"জাগো গ্রাহক জাগো"

“জাগো গ্রাহক জাগো” কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে; ২৫টি কলেজে

“জাগো গ্রাহক জাগো” কর্মসূচি

“জাগো গ্রাহক জাগো” কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে; খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে। খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন যুব সমাজ ও মানুষকে সচেতন করতে পরিবহন দপ্তর ও খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দপ্তর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের ২৫টি কলেজে নেশা, সড়ক দুর্ঘটনা ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ের উপর “জাগো গ্রাহক জাগো” কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে আজ খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় ভোক্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন প্রতারিত হওয়ার থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতা হচ্ছে অন্যতম উপায় “জাগো গ্রাহক জাগো”। তিনি বলেন আজকাল মানুষ বুঝতে পারছেন যে তিনি প্রতারিত হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও জাতীয় ভোক্তা ফোরাম, রাজ্য ভোক্তা ফোরাম বা জেলা ভোক্তা ফোরামে অভিযোগ দায়ের করছেন না। তিনি বলেন তাতে সেই মানুষটি প্রতারিত হওয়ার সাথে সাথে সমাজের ও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শ্রী চৌধুরী বলেন যতদিন না মানুষ সচেতন হচ্ছে ততদিন কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে মানুষের কল্যানে গৃহীত অর্থরাশির সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা যাবে না। তিনি বলেন রাজ্য সরকার অপরিহার্য পণ্য আইনকে সংশোধন করে কালোবাজারিদের কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য বদ্ধপরিকর। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমোদন দরকার। আগামীদিনে যদি কেন্দ্র সেই ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করে তাহলে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইন সচিব সঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য বলেন জাতীয় ভোক্তা দিবস পালন বহু গোষ্ঠী, সম্প্রদায়ের আন্দোলনের নিদর্শন। তিনি বলেন ১৯৮৬সালে ভোক্তা সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ হয়। পরে আজকের দিনে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়। সেদিন থেকে আজকের দিনটি জাতীয় ভোক্তা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তিনি বলেন যদিও আজকের দিনটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা। কিন্তু ভোক্তা তার নিজের ব্যাপারে নিজেই সচেতন নয়। শ্রী ভট্টাচাৰ্য বলেন বর্তমানে রাজ্য ভোক্তা ফোরামে কেবলমাত্র ৩৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে, ৪টি জেলা ভোক্তা ফোরামে ২৮৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি মানুষকে নিজের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারপতি রুহিদাস পাল, সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস, খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব অভিজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ।