পর্যটনের অঙ্গ হিসাবে বন দপ্তরকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার!
পর্যটনের দিকে ত্রিপুরা সরকার আজকাল খুব গুরুত্ব দিচ্ছে; এর অঙ্গ হিসাবে, আজ ত্রিপুরা সচিবালয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর অফিস কক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগী এবং বন দপ্তরের পিসিসিএফ রবীন্দ্র কুমার শ্যামল। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে বন দপ্তরের সাথে যৌথভাবে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বৈঠকের পৌরহিত্য করে বলেন, “ত্রিপুরা এক সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। বন এবং পর্যটন উভয় ক্ষেত্রের সমন্বয়ে আমরা রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাই।” বৈঠকে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়, যার মধ্যে ছিল:
ইকো-ট্যুরিজম: রাজ্যের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জাতীয় উদ্যানে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্প শুরু করা। এতে স্থানীয় অর্থনীতি উন্নত হবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখবে।অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম: ত্রিপুরার পাহাড়ি এবং বনাঞ্চলগুলিকে কাজে লাগিয়ে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং, এবং ওয়াইল্ডলাইফ সাফারি চালুর পরিকল্পনা।
সাংস্কৃতিক পর্যটন: স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং হস্তশিল্পকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা।
পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন: পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হোটেল, রিসর্ট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ।
বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, “পর্যটন ও বন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগ রাজ্যের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক হবে এবং পাশাপাশি রাজ্যের পর্যটন আয় বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা এবং বন দপ্তরের পিসিসিএফ রবীন্দ্র কুমার শ্যামলকে উভয় দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়।