মুকুল দেবের অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড

অভিনেতা মুকুল দেবের মৃত্যু সংবাদ জানালেন ভাই রাহুল দেব!

বলিউডের পরিচিত মুখ, অভিনেতা মুকুল দেবের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদনজগতে। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন এই প্রতিভাবান অভিনেতা। মৃত্যুর খবর প্রথমবার প্রকাশ্যে আনেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। কিন্তু মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তখন বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এবার ভাই ও খ্যাতনামা অভিনেতা রাহুল দেব সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলেন দাদার মৃত্যুর খবর ও শেষকৃত্যের বিবরণ।
রাহুল দেব তাঁর বিবৃতিতে লেখেন, “গত রাতে নয়াদিল্লিতে আমার দাদা মুকুল শান্তিতে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এই সময়ে আমাদের পরিবার চরম শোকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। নয়াদিল্লিতে ওঁর শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে। ওঁর আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন।”

সূত্র মারফত জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মুকুল দেব। তবে গত ৮-১০ দিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নয়াদিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই আইসিইউতে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত তিনি ঐ বেসরকারি হাসপাতালেই মারা যান। তবে ঠিক কী রোগে ভুগছিলেন তিনি, সে বিষয়ে পরিবারের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মুকুল দেবের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মনোজ বাজপেয়ী ছাড়াও সমাজমাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা বিন্দু দারা সিংহ, দীপশিখা নাগপাল, এবং আরও অনেকে। অনেকে তাঁর নয়াদিল্লির বাসভবনে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন।

মুকুল দেব ১৯৯৬ সালে বলিউডে অভিষেক করেন ‘দস্তক’ ছবির মাধ্যমে, যেখানে এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এরপর একাধিক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন পার্শ্বচরিত্রে, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি সবসময়ই ছিল শক্তিশালী ও স্মরণীয়। সলমন খান অভিনীত ‘জয় হো’ ছবিতে তাঁর চরিত্র দর্শকদের বিশেষভাবে মনে রয়েছে। হিন্দির পাশাপাশি তিনি মালয়ালম, গুজরাতি, পঞ্জাবি, মারাঠি, ইংরেজি এবং বাংলা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। বাংলা ছবিতে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে আছে ‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’ এবং ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়র’। বিশেষত অ্যাকশনধর্মী চরিত্রে তাঁর পারফরম্যান্স প্রশংসা কুড়িয়েছিল বাংলা দর্শকদের কাছেও।cropped 800X800

'আবির গুলাল’ মুক্তি পাচ্ছে না ভারতে

পাকিস্তানি শিল্পীর অভিনীত চলচ্চিত্র ‘আবির গুলাল’ মুক্তি পাচ্ছে না ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে!

পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের অভিনীত এবং বলিউড অভিনেত্রী বাণী কাপুরের সহ-অভিনীত হিন্দি ছবি ‘আবির গুলাল’ আর ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে না। কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, সদ্য জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওে ঘটে যাওয়া নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পটভূমিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় ২৭ জন নিরীহ পর্যটক ও এক কাশ্মীরি নির্মমভাবে প্রাণ হারান, যা গোটা দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। আগামী ৯ মে ‘আবির গুলাল’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আরতি এস বাগদি এবং প্রযোজনা করেছেন বিবেক বি আগরওয়াল। কিন্তু মুক্তির আগেই চলচ্চিত্রটি প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে, বিশেষ করে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা (এমএনএস) দলের পক্ষ থেকে। এমএনএস দাবি তোলে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় কোনো পাকিস্তানি শিল্পীর কাজ ভারতে চলতে দেওয়া যাবে না।

পহেলগাঁও হামলার পর চলচ্চিত্রটির বিরোধিতা আরও জোরদার হয়। এমএনএস নেতা আমেয় খোপকর বলেন, “আমরা বহুদিন ধরেই পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতের মাটিতে কাজ করতে বাধা দিয়ে আসছি। এবারও করবো। সাহস থাকলে ছবিটি মুক্তি দিয়ে দেখান, আমরা তা আটকাবই।” একইসঙ্গে, ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (FWICE), বলিউডের বৃহত্তম কর্মী সংগঠন, ফের পাকিস্তানি শিল্পী ও প্রযুক্তিবিদদের সম্পূর্ণ বয়কটের ঘোষণা করে।

FWICE-এর বিবৃতিতে বলা হয়, “পহেলগাঁওের সন্ত্রাসী ঘটনার পর আমরা আবারও সমগ্র ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, কোনো পাকিস্তানি শিল্পী, গায়ক বা প্রযুক্তিবিদকে কাজে লাগানো চলবে না। এটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে কোনো ধরনের পারফর্ম্যান্স বা সহযোগিতা হলেও প্রযোজ্য হবে।” তারা আরও জানায়, কোনো প্রযোজক বা পরিচালক যদি এই নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংগঠনটি স্পষ্ট করে দিয়েছে, ‘আবির গুলাল’ এর ভারতে মুক্তি প্রতিহত করতে তারা সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সূত্রে জানা গেছে, দেশের বহু সিনেমা হল মালিক এবং বিনোদন সংস্থাই ‘আবির গুলাল’ প্রদর্শন করতে প্রস্তুত ছিলেন না। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে সিনেমাটি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও #BoycottAbirGulaal ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়ে, জনমত গড়ে ওঠে সিনেমাটি না দেখানোর পক্ষে। সবদিক বিচার করে মন্ত্রক ছবির মুক্তির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, অভিনেতা ফাওয়াদ খান সোশ্যাল মিডিয়ায় পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করে শোকপ্রকাশ করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লেখেন, “পহেলগাঁওে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস ঘটনার খবর শুনে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। এই কঠিন সময়ে আমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করি।”

উল্লেখ্য, পাকিস্তানি শিল্পীদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান নতুন নয়। ২০১৬ সালের উরি হামলার পর ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে পাকিস্তানি অভিনেতাদের কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ফাওয়াদ খান সেই সময় করণ জোহরের ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে অভিনয় করে সমালোচনার মুখে পড়েন। পরবর্তীতে করণ জোহর প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, তিনি আর পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করবেন না। ২০১৭ সালে শাহরুখ খান অভিনীত ‘রইস’ সিনেমাও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে, কারণ সেখানে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়।

বর্তমানে দেশজুড়ে জাতীয় আবেগ প্রবল। পহেলগাঁও হামলার নির্মমতা দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছে। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিনোদন শিল্পের বৃহত্তর অংশ একত্রে ‘আবির গুলাল’ ছবির মুক্তি রোধ করেছে। এ সিদ্ধান্ত দেশের মানুষের আবেগ ও নিরাপত্তার প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।About Us

ক্রীড়াক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ

ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজারঘাট স্টেডিয়ামকে আধুনিকরণ করা হচ্ছে!

ক্রীড়াক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ
ক্রীড়াক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ

ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলতে উদ্যোগী হয়েছে ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যের প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের জন্য আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আগরতলার বাধারঘাটে দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তিনটি অত্যাধুনিক ক্রীড়া স্থাপনার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। উদ্বোধন করা হয় দেবভক্তি জমাতিয়া সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক টার্ফ, স্বদেশপ্রিয় নন্দী সিন্থেটিক হকি গ্রাউন্ড এবং প্রতুল ভট্টাচার্য সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল গ্রাউন্ড। প্রয়াত তিন বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এই নামকরণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠেন। তাদের অবদান রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রে অনস্বীকার্য। প্রয়াত দেবভক্তি জমাতিয়া, স্বদেশপ্রিয় নন্দী এবং প্রতুল ভট্টাচার্যের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ক্রীড়া ক্ষেত্রগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ত্রিপুরার ক্রীড়া ইতিহাসকে সংরক্ষণের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে আমবাসায় নির্মিত ২০০ শয্যার যুব হোস্টেলের নামকরণ করা হয়েছে মধুসূদন সাহার নামে।”

মুখ্যমন্ত্রী প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “সঠিক পরিকাঠামো ও সুযোগ পেলে রাজ্যের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে সক্ষম হবেন। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন পদ্মশ্রী অলিম্পিয়ান জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার।” তিনি আরও বলেন, “যুব সমাজকে মাদকাসক্তির ছোবল থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। সুস্থ মন ও দেহ গঠনে ক্রীড়ার ভূমিকা অপরিসীম।” রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার একাধিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আগরতলার ভোলাগিরিতে উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, রাজ্যের বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের অবদান স্মরণীয় রাখতে বিভিন্ন ক্রীড়া স্থাপনার নামকরণ তাঁদের নামে করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, “রাজ্যের ক্রীড়া পরিকাঠামোকে বিশ্বমানের করে তুলতে সরকার নিরলস পরিশ্রম করছে। নতুন অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি পুরোনো পরিকাঠামোগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের পদাধিকারী সুকান্ত ঘোষ, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা এস বি নাথ, পদ্মশ্রী অলিম্পিয়ান জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রয়াত ক্রীড়াবিদদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমী যুবসমাজ আধুনিক পরিকাঠামোর সুবিধা পাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামো রাজ্যের খেলোয়াড়দের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও বেশি সুযোগ এনে দেবে। ক্রীড়াক্ষেত্রে এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে ত্রিপুরাকে দেশের অন্যতম ক্রীড়া কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।About Us

ক্রিকেট

ভারতীয় ক্রিকেট টিম আবারো প্রমাণ করলো ক্রিকেট দুনিয়ায় তাদের টক্করে কেউ নেই!

ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি সোনালী অধ্যায় লিখল ভারত! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো টিম ইন্ডিয়া। একটিও ম্যাচ না হেরে তারা বিশ্বকাপ নিজেদের দখলে নিল। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের আধিপত্য আরও একবার প্রমাণ করল।

সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু রোহিত শর্মা নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ক্যাঙ্গারুর বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সহজ জয় নিশ্চিত করে। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি এবং শুভমান গিল দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, আর বল হাতে মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব মিলিতভাবে ৭ উইকেট শিকার করেন।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) শুরু থেকেই জানিয়ে দেয়, ভারতীয় দল পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না। সেই কারণে আইসিসি বাধ্য হয়ে ফাইনালসহ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো দুবাইতে স্থানান্তর করে। আয়োজক পাকিস্তানের দর্শকদের নিজ দেশে খেলা দেখার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। এছাড়া, ভারতীয় দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তান দুইভাবে হতাশায় ডুবে যায়— প্রথমত, নিজেদের দেশে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি, দ্বিতীয়ত, ভারত সেমিফাইনালের আগেই পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়!

ফাইনালে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২‌৫১/৯ রান সংগ্রহ করে। কিউইদের পক্ষে কেন উইলিয়ামসন (৮৭), ডেভন কনওয়ে (৫৬) কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন, তবে ভারতীয় বোলারদের সামনে তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যশপ্রীত বুমরাহ (৩/৪৫), কুলদীপ যাদব (২/৩৯) এবং মোহাম্মদ সিরাজ (২/৪৮) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। জবাবে, ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রাখে। রোহিত শর্মা , শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলির অনবদ্য ব্যাটিং করে দলকে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে ভারত বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়েছিল। এই পরাজয়ের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমর্থকদের মধ্যে ভারত-বিরোধী মনোভাব আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ফাইনালের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অনেক সমর্থক পোস্ট করছিলেন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলেন যেন ভারত ট্রফি না জেতে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো! ভারতীয় সমর্থকরাই শেষ হাসি হেসেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের দখলে নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশি সমর্থকদের সব আশা গুড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার এই অসাধারণ জয় আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত। বিশ্বকাপে অপরাজিত থেকে জয়ী হওয়া সত্যিই এক অনন্য কৃতিত্ব!” সারা ভারতজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে উদযাপন করেছে, আতশবাজি ফুটিয়েছে। ত্রিপুরা সহ মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা সহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে ভারতীয় সমর্থকরা এ জয় উদযাপন করেছে। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত আরও একবার প্রমাণ করল যে তারা আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি। এবার ভারতীয় সমর্থকদের চোখ ২০২৭ বিশ্বকাপের দিকে, যেখানে তারা আরও একবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে!About Us

ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ভারত

ভারতের অশ্বমেধের ঘোড়া ক্যাঙ্গারুকে টপকে ফাইনালে!

ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক দিন! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে আজ। এই জয়ের নায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল, যাঁদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভারতকে গৌরব এনে দিয়েছে।

প্রথম ইনিংসঃ

টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতীয় বোলারদের বিধ্বংসী আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে তারা। পুরো ৫০ ওভার খেললেও অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতের বোলাররা শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে, যেখানে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজের দাপটে ধসে পড়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপ।

দ্বিতীয় ইনিংসঃ

২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ইনিংসের শুরুটা বেশ সতর্কতার সঙ্গে হয়। তবে বিরাট কোহলি তাঁর চিরচেনা ছন্দে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ভারতীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস চরমে পৌঁছায় যখন শেষের দিকে কে এল রাহুল একটি বিশাল ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ১১ বল বাকি থাকতেই ভারত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

অগ্রগতিঃ

গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল। সেই হারের প্রতিশোধ এবার নিয়ে নিল রোহিত শর্মার দল। তার মানে ভারতীয় ক্রিকেট নিজেদের শুধরে নিয়েছে এবং অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। পুরো ম্যাচ জুড়ে ভারতীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখার মতো ছিল।

প্রতিক্রিয়াঃ

ভারতের এই জয়ের সাথে সাথেই যেন উচ্ছ্বাসে ফেটে গেল ভারতীয় সমর্থকদের আবেগে! গ্যালারি কাঁপানো চিৎকার, তেরঙ্গা উড়িয়ে বিজয় উল্লাস—সমস্ত দেশ যেন একসঙ্গে নাচতে শুরু করল! “জয় হিন্দ! ভারত মাতা কি জয়!”—গর্জে উঠল হাজারো কণ্ঠ। রাস্তায় বাজি, ঢাক-ঢোল, বিজয় মিছিল—এ যেন এক উৎসব! কেউ আবেগে কেঁদে ফেলছে, কেউ লাফিয়ে উঠে প্রতিবেশীদের গলায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে! সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক পোস্ট, মিম, ভিডিও—পুরো দেশ যেন জয়োৎসবে ভাসছে! এ যেন শুধু এক ম্যাচের জয় নয়, হৃদয়ের জয়, দেশের জয়!

অন্যদিকে ভারতের এই জয়ের পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কিছু সমর্থক হতাশ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত-বিরোধী পোস্ট দিতে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার ভারতের ফাইনাল পরাজয়ের জন্য প্রার্থনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন।

অপেক্ষায়ঃ

এখন ভারতের সামনে ফাইনালের বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে পাকিস্তানে। সেই ম্যাচের বিজয়ী দলের সঙ্গেই ভারত লড়বে দুবাইয়ের ফাইনালে। সমগ্র ভারতীয় সমর্থকরা এখন আশায় বুক বেঁধেছেন, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জন্য।About Us

ভারতীয় ক্রিকেটের জয় অব্যাহত

বরুণ চক্রবর্তী ভারতীয় বোলিংয়ের নতুন নক্ষত্র!

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আজকের ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ভারত তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে। ম্যাচের শুরুতে নিউজিল্যান্ড টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভারতকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায়। ভারত প্রথম ইনিংসে ২৪৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, যা তাদের বোলিং শক্তির কারণে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে পরিণত হয়।

প্রথম ইনিংসঃ

আজ ভারতীয় দলে বড় স্কোর গড়ার মতো কেউ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। ইনিংসের শুরুতেই রোহিত শর্মা (৩২) এবং শুভমান গিল (৪৫) একটি ভালো জুটি গড়ে তোলেন। তবে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা মাঝের ওভারে আক্রমণাত্মক বোলিং দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নেন। তারপর, বিরাট কোহলি (৫১) এবং শ্রেয়াস আইয়ার (৪১) গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন। শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজার ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস ভারতকে ২৪৯ রানে পৌঁছে দেয়। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে লকি ফার্গুসন এবং ট্রেন্ট বোল্ট দুটি করে উইকেট নেন।

দ্বিতীয় ইনিংসঃ

জয়ের জন্য ২৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ভালো শুরু করলেও ভারতীয় বোলারদের সামনে বেশি সময় টিকতে পারেনি। ওপেনার ডেভন কনওয়ে (৪২) এবং উইল ইয়ং (৩৩) শুরুটা ভালো করলেও ভারতীয় বোলাররা একের পর এক আঘাত হানতে থাকে। মাঝের ওভারে বরুণ চক্রবর্তী তার অসাধারণ স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারকে ধ্বংস করে দেন। তার দুর্দান্ত গুগলি এবং ভ্যারিয়েশন সামলাতে না পেরে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক উইকেট হারায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানরা তাকে যথাযথ সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪৬.২ ওভারে ২০৫ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড, এবং ভারত ৪৪ রানের জয় হাসিল করে নাই।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ

এই ম্যাচে ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। তার অসাধারণ স্পিন বোলিং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের পিচে টিকতে দেয়নি। বরুণ ৯ ওভারে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন, যা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। তার গুগলি এবং ক্যারম বল সামলাতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়। বরুণের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য তাকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তী ম্যাচঃ

ভারতীয় দল এই জয়ের ফলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে এবং পরবর্তী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। ম্যাচটি আগামী ৫ মার্চ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং ও বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। আজকে বরুণ চক্রবর্তীর এবং বর্তমানে দলের পারফরমেন্স ভারতীয় সমর্থকদের আশাবাদী করে তুলেছে যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত জয়ের পথ প্রশস্ত করবেAbout Us

নিরাপত্তার খেলা

পাকিস্তানের মাটিতে নিরাপত্তাহীনতায় ক্রিকেট!

সন্ত্রাস আর অস্থিতিশীলতার জন্য গোটা বিশ্বে কুখ্যাত পাকিস্তান। একাধিক জঙ্গি সংগঠনের আশ্রয়স্থল এই দেশকে আন্তর্জাতিক মহলও বহুবার সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানের এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, আর ঠিক সেই কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত তাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার প্রশ্নে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে পাঠায়নি।

নিরাপত্তাঃ

এবার প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে রাজি হয়নি কিন্তু পাকিস্তান কেন ভারতের মাটিতে খেলতে রাজি নয়? এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাকিস্তানে না যায়, তাহলে পাকিস্তানও ভারতে খেলতে আসবে না। ভারতের না যাওয়ার যৌক্তিক কারণ ছিল। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয়দের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে! তাই স্বাভাবিকভাবেই বিসিসিআই (BCCI) চেয়েছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে।

কিন্তু পাকিস্তান এখন সেই একই যুক্তি দিয়ে ভারতের মাটিতে খেলতে যেতে চাইছে না! এটা নিতান্তই হাস্যকর যুক্তি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা শুধুই একগুঁয়েমি এবং ভারতকে ছোট করার চেষ্টা শুধুমাত্র। ভারত পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসপ্রবণ দেশ নয়। ভারত নিয়মিত আইসিসির (ICC) অন্যান্য টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট বাজারও ভারত। তাহলে কেন পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেলতে চাইছে না?

কোণঠাসা করার চেষ্টা?

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের পেছনে তাদের আসল উদ্দেশ্য ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা। পাকিস্তান চায়, ভারত যেন রাজনৈতিক কারণে ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারত ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো বড় টুর্নামেন্টই সফলভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়।

ভারতে খেলা না হওয়ার সম্ভাবনা!

এশিয়া কাপ ২০২৫-এর আয়োজক ভারত হলেও, পুরো টুর্নামেন্ট হতে পারে শ্রীলঙ্কা অথবা দুবাইয়ে। কারণ পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেলতে রাজি নয়। ফলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) চাইছে পুরো টুর্নামেন্ট ভারতের বাইরে সরিয়ে নিতে। দুবাইয়ের গরমের কারণে শ্রীলঙ্কার মাঠ ব্যবহার করতে পারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপেও পাকিস্তান আয়োজক হয়েও ভারতের ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় রাখা হয়েছিল। এবার সেই একই ফর্মুলায় পুরো টুর্নামেন্টই ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে আয়োজক হিসেবে থাকবে ভারতই ।

এশিয়া কাপের মহারণ!

ক্রিকেট মহলে গুঞ্জন চলছে, এশিয়া কাপের সূচি এমনভাবে তৈরি করা হতে পারে যাতে কমপক্ষে দু’বার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়। গ্রুপ পর্বে দুই দলকে একই গ্রুপে রাখা হতে পারে। যদি দুই দল ফাইনালে পৌঁছে যায়, তাহলে তিনবারই মুখোমুখি হতে পারে ক্রিকেটের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা

রাজনৈতিক খেলা!

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট মানেই রোমাঞ্চ। কিন্তু পাকিস্তান সবসময়ই ক্রিকেটকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। ভারত যেখানে ক্রিকেটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে আপসহীন, সেখানে পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতকে বিপাকে ফেলতে চাইছে। বিশ্ব জানে, পাকিস্তান হচ্ছে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। তাই ভারত সেই দেশের মাটিতে খেলতে যেতে চায়নি এবং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাকিস্তান কেন ভারতের মতো নিরাপদ দেশে খেলতে রাজি নয়? এর পেছনে আসল রহস্য কী? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন!About Us

প্রধানমন্ত্রীর হাতে ঐতিহ্যবাহী লণ্ঠন

বিহার নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে লন্ঠন!

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে রাজ কাপুর এক অবিস্মরণীয় নাম। অভিনয়, পরিচালনা ও প্রযোজনার মাধ্যমে ভারতীয় সিনেমাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এই কিংবদন্তির জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কাপুর পরিবার এক বিশেষ উদ্যোগ নিল। জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে হাজির হয়েছিলেন কাপুর পরিবারের প্রবীণ ও নবীন প্রজন্মের সদস্যরা। সেই বিশেষ সাক্ষাৎ শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎই ছিল না, বরং কাপুর পরিবার প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছিল এক ঐতিহ্যবাহী বস্তু— রাজ কাপুরের ব্যবহার করা বিখ্যাত লণ্ঠন।

সংগ্রহশালায় আইকনিক’ লণ্ঠন!

কাপুর পরিবারের অন্যতম বর্তমান মুখ রণবীর কাপুর প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে তুলে দেন সেই লণ্ঠন, যা ১৯৬০ সালের বিখ্যাত হিন্দি ছবি ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বহেতি হ্যায়’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সিনেমায় রাজ কাপুরের অভিনয় ছিল মনে রাখার মতো। তার চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই লণ্ঠন আজও সিনেপ্রেমীদের কাছে এক আবেগের প্রতীক। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কাপুর পরিবার সেই লণ্ঠনটিকে সংরক্ষণ করে রেখেছিল, কিন্তু এবার সেটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালায় এটি সংরক্ষিত থাকবে এবং ১লা মার্চ থেকে দর্শনার্থীরা সেটি দেখতে পাবেন।

ভারতীয় সিনেমার ‘শো ম্যান’!

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে রাজ কাপুর এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলি কেবল বিনোদনের মাধ্যম ছিল না, বরং সমাজের বাস্তবতা, মানবিকতা এবং আবেগের প্রতিচ্ছবি ছিল। ‘শ্রী ৪২০’, ‘আওয়ারা’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘সঙ্গম’, ‘ববি’ সহ বহু কালজয়ী সিনেমা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। শুধু ভারতেই নয়, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতেও রাজ কাপুরের সিনেমা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। তাঁর চলচ্চিত্রের গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালার তরফে জানানো হয়েছে, রাজ কাপুরের এই লণ্ঠন শুধুমাত্র একটি সিনেমার স্মারক নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির এক মূল্যবান প্রতীক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে—
“এই লণ্ঠন ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিচিহ্ন। এটি রাজ কাপুরের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যিনি ভারতীয় সিনেমাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কাপুর পরিবারের এই উপহার শুধু একটি স্মৃতিচিহ্ন নয়, বরং ভারতীয় সংস্কৃতির অতীত ও বর্তমানের সংযোগস্থাপন করে।”

রাজ কাপুরের উত্তরাধিকারী!

কাপুর পরিবার ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রেখেছে। পৃথ্বীরাজ কাপুর থেকে শুরু করে রাজ কাপুর, তারপর ঋষি কাপুর, রণধীর কাপুর, করিশ্মা কাপুর, কারিনা কাপুর, রণবীর কাপুর পর্যন্ত এই পরিবার একাধিক প্রজন্ম ধরে বলিউডকে সমৃদ্ধ করেছে। কাপুরদের এই উত্তরাধিকার আজও সমানভাবে বহন করে চলেছে বর্তমান প্রজন্ম। রণবীর কাপুর বর্তমানে বলিউডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা। তাঁর ‘রকস্টার’, ‘বরফি’, ‘সঞ্জু’, ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’ সহ একাধিক ছবির মাধ্যমে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অন্যদিকে, কাপুর পরিবারের আরেক সন্তান, আদর জৈনও চলচ্চিত্রে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলছেন। কাপুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এখনও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়া!

রাজ কাপুরের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আপ্লুত হয়েছিলেন। তিনি নিজেও সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন— “রাজ কাপুর শুধু ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন মহান অভিনেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক প্রকৃত শিল্পী, যিনি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। কাপুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ও তাঁদের থেকে এই মূল্যবান স্মারক গ্রহণ করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

সিনেপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণ!

প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত রাজ কাপুরের এই লণ্ঠন নিঃসন্দেহে ভারতীয় সিনেমার প্রেমীদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ হতে চলেছে। ১লা মার্চ থেকে জনসাধারণ এটি সরাসরি দেখতে পারবে। সিনেমাপ্রেমীরা হয়তো এই ঐতিহাসিক স্মারক দেখতে ভিড় জমাবেন সংগ্রহশালায়। রাজ কাপুরের লিগ্যাসি শুধু সিনেমার পর্দায় সীমাবদ্ধ নেই, তাঁর অবদান ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কাপুর পরিবার যে উত্তরাধিকারকে আজও সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বহন করে চলেছে, তা এই বিশেষ উপহারের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো।About Us

অল ইন্ডিয়া পুলিশ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-2025!

আগরতলায় ৭৩তম বি এন মল্লিক স্মৃতি অল ইন্ডিয়া পুলিশ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শুভ উদ্বোধন!

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে ৭৩তম বি এন মল্লিক স্মৃতি অল ইন্ডিয়া পুলিশ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। সোমবার উমাকান্ত ফুটবল স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ত্রিপুরা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে এবং তাদের ১৫০ বছরের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাতেই নয়, খেলাধুলার ক্ষেত্রেও ত্রিপুরা পুলিশের একটি উজ্জ্বল ভাবমূর্তি রয়েছে।

এই অল ইন্ডিয়া পুলিশ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় দেশের ২৫টি রাজ্য, ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ৭টি কেন্দ্রীয় বাহিনী অংশগ্রহণ করছে। পুরুষ বিভাগে ৩৬টি দল এবং মহিলা বিভাগে ৯টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পশ্চিম ত্রিপুরা, দক্ষিণ ত্রিপুরা এবং গোমতী জেলার ৫টি অ্যাস্ট্রোটার্ফ ফুটবল মাঠে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। তাঁদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই বর্তমানে রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। তিনি ত্রিপুরা পুলিশের প্রশংসা করে বলেন, এই চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের জন্য ত্রিপুরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। এটি রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, প্রথমবারের মতো এত বড় অল ইন্ডিয়া লেভেলের একটি প্রতিযোগিতা ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের খেলোয়াড়দের মধ্যে সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এটি শুধুমাত্র ক্রীড়ার ক্ষেত্রেই নয়, সামগ্রিকভাবে জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তিনি অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের ত্রিপুরার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখার আহ্বান জানান।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা বর্তমানে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র বিভিন্ন পরিকল্পনা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে সড়ক, রেল, বিমান পরিষেবার উন্নতি ঘটছে এবং রাজ্যের সার্বিক বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ‘হীরা মডেল’ রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এর আওতায় ৬টি জাতীয় সড়কের উন্নয়ন ও নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ত্রিপুরার এমবিবি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যা রাজ্যের সংযোগ ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করেছে।

অনুষ্ঠানে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক (DGP) অমিতাভ রঞ্জন, এডিজিপি (ট্রেনিং) এম রাজা মুরুগণ, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, ডিজিপি ইন্টেলিজেন্স অনুরাগ ধ্যানকর-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এডিজিপি (এপি) জি এস রাও স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী ৪৫টি দলের ম্যানেজারদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

এই অল ইন্ডিয়া পুলিশ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুধুমাত্র একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। ত্রিপুরায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে রাজ্যের ক্রীড়া পরিকাঠামো ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে দেশব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা, যেখানে দেশসেরা পুলিশ ফুটবল দলগুলির প্রতিযোগিতার উত্তেজনা তুঙ্গে উঠবে।

চ্যাম্পিয়ন্স

লীগ রাউন্ডের খেলা শেষ হওয়ার পূর্বেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত!

নিরাপত্তার খেলা

ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এক ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নিয়েছে। এই জয়ে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলো, কারণ আজ পর্যন্ত পাকিস্তান কখনোই ভারতকে এই টুর্নামেন্টে হারাতে পারেনি। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করলেও, আজকের হার তাদেরকে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিতে বাধ্য করেছে। ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তান ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও, ভারতের বোলিং ও ব্যাটিং শক্তির সামনে টিকতে পারেনি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য বিরাট কোহলি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হয়েছেন। তার ব্যাটিং দক্ষতার ওপর ভর করেই ভারত পাকিস্তানকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করে। পুরস্কার গ্রহণের সময় বিরাট কোহলি বলেন, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং হয়। দলকে জেতানোই আমার লক্ষ্য ছিল। আমার ইনিংস দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছে, এটাই বড় পাওয়া।”

ভারতের জয়ে দেশজুড়ে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাইসহ বিভিন্ন শহরে ভক্তরা রাস্তায় নেমে বিজয় উদযাপন করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় #ChampionsIndia ট্রেন্ড করছে এবং ক্রিকেট প্রেমীরা খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানে ভক্তদের মধ্যে হতাশা স্পষ্ট। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই পাকিস্তান দলের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন এবং নতুন নেতৃত্ব ও দল পুনর্গঠনের দাবি তুলেছেন।

ভারতের জয় এলেও, ফিল্ডিংয়ে কিছু গাফিলতি স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। বিশেষ করে ক্যাচ মিস ভারতের জন্য বিপজ্জনক হতে পারতো। বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ায় পাকিস্তানকে বড় স্কোর গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যা ভবিষ্যতের ম্যাচগুলোর জন্য ভারতের জন্য বড় সতর্কবার্তা হতে পারে।

ভারত এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী ম্যাচে নামবে ২রা মার্চ, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী দল অপেক্ষা করছে। ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে না পারলে পরবর্তী ম্যাচে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত। তবে বর্তমান ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ভারত আবারও শিরোপার পথে এগিয়ে যাবে। এই জয়ের ফলে ভারতের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে, আর পাকিস্তানের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা, কারণ তারা আয়োজক হয়েও টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিলো।

ভারত আবারও প্রমাণ করলো কেন তারা ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল। পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখল। তবে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে না পারলে, পরবর্তী ম্যাচে চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ২ মার্চ ভারতের পরবর্তী ম্যাচের জন্য ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।About Us