আগরতলায় এনএফ রেলওয়ে এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে বৈঠক!
ত্রিপুরার প্রধান রেল স্টেশনটিকে বিশ্বমানের রেল স্টেশনে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সোমবার রাজ্যের রেল পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এনএফ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (কনস্ট্রাকশন) অরুণ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়।বৈঠকে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ওপর আলোচনা হয়—
- রেললাইনের বৈদ্যুতিকরণ: বদরপুর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা।
- সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইন: রাজ্যের একক রেলপথকে দ্বৈত লাইনে রূপান্তরের উদ্যোগ।
- নতুন ট্রেন পরিষেবা: আগরতলা-গুয়াহাটি ইন্টারসিটি ট্রেন, আগরতলা থেকে-জম্মু, পুরী ও গয়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর পরিকল্পনা।
- স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্প: অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় আগরতলা, ধর্মনগর ও উদয়পুর স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়া।
- নতুন রেল সংযোগ প্রকল্প: পেঁচারথল থেকে কৈলাসহর হয়ে ধর্মনগর পর্যন্ত বিকল্প রেললাইন স্থাপন এবং জিরানীয়া থেকে বোধজংনগর ও আরকেনগর শিল্পনগরী পর্যন্ত রেল সংযোগ তৈরি।
- আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগ: সাব্রুম রেল স্টেশন থেকে সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট পর্যন্ত নতুন রেললাইন স্থাপনের পরিকল্পনা।
- বন্দে ভারত এক্সপ্রেস: গুয়াহাটি থেকে আগরতলা পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই।
- পরিবহণ অবকাঠামো উন্নয়ন: সেকেরকোটে ফুয়েল স্টোরেজ ডিপো নির্মাণের অগ্রগতি এবং আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা।
বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী আগরতলা রেল স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশনে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নিতে রেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি স্টেশনগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী এবং পরিবহণ দপ্তরের যুগ্ম সচিব মৈত্রী দেবনাথ।
ত্রিপুরার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি রাজ্যের পরিবহণ খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিকল্পনাগুলি সফল হলে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।