বন

বনসম্পদ রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বনমন্ত্রীর!

বন সংরক্ষণে উদ্যোগী হতে আহ্বান বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মার!

বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা  ত্রিপুরা বিধানসভার চলমান অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বন দপ্তরের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, ত্রিপুরা রাজ্য তার ৭৩.৬৪% বনভূমি আচ্ছাদনের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কার্বন শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মন্ত্রী জানান, রাজ্যের বনসম্পদ রক্ষার জন্য গত পাঁচ বছরে ৫৬,১১০ হেক্টর বনভূমিতে বৃক্ষরোপণ, ১,৮৩৯ কিলোমিটার রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ এবং ১,২২৪.৫ কিলোমিটার নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১,২৭৭টি চেক ড্যাম নির্মাণের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ ও মাটির ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, “গত কয়েক বছরে বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ISFR ২০২১ অনুসারে, রাজ্যে বাঁশভূমির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৪,২০১ বর্গ কিলোমিটার, যা ২০১৭ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।” তিনি উল্লেখ করেন, ত্রিপুরার বনভূমি বছরে প্রায় ২৭২.৭৬ মিলিয়ন টন CO₂ শোষণ করে, যা জাতীয় স্তরে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান। তবে, বেআইনি দখল এবং চাষাবাদের চাপ বনভূমির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি RoFR (Forest Rights Act) জমির সীমানা নির্ধারণ এবং বন রক্ষার জন্য কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। আগামী পাঁচ বছরে ৭,৫০০ হেক্টর বনভূমি, ২০০ কিমি রাস্তার ধারে, এবং ৫০ কিমি নদীর তীরে বৃক্ষরোপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, মন্ত্রী বন সুরক্ষার জন্য CAMPA তহবিল ব্যবহারের নীতিমালায় ছাড় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।

পরিবেশ ও বন সংরক্ষণকে ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ উন্নয়নের মূল স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “সবুজ আচ্ছাদন বৃদ্ধিতে বন দপ্তরের কার্যক্রম রাজ্যের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, এবং সামাজিক দিককে সমৃদ্ধ করছে।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে বনমন্ত্রী ত্রিপুরার বন দপ্তরের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য এবং চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশলগুলিকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।