বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল ভারত!

ভারত-বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মহারণে ছয় উইকেটে জয় ভারতের!

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচে ভারত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে পরাজিত করেছে। শুভমান গিলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ শামির বিধ্বংসী বোলিংয়ের সুবাদে ভারত অনায়াসেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়

বাংলাদেশের হুংকার!

বাংলাদেশ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না, কারণ ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। তবে মিডল অর্ডারে তৌহিদ হৃদয় একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার অনবদ্য ১০০ রানের ইনিংস দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাত্র ১৭ রান করে আউট হন, যা দলকে চাপে ফেলে দেয়। শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদের ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসের ফলে বাংলাদেশ ৪৯.৩ ওভারে ২২৯ রান করতে সক্ষম হয়। ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ৫৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন, যা বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপকে কাঁপিয়ে দেয়।

ভারতীয় জবাব!

২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ওপেনাররা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। তবে রোহিত শর্মা মাত্র ২৫ রানে আউট হলে ভারত কিছুটা চাপে পড়ে। এরপর বিরাট কোহলি ও শুভমান গিলের মধ্যে ৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে ওঠে। কোহলি ৩৯ রান করে বিদায় নিলেও, গিল নিজের খেলা চালিয়ে যান। দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন শুভমান গিল, যিনি ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১১টি চারের মার ও ১টি ছয়। তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে কেএল রাহুল ৪১ রান করেন এবং দলকে সহজ জয়ের দিকে নিয়ে যান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ২টি উইকেট নেন, তবে বাকি বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি।

ম্যাচ সারাংশ ও গাফিলতিঃ

মোহাম্মদ শামি, যিনি ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান। তার দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সই ভারতের জয়ের মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে। ম্যাচ শেষে মোহাম্মদ শামিকে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত করা হয় তার দুর্দান্ত পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বের জন্য।ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই ম্যাচে জয় পেলেও কিছু অবহেলা ও দুর্বলতা স্পষ্ট ধরা পড়েছে, যা বড় ম্যাচগুলোতে সমস্যার কারণ হতে পারে।

এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল রোহিত শর্মার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া, যার ফলে অক্ষর প্যাটেলের সম্ভাব্য হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হয়। এছাড়া ওপেনিং পার্টনারশিপেও স্থিতিশীলতা দেখা যায়নি,কারণ রোহিত শর্মা ২৫ রান করেই আউট হন। মাঝের ওভারে ভারতের স্পিনাররা বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেননি, যার ফলে তৌহিদ হৃদয় বাংলাদেশের হয়ে বড় ইনিংস খেলতে সক্ষম হন। বিরাট কোহলিও ৩৯ রানে একটি অপ্রয়োজনীয় শট খেলে আউট হন, যা তার অভিজ্ঞতার তুলনায় অযথা ঝুঁকি ছিল। একই সঙ্গে, প্রতিদ্বন্দ্বী দলের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দ্রুত আউট করতে না পারার কারণে শেষ দিকে কিছু বাড়তি রান ভারতকে হজম করতে হয়। এই ভুলগুলো ভারতকে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হতে শেখাবে, বিশেষ করে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে।

পরবর্তী ম্যাচঃ

এই জয়ের ফলে ভারত গ্রুপ পর্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। ভারতের পরবর্তী ম্যাচ ২৩ ফেব্রুয়ারি, যেখানে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশকে এখন তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে জয় ছিনিয়ে নিতে হবে, যদি তারা সেমিফাইনালে যেতে চায়। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আরও বড় উত্তেজনা অপেক্ষা করছে, এখন নজর ২৩ ফেব্রুয়ারির ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকে!About Us

ত্রিপুরা ক্রিকেট

সিনিয়র মহিলা আমন্ত্রণমূলক একদিবসীয় ক্রিকেট ম্যাচ, ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের!

ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন আয়োজিত সিনিয়র মহিলা আমন্ত্রণমূলক একদিবসীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সোমবার তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। উত্তেজনাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন গ্রুপের দলগুলো নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করেছে। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়াম, তালতলা স্কুল মাঠ এবং পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোতে ক্রিকেটপ্রেমীরা উপভোগ করেছেন জমজমাট খেলা।

উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে এ-গ্রুপের লড়াই: এগিয়ে চলো সংঘ বনাম ব্লাডমাউথ ক্লাব।

এ-গ্রুপের ম্যাচে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ‘এগিয়ে চলো সংঘ’ এবং ‘ব্লাডমাউথ ক্লাব’। টানা জয়ের ফর্ম ধরে রেখে ব্লাডমাউথ ক্লাব এই ম্যাচে ৯ উইকেটে পরাজিত করে এগিয়ে চলো সংঘকে এবং জয়ের হ্যাট্রিক পূর্ণ করে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ‘এগিয়ে চলো সংঘ’ বড়ো রানের ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হয়। ব্লাডমাউথ ক্লাবের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের সামনে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য সামনে পেয়ে ব্লাডমাউথ ক্লাবের ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাটিং করেন এবং মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। এই জয়ের মাধ্যমে ব্লাডমাউথ ক্লাব এ-গ্রুপের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করে।

তালতলা স্কুল মাঠে সি-গ্রুপের ম্যাচ: কর্নেল কোচিং সেন্টার বনাম ক্রিকেট অনুরাগী মহিলা ক্রিকেট দল।

সি-গ্রুপের ম্যাচে তালতলা স্কুল মাঠে মুখোমুখি হয় ‘কর্নেল কোচিং সেন্টার’ এবং ‘ক্রিকেট অনুরাগী মহিলা ক্রিকেট দল’। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কর্নেল কোচিং সেন্টার দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্রিকেট অনুরাগী মহিলা ক্রিকেট দল ৩৯ ওভার ৩ বলে মাত্র ৭৬ রানেই গুটিয়ে যায়। কর্নেল কোচিং সেন্টারের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। ২২০ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে গ্রুপ পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে কর্নেল কোচিং সেন্টার। অন্যদিকে, এই পরাজয়ের ফলে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারের মুখ দেখল ক্রিকেট অনুরাগী মহিলা ক্রিকেট দল।

পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি মাঠে বি-গ্রুপের লড়াই: এ.ডি নগর প্লে সেন্টার বনাম ইউনাইটেড বি.এস.টি।

বি-গ্রুপের ম্যাচে পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি মাঠে মুখোমুখি হয় ‘এ.ডি নগর প্লে সেন্টার’ এবং ‘ইউনাইটেড বি.এস.টি’। প্রথমে ব্যাট করে এ.ডি নগর প্লে সেন্টার ১৩৫ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। জয়ের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইউনাইটেড বি.এস.টি ৪৬ ওভার ১ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এবং ২ উইকেটে জয় লাভ করে। এদিনের জয়ের ফলে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ পেল ইউনাইটেড বি.এস.টি। টুর্নামেন্টে তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরে এলো এই গুরুত্বপূর্ণ জয়ের মাধ্যমে।

সামগ্রিক চিত্র

ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন আয়োজিত এই একদিবসীয় মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা রাজ্যের মহিলাদের ক্রিকেট প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। লিগ পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচেই দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপের শীর্ষস্থান দখলের জন্য দলগুলো নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করছে। আগামী ম্যাচগুলোতেও উত্তেজনার পারদ চড়বে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মহিলাদের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এমন প্রতিযোগিতা অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ক্রিকেট প্রেমীদের মতে “ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন” অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে এরকম একটা আয়োজনের জন্য, যা রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে। ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের এ ধরনের প্রয়াস আগামী দিনেও বজায় থাকবে বলে আশা ক্রিকেটপ্রেমী মহলের।

straightlines

ভারত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আত্মবিশ্বাসী ভারত!

ভারত সফরে এসে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, যেখানে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-২০ সিরিজে দারুণভাবে জয়ী হয়ে ভারত নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এই সফরে ভারতীয় দল ব্যাটিং ও বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, যা আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।

ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচটি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারত ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫০ ওভারে ৩৫৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। দলের ওপেনার শুভমান গিল অসাধারণ ব্যাটিং করে ১১২ রান করেন, যা তার ক্যারিয়ারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সেঞ্চুরি। এছাড়া শ্রেয়াস আইয়ার ও সূর্যকুমার যাদবের অর্ধশতক দলের স্কোর আরও মজবুত করে তোলে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ভারতীয় বোলারদের সামনে টিকতে পারেনি এবং ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয়। ভারতের পক্ষে আর্শদীপ সিং, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব এবং হর্ষিত রানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, আর্শদীপ সিং ৩টি উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন।

