ত্রিপুরা

ত্রিপুরার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুনঃ প্রধানমন্ত্রী।

প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগে ত্রিপুরা ভ্রমণের পরামর্শ মোদির!

প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর ত্রিপুরা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অষ্টলক্ষ্মীর এক লক্ষী ত্রিপুরা । ত্রিপুরাকে দেখতে, জানতে সেই রাজ্য ভ্রমণের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া এনসিসি ক্যাডেট, এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক, আদিবাসী অতিথি এবং ট্যাবলো শিল্পীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেবার দু’দিন আগে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময়ের সময়, অংশ্রগণকারী ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের নানা অভিজ্ঞতা ও প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এই মতবিনিময় কালে, ছাত্র-ছাত্রীরা ভারতের স্বচ্ছতা অভিযান যে যুব অংশকেও প্রভাবিত করেছে তা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সাথে আলাপচারিতার সময়, মাই ভারত পোর্টালে যুবদের বিরাট অংশগ্রহণ, এক পেড় মা কে নাম শীর্ষক বৃক্ষ রোপন অভিযান ডিজিট্যাল পরিকাঠামো, বিকশিত ভারতের ভাবনা ও লাখপতি দিদি- পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাফল্যের কথা তাঁদের সামনে তুলে ধরেন। শ্রী মোদী অষ্টলক্ষ্মীর সমগ্র অঞ্চল অর্থাৎ মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, অসম এবং মেঘালয় ভ্রমণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। ত্রিপুরার আগর চাষ সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এক শিল্পীর প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন আগের থেকেই আগরতলার নাম হয়েছে। ত্রিপুরার আগর এখন শিল্পে পরিণত। ত্রিপুরা থেকে আগর বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাম আমলে আগর চাঁষ সরকারি স্বীকৃতি পায়নি। সে সময় গোপনে আগর বাইরে পাঠানো হত। সরকার পরিবর্তনের পর আগর চাষকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি আগর ভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কথোপকথনের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় ঐক্য এবং বৈচিত্র্যের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন রাজ্যের লোকদের সাথে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং সফল হওয়ার দৃঢ় সংকল্প বজায় রাখার তাৎপর্য তুলে ধরেন। “ব্যর্থতাকে কখনো ভয় পেয়ো না। ব্যর্থতা থেকে শেখার চেতনা থাকতে হবে; যে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয় সে সাফল্য অর্জন করে,” তিনি মন্তব্য করেন। তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি ভারতের কৃষক এবং সৈন্যদের কঠোর পরিশ্রম এবং উত্সর্গ থেকে শক্তি পান। “আমি কৃষকদের দেখি এবং অনুভব করি যে তারা কতটা পরিশ্রম করে। আমি সৈন্যদের ঘন্টার পর ঘন্টা সীমান্তে পাহারা দিতে দেখি এবং মনে করি আমি বিশ্রামের অধিকারের যোগ্য নই,”। প্রধানমন্ত্রী মোদি তার সুশৃঙ্খল জীবনধারা এবং তার উত্পাদনশীলতার চাবিকাঠি হিসাবে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসকেও তুলে ধরেছেন। তিনি ভিক্সিত ভারত-এর ভিশন অর্জনের জন্য একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নিজের কর্তব্য পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী যুবকদের মাই ভারত পোর্টালে নিবন্ধন করতে এবং দেশ গঠনে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা এবং ডায়েরি লেখার মতো ভালো অভ্যাসের ওপরও জোর দেন।