৮ম

৮ম এর দাবি ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাছে!!

৮ম বেতন কমিশন ও রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে ষোড়শ অর্থ কমিশনের সঙ্গেঃমুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরা সরকার ১৬তম অর্থ কমিশনের কাছে রাজ্যের আর্থিক চাহিদা উপস্থাপন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাজ্যের আগামী পাঁচ বছরের (২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে) আয়-ব্যয়ের প্রক্ষেপণ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে, ১৬তম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ পানাগারিয়ার হাতে রাজ্যের তরফ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগারিয়া ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, “রাজ্যের আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ় এবং সুশৃঙ্খল, ঋণের বোঝা ও প্রতিশ্রুত ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে।”

এ বিষয়ে, শুক্রবার আগরতলায়  সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা জানান- ত্রিপুরায় ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যের আর্থিক বিষয়গুলি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। অর্থ কমিশনের কাছে, ৮ম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন, সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সাম্প্রতিক বন্যায় ১৫,০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়  উপস্থাপন করা হয়েছে। ত্রিপুরার ৭৩% সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কারণে বড় শিল্প স্থাপনে অসুবিধার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এডিসিতে সরাসরি অর্থ বরাদ্দসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিরা ত্রিপুরার আর্থিক শৃঙ্খলার প্রশংসা করেছেন এবং রাজ্যের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শের রিপোর্ট জমা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “বিকশিত ভারত” লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০৪৭ সালের মধ্যে “বিকশিত ত্রিপুরা” গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এছাড়া, ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের কর্মচারীদের বেতন কাঠামো উন্নত করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ৮ম পে কমিশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রস্তাব করেছে। এ বিষয়ে রাজ্যের কর্মচারীরা ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পে’ নীতির দাবি জানিয়েছেন। ১৬তম অর্থ কমিশন তাদের সুপারিশমালা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে জমা দেবে।