টি-২০ সিরিজেও ভারত দাপটের সঙ্গে খেলে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-২০ ম্যাচে অভিষেক শর্মা ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যার সুবাদে ভারত ৭ উইকেটে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারত নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে জয় তুলে নেয়। তবে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে রাজকোটে ইংল্যান্ড ২৬ রানে জয়লাভ করে, যা সফরে তাদের একমাত্র সান্ত্বনা ছিল। শেষ দুটি ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দমিয়ে রেখে জয় নিশ্চিত করে। সিরিজ জয়ের মাধ্যমে ভারত টি-২০ ক্রমতালিকায় তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে। যদিও এই সফরে শুধুমাত্র সীমিত ওভারের ম্যাচ ছিল, তবে ইংল্যান্ড দল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভারতীয় ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে, যেখানে ভারতীয় বোলারদের সামনে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, “পুরো দল অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দেখে আমি অভিভূত। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে, সেখানে এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”
অন্যদিকে, ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার পরাজয় স্বীকার করে বলেন, “ভারত সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছে। আমাদের কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যা ঠিক করতে হবে। তবে তরুণ খেলোয়াড়রা কিছু ইতিবাচক মুহূর্ত উপহার দিয়েছে।” তবে এই সফরে বিশেষ কিছু দিক পরিলক্ষিত হয়েছে, যেগুলো হলোঃ

  • শুভমান গিলের দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্ম, বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজে সেঞ্চুরি।
  • আর্শদীপ সিং ও কুলদীপ যাদবের অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স।
  • অভিষেক শর্মার প্রথম টি-২০ ম্যাচে ৭৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
  • পুরো সিরিজে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং ও বোলিং ইউনিটের দৃঢ়তা।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই জয় ভারতের জন্য বড় সাফল্য এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দলকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। পুরো সিরিজে ভারতীয় দল তাদের ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ের সমন্বয়ে প্রতিপক্ষকে একপেশে খেলায় হারিয়েছে।ভারতের এই জয় ক্রিকেট বিশ্বে তাদের শক্ত অবস্থানকে আরও মজবুত করেছে।

ভগবান

ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে ভগবান বিরসা মুন্ডা ফুটবল টুর্নামেন্ট!

ভগবান

জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হবে “ভগবান বিরসা মুন্ডা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫”। কিংবদন্তি জনজাতি নেতা ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে জনজাতীয় গৌরববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে রাজ্যস্তরের আন্তঃহোস্টেল ফুটবল প্রতিযোগিতা।

এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের জনজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ প্রদান এবং তাদের সুস্থ ও মাদকমুক্ত জীবনধারার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এবারের টুর্নামেন্টের মূল স্লোগান “Football is Game, Drugs are Shame”, যা যুবসমাজকে খেলার প্রতি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি মাদকাসক্তি থেকে দূরে রাখার বার্তা বহন করে।

আগরতলার উমাকান্ত ফুটবল স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ৮টি ছেলেদের দল ও ৮টি মেয়েদের দল অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতাটি নকআউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মোট ১৬টি ম্যাচ খেলা হবে, যার মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য, পরিবহন ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী সুশান্ত চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা আগরতলা পৌর কর্পোরেশনের মেয়র শ্রী দীপক মজুমদার এবং জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী বিকাশ দেববর্মা।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল ও ব্যক্তিগত কৃতিত্ব অর্জনকারীদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার:

  • চ্যাম্পিয়ন (ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগ): ট্রফি ও ১,০০,০০০ টাকা
  • প্রথম রানার্স-আপ: ৭৫,০০০ টাকা
  • দ্বিতীয় রানার্স-আপ: ৫০,০০০ টাকা
  • ফেয়ার প্লে দল: ট্রফি ও ২৫,০০০ টাকা

ব্যক্তিগত পুরস্কার:

