সাংবাদিকদের কল্যাণে “ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন”
ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্মেলন রবিবার আগরতলার প্রেস ক্লাবে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দুই শতাধিক সাংবাদিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “গণতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা সাংবাদিকদের প্রধান দায়িত্ব।” এছাড়া, সংবাদমাধ্যমের বিকাশে রাজ্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবে দিল্লি থেকে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, “গণমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদমাধ্যম ও সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে একাধিক কর্মসূচি চালু রেখেছে।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডঃ
সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার আগরতলা প্রেস ক্লাব চত্বরে শিশু-কিশোরদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়। এছাড়া, ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এক বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ফটো সাংবাদিকদের তোলা দৃষ্টিনন্দন ছবি প্রদর্শিত হয়। পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী প্রদর্শনী পরিদর্শন করে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধিত করেন এবং বলেন, “এ ধরনের প্রদর্শনী ত্রিপুরার পর্যটন প্রচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
সাংগঠনিক আলোচনাঃ
সম্মেলনে সংগঠনের সংবিধান সংশোধন, আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুনীল দেবনাথ গত এক বছরের কার্যক্রমের রিপোর্ট পেশ করেন, এবং সভাপতি বিজয় পাল সম্মেলন পরিচালনা করেন।
সম্মেলনের সূচনাতেই গত এক বছরে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়, যা আবেগঘন মুহূর্ত হিসেবে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন ছুঁয়ে যায়।
সাংবাদিকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় সংবাদমাধ্যম আরও শক্তিশালী হবে এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আরও উন্নত হবে। সম্মেলনটি সাংবাদিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে সংবাদমাধ্যমের ভবিষ্যৎ ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মুক্ত আলোচনা হয়েছে।