ইন্ডিয়া বুকস অফ রেকর্ডসে ঝুমার নাম

ইন্ডিয়া বুকস অফ রেকর্ডসে ঝুমার নাম!

তাস দিয়ে মানচিত্র বানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে এ নাম!

ফের ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলল ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমার প্রতিভাবান ছাত্রী ঝুমা দেবনাথ। পরপর দু’বার এই রেকর্ড গড়ে গোটা রাজ্যের গর্ব হয়ে উঠেছে সে। সম্প্রতি, ২৫ মিনিটে ৯৪১টি তাস দিয়ে এশিয়ার মানচিত্র তৈরি করে সে দ্বিতীয়বারের জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছে। ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ঝুমা দেবনাথ সায়দারপার গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাবা হরিপদ দেবনাথ পেশায় একজন ব্যাংক কর্মচারী ও জ্যোতিষী, যিনি “যাদুকর” হিসেবেও সুপরিচিত। মেয়ের এই সাফল্যে দারুণ গর্বিত তিনি।

প্রথম রেকর্ড গড়ার কাহিনি!

ঝুমার প্রতিভার স্বীকৃতি প্রথম আসে ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে, যখন সে ৮৫০টি তাস দিয়ে ভারতের মানচিত্র তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলেছিল। তার এই কৃতিত্বের জন্য সে স্বর্ণপদক, শংসাপত্র, আইডি কার্ড, রেকর্ড বুক এবং একটি বিশেষ ব্যাজ লাভ করে। তখন থেকেই সে আরও বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

দ্বিতীয়বার নতুন ইতিহাস!

প্রথম সাফল্যের পর আরও বড় কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে ঝুমা আরও কঠোর পরিশ্রম শুরু করে। অবশেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে অনলাইনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে তার নাম নথিভুক্ত হয়। এবার সে ৯৪১টি তাস ব্যবহার করে মাত্র ২৫ মিনিটে এশিয়ার মানচিত্র তৈরি করে নতুন রেকর্ড গড়ে। দ্বিতীয়বারের জন্যও সে সুবর্ণপদক, ব্যাজ, শংসাপত্র, রেকর্ড বুক, পেন এবং আইডি কার্ড লাভ করে।

উচ্ছ্বাস!

ঝুমার পরপর দুটি রেকর্ড গড়া নিয়ে তার পরিবারে খুশির হাওয়া বইছে। বাবা-মা মেয়ের এই সাফল্যে দারুণ গর্বিত। পাশাপাশি, কুমারঘাট মহকুমা জুড়ে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। এলাকার বাসিন্দারা তার প্রতিভার প্রশংসা করে জানিয়েছেন, ঝুমা ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে এবং রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবে

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা!

ঝুমা জানায়, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের ভালোবাসা ও সমর্থন তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। সে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সায়দারপার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বর্তমানে সে ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছে। ভবিষ্যতে সে আরও নতুন রেকর্ড গড়তে চায় এবং পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের প্রতিভাকে আরও বিকশিত করতে চায়। ঝুমার এই সাফল্য প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস থাকলে অসম্ভব কিছুই নয়। তার এই কৃতিত্ব ভবিষ্যতে বহু শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।