‘নেশা’ ত্রিপুরা বিধানসভায় আলোচনার বিষয়!
নেশা মুক্ত রাজ্য গঠনে তৎপর রাজ্য সরকার। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি অর্থ বছরে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা ১৬৬৫ টি। তিনটি অর্থ বছরে ২৬৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় এই তথ্য দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
গত তিনটি অর্থ বছরে দুই কোটি ৪৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫৮ টি গাজা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৫৮ কেজি গাজা উদ্ধার হয়েছে। ৫ লক্ষ ৮২ হাজার একশো কফ সিরাপ এর বোতল আটক করা হয়েছে। এমনটাই তথ্য দিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে রাজ্য পুলিশ সবচেয়ে বেশি গাঁজা গাছার চারা ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেশা দ্রব্য ব্যবহারের লাগামহীন বৃদ্ধি এবং তা থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বাম আমলের চিত্র তুলে ধরে বলেন ২০১৮ সালের আগে নেশা যুক্ত ত্রিপুরা ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর নেশা মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। মায়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে নেশা দ্রব্য রাজ্যে আসছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী নেশা মুক্ত কেন্দ্রগুলোতে সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যের জেলা গুলোতে নেশা মুক্ত কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ডোনার মন্ত্রক ১৯৮ কোটি টাকা দিয়েছে। নেশা মুক্ত করার জন্য বিরোধী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখেন।