ভারত-ইংল্যান্ড, টি-টোয়েন্টি সিরিজের ব্যবধান ২-১ এ নেমে এসেছে!
রাজকোটের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ২৬ রানে জয় লাভ করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিজেদের টিকে থাকার আশা বজায় রেখেছে ইংল্যান্ড। ভারত টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা মসৃণ ছিল না। জস বাটলার টানা তৃতীয়বার টস হারেন, এবং ভারত টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ফিল সল্ট দ্রুত আউট হন, তবে বেন ডাকেট এবং জস বাটলারের মধ্যে একটি শক্তিশালী জুটি গড়ে ওঠে, যা দলের স্কোরকে স্থিতিশীল করে। তাদের এই পার্টনারশিপ ভারতীয় স্পিনারদের চাপে ফেলে দেয়।
ভারতের বোলারদের মধ্যে বরুণ চক্রবর্তী অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। তার দুর্দান্ত গুগলির সামনে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা সমস্যায় পড়েন। বরুণ চক্রবর্তী পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংস করেন। ইংল্যান্ডের ইনিংসে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি উল্লেখযোগ্য ছিল, যেখানে তিনি পাঁচটি ছক্কা মারেন। তার এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ইংল্যান্ডের স্কোরকে ১৭১ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা দ্রুত আউট হন। তিলক ভার্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন, তবে ইংল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তারা সফল হতে পারেননি।ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে আদিল রশিদ এবং ব্রাইডন কার্সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ভারতের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয়।
শেষ পর্যন্ত, ভারত ২০ ওভারে ১৪৫ রান করে অলআউট হয়, এবং ইংল্যান্ড ২৬ রানের জয় লাভ করে। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের ব্যবধান ২-১ এ নেমে আসে এবং পরবর্তী ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে ইংল্যান্ড। ম্যাচ-পরবর্তী সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, “এই জয় আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দল হিসেবে আমরা আমাদের সক্ষমতা দেখিয়েছি এবং সিরিজে ফিরে এসেছি। আমাদের বোলাররা আজ অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।” ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, “আমরা আজ আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। ইংল্যান্ডের বোলাররা আজ আমাদের চাপে রেখেছে। আমাদের পরবর্তী ম্যাচে ফিরে আসতে হবে এবং আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে।” সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি পুনেতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে উভয় দলই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে। ইংল্যান্ড সিরিজ সমতায় আনতে চাইবে, আর ভারত সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে।