ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের জন্য মরণ-বাঁচন ম্যাচ!

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি আজ ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজে ভারত ইতোমধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে, তাই এই ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য মরণ-বাঁচন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। প্রথম ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে জয় লাভ করে সিরিজে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতীয় দল তাদের দাপট বজায় রেখে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে। বিশেষ করে তিলক ভার্মার অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তৃতীয় ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ম্যাচে পরাজিত হলে তারা সিরিজ হারাবে। অধিনায়ক জস বাটলারের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড দল সিরিজে টিকে থাকার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করবে। তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ফিল সল্ট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো খেলোয়াড়রা রয়েছেন, যারা বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখেন। ইংল্যান্ড দল তৃতীয় ম্যাচের জন্য অপরিবর্তিত একাদশ ঘোষণা করেছে। ব্রাইডন কার্স তার আগের ম্যাচের পারফরম্যান্সের জন্য দলে জায়গা ধরে রেখেছেন। ভারতীয় দলেও বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই, তবে তারা তাদের বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আনতে পারে।

ম্যাচটি রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় খেলা শুরু হবে। ম্যাচটি স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে এবং ডিজনি+ হটস্টারে লাইভ স্ট্রিমিং উপলব্ধ থাকবে। তৃতীয় ম্যাচটি সিরিজের নির্ণায়ক হতে পারে। ভারত জয়ী হলে সিরিজ নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে ইংল্যান্ড জয়ী হলে সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় থাকবে। দর্শকরা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের প্রত্যাশা করছেন।

দীপিকা

‘দীপিকা পাড়ুকোন’ সব্যসাচীর হয়ে মঞ্চ মাতালেন!

বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি ফ্যাশনের দুনিয়ায় এক অনন্য নাম। সম্প্রতি, দীপিকা পাড়ুকোন মেয়ে দুয়ার জন্মের পর প্রথমবারের মতো ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির হয়ে র‍্যাম্পে হাঁটলেন। দীপিকার এই অসাধারণ উপস্থিতি ভক্তদের মুগ্ধ করেছে এবং সামাজিক মাধ্যমে তার লুকের তুলনা শুরু হয়েছে বলিউডের স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে।

ইতিমধ্যেই বলিউডের আইকনিক অভিনেত্রী এবং আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের মুখ দীপিকা পাড়ুকোন, সব্যসাচীর শাড়ি পরে র‍্যাম্প মাতিয়েছেন। তার এই উপস্থিতি সব্যসাচীর সাম্প্রতিক কালেকশনের প্রদর্শনীতে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। দীপিকা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে হাজির হন, যার সঙ্গে ম্যাচ করা ভারী গয়না তাকে এক দ্যুতিময় রাজকীয় লুকে রূপান্তরিত করে। দীপিকার মেকআপ ছিল পরিমিত এবং চুল ছিল পিন করা খোপায় বাঁধা। এই চেহারাটি ১৯৭০-৮০-এর দশকের রেখার লুকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করেন ভক্তরা। দীপিকার এই লুক দেখে অনেক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, “এই দীপিকাকে দেখলে রেখার কথা মনে পড়ে।” অন্য কেউ লিখেছেন, “দীপিকার মধ্যে রেখার এক আলাদা ছাপ আছে।” দীপিকার মায়াবী চোখ, দর্শকদের মনে রেখার স্বর্ণযুগের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ২০২৪ সালে দীপিকা এবং রণবীর সিংয়ের কন্যা দুয়ার জন্ম হয়।মেয়ের জন্মের পর দীপিকা কিছু সময় ধরে অভিনয় এবং পাবলিক ইভেন্ট থেকে দূরে ছিলেন। তবে এই ফিরে আসা তার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীপিকা তার মাতৃত্ব এবং পেশাগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে নিজেকে আবার নতুন করে তুলে ধরেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপিকার ছবি এবং ভিডিও নিয়ে ভক্তরা উত্তেজিত। অনেকেই তার প্রশংসা করে বলেছেন, “দীপিকা সব সময় প্রমাণ করেন যে তিনি সত্যিই একজন রানী।” কেউ কেউ বলেছেন, “মেয়ের জন্মের পরেও দীপিকার গ্ল্যামার একটুও কমেনি। বরং তিনি আরও সুন্দরী হয়ে উঠেছেন।” সব্যসাচী মুখার্জি দীপিকার এই র‍্যাম্প ওয়াক নিয়ে বলেছেন, “দীপিকা পাড়ুকোন এমন একজন যিনি ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধনকে তার স্টাইলের মাধ্যমে দারুণভাবে তুলে ধরতে পারেন। তার সঙ্গে কাজ করা সব সময়ই এক অনন্য অভিজ্ঞতা।”