  • সেরা খেলোয়াড়: ট্রফি ও ১০,০০০ টাকা
  • শীর্ষ স্কোরার: ট্রফি ও ১০,০০০ টাকা
  • সেরা গোলকিপার: ট্রফি ও ১০,০০০ টাকা
  • প্রত্যেক ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়: ট্রফি ও ১,০০০ টাকা

৫ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে “ভগবান বিরসা মুন্ডা ফুটবল টুর্নামেন্ট”। এটি শুধু একটি খেলা নয়, বরং জনজাতি সংস্কৃতি ও ঐক্যের প্রতীক, পাশাপাশি, এই টুর্নামেন্ট ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভা প্রকাশের একটি দারুণ মাধ্যম হতে পারে।

শ্যামসুন্দর

ত্রিপুরার শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স আরোও একধাপ এগিয়ে!

হীরার গয়নার জগতে নতুন সংযোজন নিয়ে এলো শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স‘গ্লিটেরিয়া নামে এক্সক্লুসিভ হীরার গহনার ব্র্যান্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো আগরতলায় এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই নতুন কালেকশন আধুনিক নারীর প্রতিদিনের মুহূর্তকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে ডিজাইন করা হয়েছে।

আগরতলার ফ্ল্যাগশিপ শোরুমে ‘গ্লিটেরিয়া‘ ব্র্যান্ড জোনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী দর্শনা বণিক এই অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং গ্লিটেরিয়া গয়না পরে অতিথি ও গ্রাহকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সের তরুণ মুখ মিঠুন দেববর্মা ও খুমজার দেববর্মা অতিথিদের সঙ্গে মিশে যান এবং নতুন কালেকশন সম্পর্কে ধারণা দেন। জনপ্রিয় গায়িকা পারমিতা দেববর্মার গান পরিবেশনা গোটা অনুষ্ঠানে অন্য এক মাত্রা যোগ করে।

বিশেষ লঞ্চ অফার

গ্লিটেরিয়া ব্র্যান্ডের উদ্বোধন উপলক্ষে ৪ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২ দিনের বিশেষ অফার ঘোষণা করা হয়েছে। এই অফার ত্রিপুরার আগরতলা, উদয়পুর ও ধর্মনগর এবং কলকাতার গড়িয়াহাট, বেহালা ও বারাসাত শোরুমে প্রযোজ্য। এই অফারে থাকছে—

✅ হীরের গয়নার মজুরিতে ১০০% ছাড়
✅ সোনার গয়নার মজুরিতে ১৫% ছাড়
✅ প্রতি কেনাকাটায় নিশ্চিত উপহার
✅ মেগা লাকি ড্র-তে একটি হীরের নেকলেস ও তিনটি হীরের নেকচেন জেতার সুযোগ।

শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, “গ্লিটেরিয়া” আমাদের প্রথম এক্সক্লুসিভ হীরার গহনার ব্র্যান্ড এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে আধুনিক নারীর প্রতিদিনের মুহূর্তগুলো আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন, “গ্লিটেরিয়া ব্র্যান্ড জোন আমাদের স্টোরের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে। গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তারা এসে আমাদের বিশেষ অফার কাজে লাগান এবং নতুন কালেকশন দেখুন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমি ‘গ্লিটেরিয়া’র সম্পূর্ণ সাফল্য কামনা করছি, যা এই রাজ্যে প্রথমবারের মতো নতুন রূপে যাত্রা শুরু করলো।” তিনি আরোও বলেন, এ রাজ্যে এমন একটি ব্র্যান্ড আত্মপ্রকাশ করল, যা এখানকার গয়না প্রেমীদের জন্য দারুণ সুযোগ আনবে।

দর্শনা বণিক তার মোহময়ী উপস্থিতি ও গ্লিটেরিয়ার সৌন্দর্যে অতিথি ও গ্রাহকদের মুগ্ধ করেন। এই নতুন কালেকশন এবং বিশেষ অফার ইতিমধ্যেই গয়না প্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। হীরার গহনার জগতে গ্লিটেরিয়া হতে চলেছে এক নতুন নাম, যা শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সের গৌরব আরও বাড়াবে

ভারতের

ভারত-ইংল্যান্ড T20 সিরিজের ৫ম ম্যাচেও বিশাল জয় ভারতের!

ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পঞ্চম ও শেষ টি২০ ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডকে ১৫০ রানে পরাজিত করে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এই ম্যাচে ব্যাট এবং বল হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন অভিষেক শর্মা, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 ইংল্যান্ড টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় ভারতকে। খেলতে নামে ওপেনার অভিষেক শর্মা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেন। মাত্র ৫৪ বলে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ৭টি চার এবং ১৩টি ছক্কা। তার এই ইনিংসটি ভারতের T20 আন্তর্জাতিক ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি হিসেবে স্থান পেয়েছে; তিনি মাত্র ৩৭ বলে শতরান পূর্ণ করেন, যা রোহিত শর্মার ৩৫ বলে সেঞ্চুরির পরেই আসে। অভিষেকের এই বিধ্বংসী ইনিংসের ফলে ভারত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। ইংল্যান্ডের বোলাররা তার আক্রমণের সামনে অসহায় ছিল। বিশেষ করে, মার্ক উড এবং জোফ্রা আর্চার তাদের স্পেলের সময় প্রচুর রান দেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরুতেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ফিল সল্ট কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তা যথেষ্ট ছিল না। ইংল্যান্ডের পুরো দল মাত্র ১০.৩ ওভারে ৯৭ রানে অলআউট হয়।

বল হাতেও অভিষেক শর্মা তার দক্ষতা প্রদর্শন করেন। তিনি মাত্র এক ওভারে ৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন, যা ইংল্যান্ডের ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে দিতে সহায়তা হয়। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন অভিষেক শর্মা। সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য বরুণ চক্রবর্তী সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান; তিনি সিরিজে মোট ১৪টি উইকেট নিয়েছেন।

এই জয়ের মাধ্যমে ভারতীয় দল প্রমাণ করেছে যে তারা T20 ফরম্যাটে কতটা শক্তিশালী। অভিষেক শর্মার উত্থান দলের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি, এবং তার এই পারফরম্যান্স ভবিষ্যতে দলের জন্য আরও সাফল্য বয়ে আনবে বলে আশা করা যায়।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার ম্যাচের পরে ভারতের কনকাশন বদলির বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “পরবর্তীম্যাচে আমরা ১২ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলব,” যা ভারতের কনকাশন বদলির সিদ্ধান্তের প্রতি তার অসন্তোষের ইঙ্গিত দেয়।

সিরিজের পরবর্তী ধাপে উভয় দলই একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হবে, যা নাগপুরে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় দলের এই জয় এবং অভিষেক শর্মার অসাধারণ পারফরম্যান্স দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। তার এই ইনিংসটি দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হবে বলে বিশ্বাস এবং তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য প্রেরণার উৎস হবে এই পারফরম্যান্স। T20 সিরিজের এই ফলাফল উভয় দলের মনোবলেই প্রভাব ফেলবে, এখন দেখার একদিনের সিরিজে তারা কে কেমন পারফর্ম করে।

বিশ্ব

বিশ্বকাপ অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা T20 বিশ্বকাপে ঐতিহাসিক জয় ভারতীয় মহিলাদের।

অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা T20 বিশ্ব-কাপে অপরাজিত থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করল ভারতের মেয়েরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৯ উইকেটে জয় লাভ করে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দল। এই জয়ের মাধ্যমে তারা আবারও প্রমাণ করল, বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতীয় মহিলারাও কোন অংশে কম নয়।

ফাইনালের সংক্ষিপ্ত স্কোর:

»দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ঃ ৮২/১০ (২০ ওভার)
»ভারত মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ঃ ৮৪/১ (১১.২ ওভার)

টস জিতে ভারত প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে যায়। ভারতীয় বোলারদের দুর্দান্ত স্পিন ও পেস আক্রমণের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। দলের হয়ে আয়ুশি শুক্লা, পারুনিকা সিসোদিয়া ও শাবনম শাকিল গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। প্রতিপক্ষের একমাত্র কিছু ব্যাটার ছাড়া কেউই তেমন স্কোর গড়তে পারেননি, যা ভারতের শক্তিশালী বোলিংয়েরই প্রমাণ।

