মাদক চোরাচালান রোধে বড় সাফল্য

মাদক চোরাচালান রোধে বড় সাফল্য!

আসাম রাইফেলস ও কাস্টমসের যৌথ অভিযানে ৩০ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত!

রাজ্যের মাদক চোরাচালান রোধে আবারও বড় সাফল্য পেল আসাম রাইফেলস ও কাস্টমস বিভাগ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো এক যৌথ অভিযানে প্রায় ১,৫০,০০০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার আনুমানিক আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

ধলাই জেলার আমবাসায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১২০৯৮ নম্বর শতাব্দী এক্সপ্রেসে যৌথভাবে তল্লাশি চালায় আসাম রাইফেলস ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তল্লাশির সময় ট্রেনের এক বেওয়ারিশ লাগেজ থেকে বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। তবে, এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসাম রাইফেলসের একজন মুখপাত্র জানান, আসাম রাইফেলস নিয়মিতভাবে রাজ্যে নেশা সামগ্রী চোরাচালান প্রতিরোধে সক্রিয় রয়েছে, এবং এই অভিযান চোরাচালান বিরোধী চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ এবং এটি ত্রিপুরা সরকারের নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের একটি প্রয়াস।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আসাম রাইফেলস ২২টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে প্রায় ৯২.৫৫ কোটি টাকার চোরাচালানকারী পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ইয়াবা, ব্রাউন সুগার, গাঁজা, এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্য রয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদক চোরাচালানের মূল চক্র উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী হওয়ায়, ত্রিপুরা রাজ্য মাদক চোরাচালানের অন্যতম ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই। তবে রাজ্য প্রশাসন, আসাম রাইফেলস, বিএসএফ, এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা যৌথভাবে মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ ধরনের অভিযানের ফলে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যা রাজ্যের যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।