ফ্যাশন শোয়ের পাশাপাশি দীপিকার বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তিনি তার পরবর্তী সিনেমার শুটিং শুরু করবেন খুব শীঘ্রই। রণবীর সিংয়ের সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবন এবং মেয়ে দুয়ার লালনপালনের মধ্যেও দীপিকা তার ক্যারিয়ারকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। দীপিকা পাড়ুকোনের এই ফিরে আসা নিঃসন্দেহে তার ভক্ত এবং ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য একটি বড় উপহার।সব্যসাচীর র‍্যাম্পে দীপিকার উপস্থিতি দেখিয়ে দিল যে, মাতৃত্ব একজন মহিলার জীবনকে পূর্ণতা দিতে পারে, তবে তার পেশাগত প্রতিভাকে কখনও ম্লান করতে পারে না। দীপিকার এই চেহারা এবং উপস্থিতি বছরের পর বছর ধরে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

ভারত

ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের দাপুটে জয়!

ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় দল একটি অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত ২-০ ব্যবধানে অগ্রগামী হয়েছে এবং সিরিজটি নিশ্চিত করেছে। ভারতীয় স্পিনারদের জাদুকরি পারফরম্যান্স এবং ব্যাটসম্যানদের স্থির মেজাজ এই জয়ের মূল চাবিকাঠি ছিল।

ইংল্যান্ড টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ভারতীয় স্পিনারদের সামনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়। মাত্র ৪৫ ওভারেই ২১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে, ভারত ৩৯.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান তুলে সহজেই ম্যাচটি জিতে নেয়। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা বিশেষ কিছু করতে পারেননি। জেসন রয় এবং ডেভিড মালানের মধ্যে ওপেনিং জুটিতে ৭২ রান ওঠে। তবে জেসন রয় (৪৮) এবং মালান (৩৭) আউট হওয়ার পর থেকেই ইংল্যান্ডের ইনিংসের পতন শুরু হয়। ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজা মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের একের পর এক ফিরিয়ে দেন। জস বাটলার (২১), মঈন আলি (১৫), এবং স্যাম কারান (১২) বড় রান করতে ব্যর্থ হন। শেষের দিকে ক্রিস ওকস ৩০ রানের একটি ইনিংস খেলেন, যা দলের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছাতে সামান্য সহায়তা করে। ভারতীয় বোলাররা দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। বিশেষ করে স্পিনাররা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

কুলদীপ যাদব: ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। তিনি নিজের লাইন এবং লেংথে অসাধারণ নিখুঁত ছিলেন।
রবীন্দ্র জাদেজা: ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তার ধারালো টার্ন এবং ফ্লাইট ডেলিভারিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বিভ্রান্ত হন।
মোহাম্মদ শামি: নতুন বল হাতে শামি ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে চাপে রাখতে সাহায্য করেন। তিনি ৮ ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন।

ভারতের ব্যাটিংয়ে শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে ছিল। শিখর ধাওয়ান মাত্র ৫ রানে আউট হন। রোহিত শর্মা (৩৪) এবং বিরাট কোহলি (৫৬) দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস সামলান। কোহলির অর্ধশতরান দলের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।এরপর শ্রেয়স আইয়ার এবং লোকেশ রাহুলের (৪২*) মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া মাত্র ১৭ বলে ৩৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

স্পিনারদের প্রভাব: চেন্নাইয়ের স্লো এবং স্পিন-সহায়ক পিচে কুলদীপ এবং জাদেজার বোলিং ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছে।
ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা: ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়, যা তাদের স্কোর বোর্ডে বড় রান তুলতে দেয়নি।
ভারতের ব্যাটিং গভীরতা: রোহিত-কোহলির পর আইয়ার এবং পান্ডিয়া দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন, যা দলের ব্যাটিং গভীরতার ইঙ্গিত দেয়।

এই ম্যাচে কুলদীপ যাদবের ৪ উইকেট তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার এনে দেয়। ম্যাচের পর কুলদীপ বলেন, “পিচ আমাকে সাহায্য করেছে। আমি লাইন এবং লেংথ ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি।” ভারতীয় দল এই ম্যাচে প্রতিটি বিভাগে আধিপত্য দেখিয়েছে। তাদের বোলিং, ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং একসঙ্গে কাজ করেছে। বিশেষ করে স্পিন বিভাগে ভারতের শক্তি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের জন্য এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের ব্যাটিং অর্ডার আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং ভারতীয় স্পিনারদের মোকাবিলার কৌশল খুঁজতে হবে।

ভারতের এই জয় শুধু সিরিজ জয়ের বিষয় নয়, এটি দলের সামগ্রিক শক্তি এবং ভারসাম্যের প্রতিফলন। পরবর্তী ম্যাচে ইংল্যান্ড যদি ঘুরে দাঁড়াতে চায়, তবে তাদের ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি করতে হবে। অন্যদিকে, ভারত সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে।

ভারত

ভারত ও ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চেন্নাইয়ে!

