উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়নে, বাজেটে বড়সড় বরাদ্দ..!
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সংযোগ বাড়াতে উড়ান প্রকল্পের আওতায় ১২০টি নতুন গন্তব্য যুক্ত করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে ছোট বিমানবন্দর ও হেলিপ্যাড নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে আগামী ১০ বছরে ৪ কোটি যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
শক্তি ক্ষেত্রে উন্নয়ন
উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্ভরযোগ্যতা ও সহজলভ্যতা বাড়ানোর জন্য বাজেটে শক্তি ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৮ সাল পর্যন্ত জল জীবন মিশনের সম্প্রসারণের কথাও বলা হয়েছে, যা গ্রামীণ এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহকে আরও দৃঢ় করবে।
কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে উন্নতি
কৃষি ক্ষেত্রে আসামের নামরূপে ১২.৭ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সারের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাবে, যা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, আগামী ছয় বছরে এনএএফইডি (NAFED) এবং এনসিসিএফ (NCCF)-এর মাধ্যমে শস্য ও ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
নারী ক্ষমতায়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতি
গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে ডাক বিভাগের ভূমিকা বাড়ানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (MSME)-তে নতুন উদ্যোগ এবং নারী ক্ষমতায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের “সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি” ও পুষ্টি সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
পর্যটন ও গবেষণায় নতুন দিশা
উত্তর পূর্বাঞ্চলে পর্যটন, গবেষণা ও উদ্ভাবন, ডিজিটাল উন্নতি এবং স্থানীয় শিল্পের বিকাশেও বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই বাজেটের বরাদ্দ ও নীতি সংস্কারের ফলে অষ্টলক্ষীর আরও বেশি পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্প প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের এই উদ্যোগ উত্তর পূর্বাঞ্চলকে দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।