মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪

মহারাষ্ট্র নির্বাচন ২০২৪

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪-এর এক্সিট পোলের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত মিলেছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে শিবসেনা (একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠী), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার এবং অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার মধ্যে। এক্সিট পোল অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিণ্ডে জোট এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস-এনসিপি জোট তাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও পিছিয়ে থাকতে পারে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রভাব ফেলতে পারে।

এই নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল:-
১. মরাঠা সংরক্ষণ: মরাঠা সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ দাবিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দল তাদের অবস্থান শক্ত করেছে।
২. কৃষি সংকট: কৃষক ঋণ মকুব এবং কৃষি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বড় ইস্যু ছিল।
৩. অবকাঠামো উন্নয়ন: মহারাষ্ট্রে মেট্রো প্রকল্প ও সড়ক উন্নয়ন প্রচারণার প্রধান অংশ হয়ে উঠেছে।
৪. বেকারত্ব: তরুণ ভোটারদের জন্য কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪-এর এক্সিট পোল অনুযায়ী:-
বিজেপি-শিণ্ডে জোট: এক্সিট পোল অনুযায়ী, বিজেপি এবং একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা জোট ১৪০-১৬০টি আসনে এগিয়ে থাকতে পারে। তারা মূলত উন্নয়ন ও অবকাঠামো ইস্যুতে ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে। কংগ্রেস-এনসিপি জোট: কংগ্রেস এবং শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি ১০০-১২০টি আসন পেতে পারে বলে পূর্বাভাস। তারা মরাঠা সংরক্ষণ এবং কৃষক সমস্যা নিয়ে প্রচার চালিয়েছে।

উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা: উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ২০-৩০টি আসনে প্রভাব ফেলতে পারে। মরাঠা সংরক্ষণ এবং ঐতিহ্যগত সমর্থন তাদের মূল ভরসা।

অন্যান্য দল এবং নির্দল প্রার্থী: ছোট দল এবং নির্দল প্রার্থীরা ১০-২০টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ভোটদানের হার এবার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা বিভিন্ন দলের জন্য সমীকরণ জটিল করে তুলতে পারে। শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় ভোটদানের হার বেশি ছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপি-শিণ্ডে জোট ক্ষমতায় ফিরতে পারে, তবে কংগ্রেস-এনসিপি জোটও উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার ভূমিকা একাধিক হাঙ্গামি এলাকায় “কিংমেকার” হতে পারে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হবে গণনার দিন ই । মহারাষ্ট্রের জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, এই নির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে।About Us