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি আগামীকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।

ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে অধিনায়ক জস বাটলার সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ৩টি এবং আর্শদীপ সিং, হার্দিক পাণ্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেল প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। জবাবে, ভারতীয় দল ১২.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অভিষেক শর্মা ৩৪ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এই জয়ে ভারত, ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড দল সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে মাঠে নামবে। প্রথম ম্যাচে দলের ব্যাটিং লাইনআপ প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেনি, বিশেষ করে জস বাটলার ছাড়া অন্য কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। নতুন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে ইংল্যান্ড দল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা করছে। ভারতীয় দলে মোহাম্মদ শামি দীর্ঘদিন পর চোট সারিয়ে দলে ফিরেছেন, যদিও প্রথম ম্যাচে তিনি খেলেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, জসপ্রিত বুমরাহ পিঠের ব্যথার কারণে সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন।

ম্যাচের সময়সূচী:

তারিখ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
সময়: সন্ধ্যা ৭টা (স্থানীয় সময়)
স্থান: এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম, চেন্নাই

দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ:

ভারত:

১. অভিষেক শর্মা ২. সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার) ৩. তিলক বর্মা ৪. সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক) ৫. হার্দিক পাণ্ডিয়া ৬. রিঙ্কু সিং ৭. নীতীশ কুমার রেড্ডি ৮. অক্ষর প্যাটেল ৯. রবি বিষ্ণোই ১০. আর্শদীপ সিং ১১. বরুণ চক্রবর্তী।

ইংল্যান্ড:

১. বেন ডাকেট ২. ফিল সল্ট (উইকেটকিপার) ৩. জস বাটলার (অধিনায়ক) ৪. হ্যারি ব্রুক ৫. লিয়াম লিভিংস্টোন ৬. জ্যাকব বেথেল ৭. জেমি ওভারটন ৮. গাস আটকিনসন ৯. জোফ্রা আর্চার ১০. আদিল রশিদ ১১. মার্ক উড।

ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে টকস্পোর্ট ২ এবং টিএনটি স্পোর্টসে, যুক্তরাজ্যের সময় দুপুর ১:৩০টা থেকে। ভারতীয় দল চাইবে তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে।অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দল সিরিজে ফিরে আসার জন্য এই ম্যাচটি জিততে মরিয়া থাকবে। দুই দলের ব্যাটিং ও বোলিং লাইনআপের পারফরম্যান্স এই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচটি দুই দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করছেন একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের। দেখা যাক, কে হাসবে শেষ হাসি।

শেহওয়াগ

শেহওয়াগ-আরতির দাম্পত্যে ফাটল, ডিভোর্সের পথে দম্পতি!

ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। এখন এই বীরেন্দ্র শেহওয়াগ এবং তাঁর স্ত্রী আরতি শেহওয়াগের সম্পর্ক নিয়ে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর খবর। কুড়ি বছরের দাম্পত্য জীবনে এবার নেমেছে কালো ছায়া। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং পরিস্থিতি এমনই যে, তাঁরা ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছেন।

