২০২৫

২০২৫ এর শুরুতেই অষ্টলক্ষীর মুখ উজ্জ্বল করলো ত্রিপুরা!!

প্রজাতন্ত্র দিবস- ২০২৫ এর কুচকাওয়াজে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে!

কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজ ও ট্যাবলো প্রতিযোগিতায় সেরা রাজ্যগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ত্রিপুরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়েছে যে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ত্রিপুরার ট্যাবলো বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, তিনটি বিচারক প্যানেল বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহণকারীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছে। এই প্যানেলগুলো সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF), বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় ও দফতরের ট্যাবলো পর্যালোচনা করেছে।

প্যানেলের নির্বাচিত সেরা তিনটি  ট্যাবলো হলঃ
1️⃣ উত্তরপ্রদেশ – ‘মহাকুম্ভ ২০২৫ – স্বর্ণিম ভারত: ঐতিহ্য ও উন্নয়ন’ (প্রথম স্থান)।
2️⃣ ত্রিপুরা – ‘শাশ্বত শ্রদ্ধাঞ্জলি: ত্রিপুরার ১৪ দেবতার পূজা – খারচি পূজা’ (দ্বিতীয় স্থান)।
3️⃣ আন্ধ্রপ্রদেশ – ‘এতিকোপ্পাকা বোম্মালু – পরিবেশবান্ধব কাঠের খেলনা’ (তৃতীয় স্থান)।

দিল্লির রাজপথে অনুষ্ঠিত প্রজাতন্ত্র দিবস– ২০২৫ এর কুচকাওয়াজে ত্রিপুরার ট্যাবলো ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৯ নম্বর ক্রমসংখ্যায় প্রদর্শিত হয়। এতে ত্রিপুরার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী খারচি পূজা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠান তুলে ধরা হয়েছে।

একজন রাজ্য সরকারী কর্মকর্তা জানান, ত্রিপুরার ট্যাবলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি করা হয়েছিল যেমন *ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ  *বাঁশের নকশা *প্রযুক্তিগত ব্যবহার *ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে মডেলের মাধ্যমে ত্রিপুরার প্রগতিশীল দিক তুলে ধরা হয়েছে। বাঁশ ও বেতের কারুকার্যের মাধ্যমে ত্রিপুরার ১৪ দেবতার প্রতীকী রূপায়ণ করা হয়। হা-বুমা (পৃথিবী মাতার) পূজা ত্রিপুরার ধর্মীয় সংস্কৃতির এক বিশেষ দিক তুলে ধরেছে। ত্রিপুরার এই সাফল্য, রাজ্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।