বামেরা

বামেরা যেটা পারেনি, সেটা আবারও করে দেখালো বিজেপি সরকার।

বামেদের মেকি দরদ ফাঁস করলেন মন্ত্রী!

বাম আমলে, কৃষকদের যে মূল দাবিকে উপেক্ষিত করা হতো, সেটিই এখন প্রতিবছরের বাস্তব হয়ে হাসি ফুটাচ্ছে কৃষকদের মুখে। সারা রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকে সহায়ক মুল্যে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। প্রতি বছর সহায়ক মুল্য বাড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জিরানীয়ার মাধববাড়িতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবছর ধান ক্রয় প্রক্রিয়ার সুচনা করেন খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের বৃহত্তর স্বার্থে সরকার নির্ধারিত নূন্যতম সহায়ক মূল্যে চলতি খারিফ মরসুমে উৎপাদিত ধান সহায়ক মুল্যে ক্রয় করছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

তিনি বলেন রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কৃষকদের স্বার্থে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন বাম আমলে কৃষকদের প্রতি দরদ দেখানোর নাটক করা হলেও সে সময় তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একবার বিধানসভায় এই ইস্যুতে বর্তমান বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীকে ও কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা করেছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত। কিন্তু এরা যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই, ধান ক্রয় শুরু হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে। যতদিন কেন্দ্রে এবং রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকবে ততদিন এভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। বিগত বাম সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন বিগত দিনে বাম সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোন চিন্তাই করেনি। কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্যে ক্রয় করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বহুবার রাজ্য বিধানসভায় সেই সময়ের বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথ সে সময়ের বাম সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মুল্যে ধান ক্রয় করার। কিন্তু সেই সময় সরকার কোন উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। নিজেরা কিছু না করে তৎকালীন বাম সরকার শুধুমাত্র কেন্দ্রের দিকে আঙুল দেখিয়ে রাখত। মন্ত্রী জানান, এবছর কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৩ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। গত মরসুমে ধান ক্রয় করা হয়েছিল ২১টাকা ৮৩ পয়সা দরে। প্রতি বছর সহায়ক মুল্য বাড়ছে৷ এমনটাই জানান খাদ্যমন্ত্রী। অপরদিকে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন রাজ্য সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষে কাজ করছে। কৃষকরা হলো অন্নদাতা৷ রাজ্যের অন্নদাতারা যাতে ভালো থাকে তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। কৃষকদের আত্মনির্ভর করার জন্য রাজ্য সরকার নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি স্থানে
কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার জন্য সেন্টার খোলা হবে।

কৃষি মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে মোট ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৫৯.৬৯৬ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। তাতে রাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪০৫ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এরফলে উপকৃত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮ হাজার ১২৭ জন কৃষক।উল্লেখ্য সরকার পরিবর্তনের পর রাজ্যে ২০২০-২১, ২০২১-২২ ২০২২-২৩ এই অর্থ বছরে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য উপযুক্ত মূল্যে মোট ১ লক্ষ ৩১ হাজার ২৭৯ মেট্রিক ক্রয় করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ৬৭ হাজার ১৭৮ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *