শাসক

শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল!

শাসক দলের সবকটি সংগঠনেই প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল পরিলক্ষিত!

শাসক দলের সিদ্ধান্ত ছিল গত ১৫ জানুয়ারীর মধ্যেই ঘোষণা হবে বিজেপির ১০ টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতিদের নাম।কিন্তু দলের ভেতরে চরম গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে নতুন জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২০ জানুয়ারী বিজেপির ১০ টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির নতুন সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হবে। তার জন্য দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর দৌড় ঝাপ চলছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে, নেতারা এখন হিল্লিদিল্লি শুরু করেছে। যতটুকু খবর, আজ শাসক দলের প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য ও মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা কেন্দ্রীয় কমিটির ডাক পেয়ে দিল্লি গেছেন। আগামীকাল দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে।মন্ডল সভাপতি নির্বাচন করতে গিয়ে দল যেমন বিধায়কদের গুরুত্ব দিয়েছে, তেমনি জেলা সভাপতি নির্বাচন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ সভাপতির মতামত কে গুরুত্ব দিতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু মন্ডল সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো রাজ্যের কম করেও ৩৫ টি মন্ডলে অসন্তোষ রয়েছে। কারন একটাই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন্ডল সভাপতি পদে তাদেরকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে যারা গণ বর্জিত। সাংগঠনিক কোন ভিত্তি নেই। এসব মন্ডল সভাপতিদের মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সাংগঠনিক তদন্ত হলে বড় ধরনের কেলেংকারী প্রকাশ্যে আসবেই। আমবাসার এক নেতাতো নেশার ছলে বলেই ফেলছেন কি ভাবে প্রদেশের হেভিওয়েট নেতা কিভাবে কি করছেন। তবে আজ না হয় কাল প্রকাশ্যে আসবেই। সংগত কারণেই মন্ডল সভাপতি নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষের মধ্যেই জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা নিয়ে বিজেপির ভেতরে টানাপোড়েন চলছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর হলো, জেলা সভাপতি মনোনয়নেও হয়েছে চরম গোষ্ঠী রাজনীতি।এক্ষেত্রেও দুর্নীতি গ্রস্তদেরই রমরমা বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে বিজেপির প্রবীন একাংশ নেতার অভিযোগ, এখন আর বিজেপিতে নিষ্ঠাবান নেতা কর্মীদের গুরুত্ব নেই। নব্য বিজেপি, মাফিয়া আর প্রাক্তন কংগ্রেসিদের এখন বিজেপিতে রমরমা। ফলে দলের একাংশ নেতা কর্মী এখন দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। আগামী দিনে যার খেসারত দিতে হবে বিজেপির নেতাদের।