পর্যটন

পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন চমক!

পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটছে রাজ্যে একটু একটু করে!

পর্যটন  শিল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে আগামীদিনে জেলাভিত্তিক প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্য বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে হোম স্টে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডম্বুরের নারিকেলকুঞ্জের পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় ৯টি হোম স্টে এবং জম্পুইহিলে ৪টি হোম স্টে চালু করা হয়েছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পর্যটনকে শিল্পের রুপ দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। পর্যটন যে শিল্প হতে পারে৷ পর্যটন শিল্পকে ভিত্তি করে সরকারি কোষাগার যে স্ফীত করা যায় তা দেখিয়ে দিলেন পর্যটনমন্ত্রী। পর্যটন নিয়ে আগে রাজ্যের কোন সরকার ভেবেছে বলে জানা নেই কারোর। রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলো ছিল অবহেলিত, উপেক্ষিত। এখন নতুন নতুন চিন্তাভাবনাকে যুক্ত করে পর্যটনক্ষেত্রকে ঢেলে সাজানোর প্রয়াস চলছে। বিধানসভায় পর্যটনমন্ত্রী জানান, স্বদেশ দর্শন ২.০ প্রকল্পে উনকোটি এবং আগরতলার ডেস্টিনেশনগুলিকে সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে এই দুটি ডেস্টিনেশনের জন্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রক ৫১ শক্তিপীঠের রেপ্লিকা স্থাপনের লক্ষ্যে ৯৭ কোটি টাকার উপর মঞ্জুর করেছে। ইতিমধ্যে ৬৪.৪৮২ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। পর্যটনমন্ত্রী জানান, স্বদেশ দর্শন ১.০ প্রকল্পের মাধ্যমে আগরতলা, সিপাহীজলা, মেলাঘর, উদয়পুর, অমরপুর, মন্দিরঘাট, তীর্থমুখ, নারিকেলকুঞ্জ, ডম্বুর, আমবাসা, নীরমহল এবং বড়মুড়া ইত্যাদি পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। রাজ্যের পর্যটন পরিকাঠামো বিকাশের লক্ষ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় ছবিমুড়া, কৈলাসহরের সোনামুখী এলাকা, চতুর্দশ দেবতা মন্দির এবং কসবা কালী মন্দির চত্বরের পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আগামীদিনে ভারতবর্ষের পর্যটন মানচিত্রে ত্রিপুরা এক অনন্য স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে। রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে গত পাঁচ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। রাজ্যে স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।