কংগ্রেসের যুবনেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও কানাইয়া কুমার ত্রিপুরার জনগণের কাছে!
শাসক দল বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম-এর পর এবার রাজধানী আগরতলায় শক্তি প্রদর্শনের পালা কংগ্রেসের। কংগ্রেস এই শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জোরেশোরে। আগামী ১১ মার্চ আগরতলায় আয়োজিত হবে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জনসভা। এই জনসভায় উপস্থিত থাকবেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং যুবনেতা কানাইয়া কুমার। আজ আগরতলায় কংগ্রেস ভবনে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা জানিয়েছেন, আসন্ন জনসভার মূল স্লোগান হবে ‘সংবিধান বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’। তার অভিযোগ, বিজেপি ও আরএসএস দেশের সংবিধান এবং মহান ব্যক্তিত্বদের ভাবাদর্শকে মুছে ফেলতে চাইছে। বিশেষ করে ড. ভীমরাও আম্বেদকর, প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে নস্যাৎ করার চেষ্টায় লিপ্ত বিজেপি।
এর বিরুদ্ধে গোটা দেশ জুড়ে কংগ্রেস পাল্টা প্রচার চালাচ্ছে, যা সংসদের ভেতরে ও বাইরেও সমানভাবে তীব্র হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসাবে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি সংহত করতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে তারা। জেলা ভিত্তিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিয়মিত। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি উদয়পুরে আয়োজিত হবে কংগ্রেস সেবা দলের কনভেনশন। আশীষ কুমার সাহা দাবি করেন, রাজ্যের মানুষ সিপিআইএম ও বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে এখন কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছে। তিনি বলেন, “গ্রাম থেকে পাহাড়, সর্বত্রই মানুষ এখন কংগ্রেসমুখী।”
বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ আনেন পিসিসি সভাপতি। তার দাবি, রাজ্যে কংগ্রেসের অগ্রগতি থামাতে বিজেপি কৌশলগতভাবে সিপিআইএম-এর প্রচার করছে। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা এখন সিপিআইএম-এর নাম বেশি করে মুখে নিচ্ছেন, এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনেও সিপিআইএম-এর হয়ে প্রচার করছেন, যাতে ভোট বিভাজন করে কংগ্রেসকে ঠেকানো যায়। তবে কংগ্রেসকে কোনোভাবেই আটকানো যাবে না।”
এদিকে, রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলেও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে কংগ্রেস। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনজাতি নেতা-কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা ইতিমধ্যেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, যা কংগ্রেসের জনভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগামী ১১ মার্চের জনসভা ত্রিপুরা রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ গড়ে তুলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।