দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিভাবক

দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিভাবক!

১২ বছরের ছেলের হাতে স্কুটি তুলে দিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিল বাবা!

দায়িত্বজ্ঞানহীনতার এক চরম নজির দেখা গেল আমতলী থানার মধুবন ঝরঝরিয়া জেবি স্কুল সংলগ্ন এলাকায়। সরকারি নির্দেশ ও ট্রাফিক আইনকে অগ্রাহ্য করে ১২ বছর বয়সী এক নাবালকের হাতে স্কুটি তুলে দিলেন তারই বাবা, রঞ্জিত শীল।

ট্রাফিক আইন!

ভারতের মোটর ভেহিকেল আইনের স্পষ্ট নির্দেশ—কোনো নাবালক (১৮ বছরের নিচে) গাড়ি, বাইক বা স্কুটি চালাতে পারবে না। এই আইন ভঙ্গ করলে অভিভাবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক অভিভাবক দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তাদের নাবালক সন্তানদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিচ্ছেন, যা চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

কি ঘটেছিল?

বৃহস্পতিবার বিকেলে রঞ্জিত শীল তার নাবালক ছেলেকে স্কুটি চালানোর অনুমতি দেন। ছেলে তার আরেক নাবালক বন্ধুকে নিয়ে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে কাঞ্চনমালা এলাকায়। বিষয়টি দেখে এলাকার কয়েকজন যুবক হতবাক হয়ে যান। তারা দুই শিশুকে থামিয়ে সতর্ক করেন এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন।
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা রঞ্জিত শীলের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের তীব্র নিন্দা করেন। অনেকেই বলেন, একজন বাবা কখনোই তার সন্তানের বিপদ ডেকে আনতে পারেন না।

অভিভাবকদের প্রতি!

  • নাবালকের হাতে মোটরযান তুলে দেওয়া শুধুমাত্র বেআইনি নয়, এটি তার জীবনের জন্যও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে অভিভাবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • নাবালক সন্তানদের সঠিক পথ দেখানো অভিভাবকদের দায়িত্ব। আইন অমান্য করলে শুধুমাত্র শিশুটি নয়, অভিভাবকেরও শাস্তি হতে পারে।
  • অভিভাবকদের উচিত সচেতন হওয়া এবং নিজেদের সন্তানদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষিত করা।

সকলের প্রতি আহ্বান—নিজের সন্তানকে ভালোবাসুন, দায়িত্বশীল হোন এবং আইন মেনে চলুন!

সতর্কবার্তা!

নাবালকের হাতে মোটরযান তুলে দেওয়া শুধু বেআইনি নয়, এটি তার জীবনের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু অভিভাবকের কারণে শিশুরা দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে, যা কখনোই কাম্য নয়। ভারতের মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তি গাড়ি, বাইক বা স্কুটি চালাতে পারে না, এবং এটি লঙ্ঘন করলে অভিভাবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। তবুও অনেকেই নিয়ম ভেঙে সন্তানদের হাতে স্কুটি বা বাইক তুলে দিচ্ছেন, যা বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।অভিভাবকদের উচিত শিশুর নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং দায়িত্বশীল অভিভাবকের ভূমিকা পালন করা। আইন অমান্য করলে শুধু শিশু নয়, অভিভাবকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। নিজের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও সচেতনতা দেখিয়ে তার নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সকল অভিভাবকের দায়িত্ব।