ত্রিপুরার জৈব কৃষিতে বিশাল সাফল্য!
জৈব কৃষিতে ত্রিপুরার সাফল্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। শুক্রবার এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, অরুন্ধতীনগর থেকে প্রায় ২,০০০ কেজি ব্ল্যাক রাইস ও সুগন্ধি চাল পাঠানো হলো দিল্লিতে। কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, রাজ্যে বর্তমানে জৈব পদ্ধতিতে আনারস ও আদার মতো ফসল উৎপাদন হচ্ছে এবং কৃষকদের এই পদ্ধতির প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে ত্রিপুরায় ২০,০০০ হেক্টর জমিতে জৈব কৃষি করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরও ৬,৫০০ হেক্টর জমিতে এই পদ্ধতিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই রাজ্যে ৪০টি ফার্মার প্রোডিউসার কোম্পানি (FPC) গঠিত হয়েছে এবং শীঘ্রই আরও ১৩টি কোম্পানি তৈরি করা হবে।
জৈব কৃষির উপকারিতা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাসায়নিক মুক্ত এই ফসল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এতে পুষ্টিগুণ বেশি। কৃষকদের উৎপাদিত জৈব ফসল সহজে বাজারজাত করার জন্য রাজ্যের আটটি জেলায় ‘অর্গানিক আউটলেট’ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, বাধারঘাট রেল স্টেশনেও একটি বিশেষ আউটলেট খোলার কথা ভাবা হচ্ছে।
ত্রিপুরার জৈব কৃষির এই সাফল্য জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুই কৃষককে জৈব কৃষিতে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে। জৈব কৃষিতে রাজ্যের এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তর।