কমিশনের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের কাজ হবে বর্ধিত বেতন কাঠামো তৈরি করা এবং কর্মীদের জন্য সুবিধাবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমান ৭ম পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন কাঠামো চালু হয়েছে ২০১৬ সালে। এবার ৮ম পে কমিশন কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন বেতন কাঠামো চালু হলে প্রায় ৫০ লক্ষ কর্মী এবং পেনশনভোগীরা সরাসরি উপকৃত হবেন। তবে, নতুন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে সরকারের বড় অর্থনৈতিক চাপ সামাল দিতে হবে। সরকার আশা করছে, নতুন পে কমিশনের কাজ শেষ হলে তা কেন্দ্রীয় কর্মীদের জন্য আরও উৎসাহ ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ন্যূনতম বেতন ছিল ১৮ হাজার টাকা। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর এবং অন্যান্য ভাতা বাড়িয়ে সর্বশেষ বেতন কাঠামোতে তা ৩৪ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছিল। কর্মচারীরা এবার দাবি তুলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন এবং বাড়ি ভাতা সহ অন্যান্য ভাতা আরও বাড়ানো হোক। কেন্দ্রীয় স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের মতে, আগামী পে কমিশনের সুপারিশে কর্মীদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, সরকার ইতিমধ্যে ৮ম পে কমিশন গঠনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে, সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। বাজেট অধিবেশনে এই বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা হতে পারে।এবারের পে কমিশনের সুপারিশে প্রায় ৪৯ লক্ষ কর্মী এবং পেনশনভোগী সরাসরি উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।কর্মচারীরা নতুন বেতন কাঠামো ও ভাতার বৃদ্ধির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া প্রত্যাশা করছেন।