ভাইরাস

ভাইরাস আতঙ্কে আবারো আতঙ্কিত বিশ্ব!

“ভাইরাস” আবারো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাথাব্যথার কারণ!

ভাইরাস প্রাদুর্ভাব আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো; করোনার পাঁচ বছর পের হতেহতে না হতেই। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরে এসেছে এক নতুন ভাইরাস, যার নাম ‘হিউম্যান মেটো পনিউমো ভাইরাস’ বা এইচ এম পি ভি।

শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী এই ভাইরাস মূলত শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। হিউম্যান মেটোপনিউমোভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। এটি প্যারামাইক্সোভাইরাস পরিবারের সদস্য এবং প্রধানত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। সাধারণ ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরে আক্রান্ত হওয়া এর সাধারণ লক্ষণ। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে এটি নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কিওলাইটিসের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ বছরের নিচে শিশু, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ, এবং যাদের আগে থেকেই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ভাইরাস মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি বা সংক্রমিত পৃষ্ঠের সংস্পর্শে এলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এইচএমপিভি-র কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত নেই। সংক্রমণ এড়াতে হাত ধোয়া, জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা, এবং অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, প্রতি বছর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই ভাইরাস দায়ী। ভারতে এখনও এইচএমপিভি নিয়ে বড় ধরনের কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য গবেষণা চালিয়ে এই ভাইরাসের প্রকৃতি বোঝার এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। নতুন ভাইরাসের আবির্ভাব জনস্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ, এবং এর মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।