১৯৯৮ সালে শেহওয়াগ ও আরতির প্রথম দেখা। তাঁদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল বন্ধুত্ব দিয়ে, যা ধীরে ধীরে গভীর ভালোবাসায় পরিণত হয়। ২০০৪ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সম্পর্ক তখন অনেকের কাছেই আদর্শ বলে ধরা হতো। সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে পারিবারিক মুহূর্ত, সর্বত্র তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সুখী যুগল হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে, যারা তাঁদের জীবনের আলো। পরিচিতদের মতে, সম্পর্কের মধ্যে বহুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। শেহওয়াগের ক্রিকেট কেরিয়ার এবং তারপর তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগের কারণে তিনি পরিবারকে সময় দিতে পারছিলেন না। অন্যদিকে, আরতি নিজের জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মতের অমিল বাড়তে থাকায় সম্পর্কের ফাটল আরও গভীর হয়। শেহওয়াগের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, “বিগত কয়েক বছরে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল।যদিও তাঁরা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। সন্তানদের কথা ভেবে তাঁরা বিষয়টি চেপে রাখছিলেন, তবে এখন আর তা সম্ভব নয়।” সম্প্রতি শেহওয়াগ এবং আরতি দু’জনেই তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের ছবি পোস্ট করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দু’জনকে একসঙ্গে দেখাও যাচ্ছে না। এই সমস্ত বিষয় নজরে আসতেই তাঁদের ভক্তদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়। আরও একটি সূত্রের দাবি, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শেহওয়াগ এবং আরতির মধ্যে কথাবার্তা একেবারে বন্ধ। তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে গোপন রাখতে চাইলেও, তাঁদের আচরণই সব প্রকাশ করে দিচ্ছে।”

আইনি মহল থেকে জানা গিয়েছে, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শেহওয়াগ এবং আরতি উভয়েই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিতে চান। তাঁদের মূল লক্ষ্য হল সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখা। তবে ডিভোর্সের বিষয়টি নিয়ে শেহওয়াগ বা আরতি এখনও সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। ক্রিকেট দুনিয়া এবং তাঁদের ভক্তরা বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।সম্পর্কের যত্ন নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এই দম্পতির দিকে তাকালেই বুঝা যায়। সাফল্য বা ব্যস্ততার কারণে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অবহেলিত হলে তা জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

এখন প্রশ্ন হল, শেহওয়াগ এবং আরতি কি শেষ মুহূর্তে তাঁদের সম্পর্ক বাঁচানোর চেষ্টা করবেন, নাকি তাঁরা একে অপরের থেকে দূরেই নতুন জীবন শুরু করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত সময়ের হাতে।

বলিউড

বলিউড তারকা সইফ আলি খানের দুঃসময়, একান্ত হবার পর সম্পত্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা!

বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান ও তাঁর পরিবার বর্তমানে প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে আইনি জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। ভোপালের প্রাক্তন নবাব হামিদুল্লাহ খানের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত এই সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮’ এর আওতায় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।

ইতিহাস অনুযায়ী, নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যার মধ্যে জ্যেষ্ঠ কন্যা আবিদা সুলতান দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান। ফলে, তাঁর উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে, মেজো কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতে থেকে যান এবং তাঁকে নবাবের উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সাজিদার পুত্র মনসুর আলি খান পতৌদি এবং পরবর্তীতে তাঁর সন্তান সইফ আলি খান এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। ২০১৫ সালে, শর্মিলা ঠাকুর ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ‘শত্রু সম্পত্তি’ ঘোষণার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আপিল করেন এবং স্থগিতাদেশ পান। তবে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে সম্পত্তি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হতে পারে। বর্তমানে, বলিউড তারকা সইফ আলি খান ও তাঁর পরিবার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা পেয়েছেন। তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল না করেন, তবে সম্পত্তিগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে।

এই আইনি প্রক্রিয়া সম্পত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, এবং পতৌদি পরিবারের ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তি রক্ষার জন্য তারা কি আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন?

ক্রীড়া

ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়ের সাংবাদিক সম্মেলন!

ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষনে টেলেন্টস সার্চ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। আজ আগরতলার রাজ্য সরকারী অতিথিশালা সোনারতরীতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায় এ কথা বলেন। তিনি জানান, ১০ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। ফুটবল, কবাডি, খো-খো এবং এথলেটিক্স এই চার বিভাগে হবে প্রতিযোগিতা। আগামী ১ লা ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রাজ্যের ৫৮ টি ব্লককে চারটি জোনে বিভক্ত করে প্রথমে মহকুমা স্তরে, পরে জেলা স্তর ও রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় বাছাইকরা ক্রীড়া প্রতিভাদের আরও ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী টিংকু রায় জানান, এই টেলেন্ট সার্চ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে আজ এখানে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে ক্রীড়া মন্ত্রী ছাড়াও সব জেলার জেলা সভাধিপতি , আগরতলা পুর পরিষদের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, ক্রীড়া সচিব ডঃ প্রদীপ চক্রবর্তী জিমনাস্টিক কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী টিংকু রায় জানান, গত ২ বছরে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যপক সাফল্য অর্জন করেছে। প্রচুর পদক লাভ করেছে। এছাড়া জাতীয় গেমসে অংশগ্রহনকারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান মন্ত্রী টিংকু রায়।