বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এর মেঘনা নদীতে আরডিএক্স বোঝাই জাহাজ

বাংলাদেশ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্র, ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যেগুলিতে লাল সতর্কতা!

বাংলাদেশ এখন আরোও বেশি অশান্ত হয়ে উঠেছে। ও পার থেকে ক্রমাগত ভারত বিরোধী মন্তব্য। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও কেরল থেকে, ‘আনসারুল্লা বাংলা’র আট জঙ্গিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার ভারত উপমহাদেশীয় শাখা আনসার-উল্লাহ বাংলা টিমটি ভারত জুড়ে নাশকতার ছক কষছে। তার উপর সারের বস্তার আড়ালে আরডিএক্স আমদানি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি এনইসির বৈঠকে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি, সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। সীমান্ত নিরাপত্তা কতটা। বিএসএফের শক্তি কেমন আছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে যে সব সীমান্ত এলাকায় কাটা তারের বেড়া হয় নি সেসব সীমান্তে দ্রুত কাটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। কিন্তু বাংলাদেশে আরডিএক্স আমদানির খবরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বভারতীয় সংবাদ এজেন্সির সুত্রে জানা গেছে ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতা চালানোর লক্ষ্যে জাহাজটি করে সারের বস্তার আড়ালে প্রচুর পরিমাণে আরডিএক্স পাচার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সন্ত্রাসের ছক করেছে। ইতিমধ্যে বিস্ফোরক আরডিএক্স আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়তে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে বলে খবর। এই সময়ে সীমান্ত নিরাপত্তা কতটা তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খোঁজখবর নিচ্ছে। যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত টপকে বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদীরা এই রাজ্যে তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে নাশকতার বীজ বপন করতে না পারে। মান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সীমান্তে বিএসএফের শক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে খবর । পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় ত্রিস্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীরা ভারতকে অশান্ত করার ছক করছে। তাদের লক্ষ্য হলো মোদির স্বপ্নের অষ্টলক্ষ্মীকে অশান্ত করা। উত্তর পূর্বাঞ্চলে রাজ্যগুলোতে এখন শান্তি বিরাজমান। শুধুমাত্র মনিপুরে অশান্তির আগুন জ্বলছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও অসমে বড়সড় কোনও নাশকতা ঘটাতে ‘কনসাইনমেন্ট’ পাঠাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে সমস্ত এজেন্সি, সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর মণিপুরে জাতি বিদ্বেষকে ঘিরে শুরু হওয়া অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গিদের সঙ্গে ‘সখ্যতা বেড়েছে আইএসআই এবং তাদের বাংলাদেশি দোসর এবিটি, জেএমবি, হিজবুত তাহিরের মতো সংগঠনের। এমনিতেই ত্রিপুরার সীমান্তগুলো অনুপ্রবেশের উত্তম জায়গা। সক্রিয় মানব পাচার চক্র। গত আগষ্ট মাসে বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ার পর অনুপ্রবেশ বেড়েছে।

এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর ৭২০ টন সার চাপিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কাফকো জেটি থেকে জাহাজটি রওনা দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে। গোয়েন্দারা বলছেন, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ এর কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রামে এসে ভিড়েছিল। সেই জাহাজে বাংলাদেশের জন্য সার রয়েছে বলে দাবি করা হলেও, তাতে বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন সুনির্দিষ্ট খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ইউনুস এবং তাঁর সরকারের সহযোগীরা বারবার হুমকি দিচ্ছে, সেভেন সিস্টারকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার। সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের ‘খসড়া’ই হল, চাঁদপুরের জাহাজ থেকে আরডিএক্স এবং অস্ত্রশস্ত্র নামানো। যে জাহাজে চাপিয়ে আরডিএক্স ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হল, তাহলে কেন খুন করা হল তার ‘মাস্টার’ সহ সাতজন নাবিককে? তার মানে আরডিএক্স আমদানির খবর চাউর হতেই বিপদ বুঝে বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে আরডিএক্স আমদানির খবরে কেন্দ্র কোন ঝুঁকি নিতে নারাজ।তাই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।