জবাবে, মাত্র ৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ভারতীয় ব্যাটাররা শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে। ওপেনার গংগাদি তৃষা ২৪ বলে ৩৮ রান করেন এবং সানিকা চালকে ১৫ বলে ২২ রান করেন। অধিনায়ক নিকি প্রসাদ দলকে সহজ জয়ে পৌঁছে দেন। ১১.২ ওভারেই ভারতীয় দল লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে। পুরো টুর্নামেন্টেই ভারত অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতেছে। প্রতিটি ম্যাচে তাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং ছিল অসাধারণ। কোচিং স্টাফের দারুণ পরিকল্পনা এবং খেলোয়াড়দের চেষ্টার ফলেই ভারত দ্বিতীয়বারের মতো এই শিরোপা ঘরে তুলেছে।

চ্যাম্পিয়ন দলের তারকারাঃ

  1. নিকি প্রসাদ (অধিনায়ক)
  2. গুনালান কামালিনী (উইকেটকিপার)
  3. গংগাদি তৃষা
  4. সানিকা চালকে
  5. ঈশ্বরী আওসারে
  6. মিথিলা বিনোদ
  7. আয়ুশি শুক্লা
  8. যোশিথা ভি জে
  9. শাবনম শাকিল
  10. পারুনিকা সিসোদিয়া
  11. বৈষ্ণবী শর্মা

এই বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে ভারতের মহিলা ক্রিকেট আরও শক্তিশালী হলো এবং তরুণ প্রতিভাদের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভবিষ্যতে সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়ার পথ খুলে দিল। ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করছেন, এই দলই একদিন সিনিয়র পর্যায়ে ভারতের হয়ে বড় মঞ্চে সাফল্য বয়ে আনবে। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলের এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য গোটা দেশ আনন্দে মেতেছে। সকল ক্রিকেটপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞরা তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য কামনা করছে পুরো ভারতবাসী!

শচীন

ভারতীয় ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ‘সি.কে.নাইডু লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার পেলেন শচীন তেন্ডুলকর।

শচীন টেন্ডুলকর ক্রিকেট দুনিয়ায় একটি অবিস্মরণীয় নাম। ভারতীয় ক্রিকেটে অতুলনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিসিসিআই (BCCI)  “ক্রিকেটের ঈশ্বর” শচীন তেন্ডুলকরকে সম্মানিত করল। তাঁকে প্রদান করা হল ‘সি.কে.নাইডু লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার, যা দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিগুলির মধ্যে অন্যতম।

বিসিসিআই-এর এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করেন শচীন। ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে অসংখ্য রেকর্ডের মালিক শচীন। তিনি প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি শতরান করার কৃতিত্ব অর্জন করেন

পুরস্কার গ্রহণের পর শচীন বলেন, “এটি আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য খেলতে পারা ছিল আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান। বিসিসিআই এবং সমর্থকদের ভালোবাসাই আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।” শচীনের এই বিশেষ সম্মানপ্রাপ্তিতে ক্রিকেট মহল এবং তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়রাও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেটে শচীন তেন্ডুলকরের অবদান আরও একবার স্বীকৃতি পেল, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করবে।

ইমার্জেন্সি

কঙ্গনা রানাউতের “ইমার্জেন্সি” চলচ্চিত্র শুধুই কি বিনোদনের উদ্দেশ্যে??

বহু প্রতীক্ষিত বলিউড চলচ্চিত্র “ইমার্জেন্সি” ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এটি ভারতের অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক অধ্যায়, ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলকে কেন্দ্র করে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও প্রধান অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত, যিনি নিজেই ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটি ১৯৭৫ সালে ভারতের জরুরি অবস্থার সময়কার ঘটনাবলী তুলে ধরেছে। সেই সময়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, যার ফলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে এবং অসংখ্য রাজনৈতিক বিরোধী কারাবন্দি হন। কঙ্গনা রানাউত ছবিটিতে দেখানোর চেষ্টা করেছেন কীভাবে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন এবং কীভাবে সেই সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল।

এই চলচ্চিত্রে কঙ্গনা রানাউত ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, শ্রেয়াস তালপাড়ে, মিলিন্দ সোমান ও সতীশ কৌশিক। প্রতিটি চরিত্রই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্ব করছে। কঙ্গনার অভিনয় দর্শকদের একাংশের প্রশংসা পেলেও অনেকের মতে, চরিত্রটি আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলা যেত। ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তির প্রথম দিনে প্রায় ২.৩৫ কোটি টাকা আয় করেছে। তবে ছবিটি প্রত্যাশিত বক্স অফিস সাফল্য পায়নি। মুক্তির প্রথম সপ্তাহ শেষে মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭.৪৪ থেকে ২২ কোটি টাকা। বক্স অফিস বিশ্লেষকদের মতে, ছবির রাজনৈতিক বিষয়বস্তু এবং নির্দিষ্ট দর্শকগোষ্ঠীর কারণে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।

চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কঙ্গনা রানাউতের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর সুন্দর পুনর্গঠন হয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফি ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ভালো মানের। কিন্তু কিছু সমালোচকের মতে, ছবিটি ঐতিহাসিক সত্যের পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চিত্রনাট্য অনেক জায়গায় দুর্বল মনে হয়েছে। গল্পের গভীরতা এবং অন্যান্য চরিত্রের বিকাশ আরও বেশি দরকার ছিল। এই চলচ্চিত্রটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হওয়ায় অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেস পার্টির অনেক নেতা এই চলচ্চিত্রকে “একপাক্ষিক” এবং “প্রোপাগান্ডা” বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, এটি ভারতের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে পুনরায় সামনে আনতে সাহায্য করেছে।

চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে প্রত্যাশিত সাড়া না পেলেও, নির্মাতারা আশা করছেন যে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটি ভালো পারফরম্যান্স করবে। আগামী মার্চ ২০২৫ নাগাদ এটি কোনো একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘ইমার্জেন্সি’ একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক সিনেমা, যা ভারতের অন্যতম বিতর্কিত সময়কে পর্দায় উপস্থাপন করেছে। যদিও এটি বক্স অফিসে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, তবে ইতিহাসপ্রেমী দর্শকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র।

সিরিজে

ভারত-ইংল্যান্ড, টি-টোয়েন্টি সিরিজের ব্যবধান ২-১ এ নেমে এসেছে!

রাজকোটের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ২৬ রানে জয় লাভ করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিজেদের টিকে থাকার আশা বজায় রেখেছে ইংল্যান্ড। ভারত টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা মসৃণ ছিল না। জস বাটলার টানা তৃতীয়বার টস হারেন, এবং ভারত টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ফিল সল্ট দ্রুত আউট হন, তবে বেন ডাকেট এবং জস বাটলারের মধ্যে একটি শক্তিশালী জুটি গড়ে ওঠে, যা দলের স্কোরকে স্থিতিশীল করে। তাদের এই পার্টনারশিপ ভারতীয় স্পিনারদের চাপে ফেলে দেয়।

ভারতের বোলারদের মধ্যে বরুণ চক্রবর্তী অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। তার দুর্দান্ত গুগলির সামনে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা সমস্যায় পড়েন। বরুণ চক্রবর্তী পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংস করেন। ইংল্যান্ডের ইনিংসে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি উল্লেখযোগ্য ছিল, যেখানে তিনি পাঁচটি ছক্কা মারেন। তার এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ইংল্যান্ডের স্কোরকে ১৭১ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা দ্রুত আউট হন। তিলক ভার্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন, তবে ইংল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তারা সফল হতে পারেননি।ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে আদিল রশিদ এবং ব্রাইডন কার্সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ভারতের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয়।

শেষ পর্যন্ত, ভারত ২০ ওভারে ১৪৫ রান করে অলআউট হয়, এবং ইংল্যান্ড ২৬ রানের জয় লাভ করে। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের ব্যবধান ২-১ এ নেমে আসে এবং পরবর্তী ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে ইংল্যান্ড। ম্যাচ-পরবর্তী সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, “এই জয় আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দল হিসেবে আমরা আমাদের সক্ষমতা দেখিয়েছি এবং সিরিজে ফিরে এসেছি। আমাদের বোলাররা আজ অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।” ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, “আমরা আজ আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। ইংল্যান্ডের বোলাররা আজ আমাদের চাপে রেখেছে। আমাদের পরবর্তী ম্যাচে ফিরে আসতে হবে এবং আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে।” সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি পুনেতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে উভয় দলই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে। ইংল্যান্ড সিরিজ সমতায় আনতে চাইবে, আর ভারত সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে।