প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শ্রবণে জাতীয় স্তরে শীর্ষস্থান ত্রিপুরার!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ শ্রবণের নিরিখে সারা দেশে প্রথম স্থান দখল করেছে ত্রিপুরা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী মোদির এই বিশেষ অনুষ্ঠান সবচেয়ে বেশি আগ্রহ সহকারে শোনেন ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ। ত্রিপুরার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ‘মন কি বাত’ শোনার ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছে সদর শহরাঞ্চল, দ্বিতীয় সদর গ্রামীণ এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ পিলাক।
ত্রিপুরার মানুষ “মন কি বাত” অনুষ্ঠানকে শুধু শ্রবণই করেন না, বরং তাঁর দেওয়া পরামর্শ ও বার্তাগুলিকে জীবনের বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগের চেষ্টাও করেন। শুধু বিজেপি দলীয় উদ্যোগেই এই অনুষ্ঠান শ্রবণ করা হয়, এমন নয়। বহু মানুষ ঘরে বসেই এই অনুষ্ঠান শোনেন।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতি মাসের শেষ রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুরু করেন। এর দুটি মূল লক্ষ্য ছিল—
- রেডিও-র জনপ্রিয়তা পুনরুজ্জীবিত করা, যা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল।
- দেশজুড়ে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য বিষয় সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা।
ত্রিপুরার বিভিন্ন বিষয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে একাধিকবার তুলে ধরেছেন। কখনো উনকোটি জেলার কুল চাষের সাফল্যের কাহিনি, কখনো বা করোনা মহামারির সময় গরিবের পাশে দাঁড়ানো ঠেলা চালক গৌতমের মানবিক উদ্যোগ। এছাড়াও, ত্রিপুরার সৌর-গ্রামগুলির উন্নয়নের বিষয়টিও মন কি বাত অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। এই ধরনের বিষয়গুলি জাতীয় স্তরে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশে ত্রিপুরাকে পরিচিত করিয়ে দিয়েছেন।
একসময় উপেক্ষিত ছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চল। কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষমতায় মোদী সরকার আসার পর থেকেই এই অঞ্চলের রাজ্যগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার উন্নয়ন এবং সাফল্যের কাহিনিগুলোই মন কি বাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রিপুরার মানুষের মধ্যে ‘মন কি বাত’-এর প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। রামায়ণ-মহাভারতের মতো এই অনুষ্ঠানও মানুষ মন দিয়ে শোনেন এবং তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
গত রবিবারও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংসদ ও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা দেশের প্রধান সেবক মোদির ‘মন কি বাত’ শ্রবণ করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বেশি, যা ত্রিপুরার শীর্ষস্থানে থাকার তথ্যই প্রমাণ করে। ত্রিপুরায় ‘মন কি বাত’-এর জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি রাজ্যের জনমানসে এক গভীর প্রভাব ফেলছে, যা ভবিষ্যতে আরও প্রসার লাভ করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।