প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লির কর্তব্যপথে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছেন ত্রিপুরার আমন্ত্রিতরা!
৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লি’র কর্তব্যপথে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করতে সারা দেশ থেকে প্রায় দশ হাজার জন বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন সমাজের নানা স্তরের নাগরিক। ত্রিপুরা থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন মোট ৯৫ জন। এদের মধ্যে পিএম যশস্বী প্রকল্পে বৃত্তি পাওয়া ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, বন সংরক্ষক, হস্তকারু, পানীয় জল, গ্রামোন্নয়ন, বনধন যোজনা, পি এম জনমন, মৎস্য সম্পদ যোজনার সুবিধাভোগীরা রয়েছেন, রয়েছেন জিলা ও ব্লক পঞ্চায়েত এর প্রতিনিধিরা।
রাজধানী দিল্লিতে ২৬ জানুয়ারী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড দেখতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আজ রওয়ানা হয়েছেন। আকাশবাণীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানান, রাজধানী দিল্লিতে রেড দেখার আমন্ত্রণ পেয়ে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। বিশেষ অতিথি’র তালিকায় রয়েছেন কৈলাশহরের উত্তর ইরাণি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী হাসনা বেগম। কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও পুষ্টি বিষয়ে তিনি কাজ করেন। তাকে আমন্ত্রণ জানানোয় কারণে গ্রামের সবাই আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনায় একজন সুবিধাভোগী – কুমারঘাটের মৎস্যজীবী দিগ্বিজয় দাস ভৌমিক বলেন, একজন সাধারণ মৎস্যজীবী হিসেবে নয়াদিল্লি’তে যাবার ডাক পেয়ে নি খুবই খুশি। তিনি এজন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’কে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রীর যশস্বী প্রকল্পের আওতায় স্কলারশিপপ্রাপ্ত বিএড, বি টেক, বি ফার্মা কোর্সের পড়ুয়া ৬ জন ছাত্রছাত্রীও দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড দেখার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এদের মধ্যে আগরতলার সুস্মিতা দেবনাথ জানান, যশস্বী স্কিমের সুবিধা পেয়ে ওবিসি- ভুক্ত ছেলেমেয়েরা উচ্চতর শিক্ষা নিতে পারবে। দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড দেখতে যাবার আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি খুবই খুশি। তারা সবাই শনিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রাজ্য ত্যাগ করেছেন৷