রেগা

রেগার কাজে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার ত্রিপুরায়!

রেগায় ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার হিমঘরে, বাড়ছে দুর্নীতি!

রেগা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। বাম আমলে যে ছিল না তা কিন্তু নয়। বাম আমলে বিশালগড় ব্লকের দুর্নীতি, বিডিও গ্রেফতার– এই খবরগুলো মানুষ ভুলে যান নি৷ বাম আমলে রেগায় পুকুর প্রমান দুর্নীতি।একেকটি পুকুর রাস্তাকে কয়েকবার দেখিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বাম জমনায়৷ কিন্তু তা বলে ডাবল ইন্জিনের সরকারের সময়ে রেগা দুর্নীতিমুক্ত বা স্বচ্ছতার সাথে চলছে রেগার কাজ, তা কিন্তু বলা যাবে না৷ রেগার প্রথম শর্ত হলো, যন্ত্র ব্যাবহার করা যাবে না৷ কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের বদলে যন্ত্র ব্যাবহার করে মাটি কাটার ঘটনাও ঘটছে৷ এইতো কয়েক মাস আগে উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় জেসিবি ব্যাবহার করে রেগায় মাটি কাটার অভিযোগ ছিল। রেগা শ্রমিকরা তার প্রতিবাদও করেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার রেগার দুর্নীতি রোধে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্তু রাজ্যে আজো দ্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়নি৷

২০২১ সালে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক রেগা আইনে এ সংক্রান্ত সংশোধনী এনেছিল। ২০২২ সালে মন্ত্রক এনিয়ে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ কী হবে তার বিস্তারিত নির্দেশ দেয়। নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী শুধুমাত্র রেগার কাজের জিও ট্যাগিংয়েই নজরদারি শেষ হবে না। প্রতিটি কাজের নজরদারি করতে হবে ড্রোন ব্যবহার করে। ড্রোন ব্যবহার করে কাজ চলাকালীন ছবি-ভিডিও রেকর্ড করে কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করার বিধান রয়েছে। বিশেষ করে যেখানে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সেখানে ড্রোন ব্যবহার করে ছবি-ভিডিও কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু রাজ্যে এখনো ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়নি। রেগায় জিও ট্যাগিংএর অচ্ছস্বতা৷ রেগায় দুর্নীতি রোধে আট জেলায় আছেন আট জন ন্যায়পাল৷ তারা স্বাক্ষী গোপাল হিসেবে আছেন৷ কিভাবে দুর্নীতির বিচার করবেন৷ সঠিক তথ্য যে তাদের দেওয়া হয় না৷ ঠিকভাবে সাম্মানিক পান না৷ গত চার মাসের বেশি সময় ধরে টিএ বিল বকেয়া। থাক্ সে সব বিষয়। মন্ত্রক ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত এস ও পি জারির তিন বছর পরও এই প্রযুক্তির ব্যাবহার শুরু করতে পারে নি রাজ্য৷ প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারি ব্যবস্থার মধ্যে আগে ছিল জিও ট্যাগিং। তারপর মোবাইল অ্যাপলিকেশন ভিত্তিক হাজিরা নথিভুক্তিকরণ পদ্ধতি চালু হয়। প্রতিদিন কাজের শুরু, মাঝামাঝি এবং শেষে ছবি তুলে কেন্দ্রীয় পোর্টালে পাঠানোর কথা। কিন্তু এই কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছিল না। দুর্নীতি-অনিয়মের ভুরি ভুরি অভিযোগ।

ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারে ডাবল ইঞ্জিনের ব্যর্থতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অজানা এমন নয়। অন্য দলের সরকার যেসব রাজ্যে আছে সেখানে রেগার দুর্নীতির অভিযোগ এলেই মন্ত্রক যেভাবে ব্যাবস্থা নেয়, ত্রিপুরার বেলায় তেমনটা নেই। ফলে রেগায় কিন্তু দুর্নীতি বাড়ছে।