নেতাজি

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯তম জন্ম দিবস!

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯তম জন্ম দিবস পালিত হল ত্রিপুরা রাজ্যেও!

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯তম জন্ম দিবস পালিত হচ্ছে আজ। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও পালিত হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জন্ম দিবস। রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতন মাঠে। ১৯৫১ সাল থেকে নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতনের উদ্যোগে নেতাজির জন্ম দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন হয়ে আসছে। এবছর এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি জাতীয় পতাকার উত্তোলন করেন এবং পরে নেতাজির প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। আজাদহীন ফৌজের পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সহ-সভাপতি ডাক্তার দিলীপ দাস। জয়হিন্দ স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। কাক ভোর থেকেই নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীরা সাজসজ্জা শুরু করে। সকাল থেকেই রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল উৎসাহী মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ইতিহাসের চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন।অপসহীন যোদ্ধা নেতাজি সুভাষকে আরো বেশি করে জানতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন নেতাজির দেশপ্রেম উপলব্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি যুব সমাজের কাছে প্রেরণা।কংগ্রেসের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন নেতাজিকে এতদিন সম্মান দেয়নি দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতাজিকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিবছরের মত এ বছরও নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা নানা বিষয় নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। প্রায় ২৪ টি নানা বিষয়ে তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীরা; ছিল আটটি চলমান টেবলু। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বঙ্গসংস্কৃতির অন্তরালে বহুরূপী আজও কথা বলে। নবম শ্রেণীর ছাত্ররা এই ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছে শোভাযাত্রায়। এছাড়াও ছিল সবাই মিলে গর্ব মোরা নিপুন ত্রিপুরা। শীতের আকর্ষণ সুস্বাদু খেজুরের রস, বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে মনের আঙ্গিনায় সহ নানা বিষয়। বর্তমান যুগে হারিয়ে যাচ্ছে কীর্তন, কীর্তনের মনে প্রশান্তি আসে। আর এই বার্তা নিয়ে শোভাযাত্রায় নেতাজি স্কুলের ছাত্ররা অংশ নেয়। সবমিলিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ঘিরে মাঘের শীতকে উপেক্ষা করে রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল অসংখ্য মানুষ।। শোভাযাত্রা আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে আবার বিদ্যালয় ফিরে আসে।