বৈদ্যুতিক ট্রেন

বৈদ্যুতিক ট্রেনের সফল ট্রায়াল সম্পন্ন!

ত্রিপুরা ও দক্ষিণ আসামে শীঘ্রই চালু হচ্ছে বৈদ্যুতিক ট্রেন, সফল ট্রায়াল রান!

ত্রিপুরা ও দক্ষিণ আসামের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই এই অঞ্চলে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হতে চলেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) দ্রুততার সঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে, বদরপুর (আসাম) থেকে ত্রিপুরার জিরানিয়া পর্যন্ত প্রথম পণ্যবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে যাত্রীবাহী বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো।

শীঘ্রই চালু হতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস!

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভসহ যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হবে। এর পাশাপাশি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। শিলচর (আসাম) থেকে আগরতলা পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানা গেছে। গত বছর আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে একটি জেনেরিক ঔষধ কাউন্টার উদ্বোধন করতে এসে সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য জানান, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর জন্য প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি থাকলেও সেগুলো দ্রুত শেষ করা হবে।

ত্রিপুরার রেললাইন বিদ্যুতায়ন প্রকল্প!

ত্রিপুরায় রেললাইন বিদ্যুতায়নের জন্য ২০২২ সালে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মাধ্যমে ত্রিপুরাকে জাতীয় রেল গ্রিডের সঙ্গে বৈদ্যুতিক ট্রেন সংযোগে যুক্ত করার কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (TSECL) রেলওয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বর্তমানে ত্রিপুরা থেকে দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, পাটনা, ফিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরের সঙ্গে একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনের সংযোগ রয়েছে, তবে সবগুলোই ডিজেল চালিত। বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হলে রেল পরিষেবা আরও দ্রুত, আরামদায়ক ও পরিবেশবান্ধব হবে।

উত্তর-পূর্বে রেল পরিকাঠামো

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির রেল পরিষেবা উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প বন্দে ভারত এক্সপ্রেস গত বছরের ২৯ মে আসামের গুয়াহাটি ও পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চালু করা হয়। এই ট্রেনটি মাত্র ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে যায় এবং সপ্তাহে ছয় দিন চলাচল করে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা ও উত্তর বিহারের পাঁচটি জেলায় পরিষেবা প্রদান করছে। এদিকে, ত্রিপুরাবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করবে।

লাভ কী হবে?

✅ ভ্রমণের সময় কমবে
✅ আরও আরামদায়ক ও আধুনিক ট্রেন পরিষেবা মিলবে
✅ ডিজেল চালিত ট্রেনের তুলনায় পরিবেশবান্ধব হবে
✅ বিদ্যুতায়নের ফলে দীর্ঘমেয়াদে রেলের ব্যয় কমবে

সব মিলিয়ে, ত্রিপুরা ও দক্ষিণ আসামের জনগণের জন্য বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিষেবা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা!