ককবরক দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রীর শুভেচ্ছা।
ককবরক দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে এক শুভেচ্ছাবার্তায় সমগ্র ত্রিপুরাবাসীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। শুভেচ্ছাবার্তায় পর্যটন মন্ত্রী বলেছেন, ককবরক আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের বহুল প্রচলিত একটি প্রাচীন ভাষা। যা হাজার বছর ধরে ত্রিপুরী জনগোষ্ঠীর মানুষজন বলে আসছেন। ককবরক ভাষাটি উত্তর পূর্ব ভারতের প্রাচীন ভাষাগুলির মধ্যে একটি। প্রতি বছর ১৯ জানুয়ারি ককবরক ভাষার উন্নয়নের জন্য আমরা ককবরক দিবস পালন করি। ১৯৭৯ সালে ককবরক ভাষা সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার দিন হিসেবে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে।
ককবরক ভাষা দীর্ঘ বছর ধরে সকলের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে আজ সমৃদ্ধ ও বিকশিত হয়েছে৷ সাহিত্য চর্চাতেও ককবরক ভাষা আজ অনেকটা এগিয়ে গেছে৷ ককবরক এমন একটি ভাষা যা আমাদের শিকড়ের সাথে আবদ্ধ করে, আমাদের ঐতিহ্যের কথা বলে। ককবরক ভাষা কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয় বরং আমাদের পরিচয় এবং গর্বের প্রতিফলন। ককবরক দিবস হল ভাষা, সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের উদযাপনের দিবস।আসুন আমরা সেই ভাষাগত ঐতিহ্যকে লালন করি যা আমাদের একত্রিত করে। এই দিনটি আমাদের রাজ্যে জনজাতি অংশের মানুষের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপনেরও একটি দিন। সরকার রাজ্যের সকল জাতি গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, শিক্ষা, অর্থনৈতিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে৷ ককবরক ভাষার উন্নয়নে ভ্রাতৃত্ববোধের মধ্য দিয়ে সকল জাতি গোষ্ঠীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সকললের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আসুন আমরা সকলে এই দিনটি ককবরক ভাষার উন্নয়নে উদযাপন করি। এই দিনটি ত্রিপুরাবাসীর মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি, সৌভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বার্তা বয়ে আনুক, এই শুভকামনা রইলো।