অবৈধ

অবৈধ পারমিট বাতিল করবে পরিবহন দপ্তর

অবৈধ অর্থের বিনিময়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে অটোর রোডম্যাপ

অবৈধ অর্থের বিনিময়ে প্রাপ্ত পারমিট বাতিল করবে পরিবহন দপ্তর; আগরতলা পুরো নিগম এলাকায়। আগরতলা পুরো নিগম এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ রয়েছে। তারপরেও পরিবহন দপ্তরের সক্রিয় একটি চক্র পেছনের দরজা দিয়ে অবৈধভাবে পারমিট পাইয়ে দিচ্ছে। গত ২৫ ডিসেম্বর জিবি – বণিক্য চৌমুহনি রুটের অটোচালকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তারা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছিল। কিভাবে অন্যরুটের অটোগুলো জিবি বণিক্য চৌমুহনি রুটে চলাচল করছে। কে পারপিট দিচ্ছে। প্রশ্ন তুলেছিল তারা? পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নজরে পড়ে বিষয়টি। তার নির্দেশে পরিবহন দপ্তর অটোরিকশা মজদুর সংঘের নেতৃত্বদের ডেকে মঙ্গলবার বিস্তারিতভাবে জেনে নেয় এবং কে বা কারা পারমিট দিয়েছে বা দিচ্ছে তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে। জিবি এবং বণিক্য চৌমুহনী রুটে অবৈধভাবে দেওয়া পারমিট গুলো বাতিল করা হবে বলে পরিবহন দপ্তর থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে অটো রিক্সা মজদুর সংঘের পশ্চিম জেলার সাধারণ সম্পাদক লিটন মোদক জানিয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে আগরতলা শহরের সর্বত্র শর্ট পারমিটের অটোগুলো চলাচল করার কারণে ইদানিং যানজট বেড়েছে। রুট পরিবর্তন করে কি করে তারা শহরের রাস্তায় চলাচল করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।ট্রাফিক বা পরিবহন দপ্তরের কোন ভূমিকা নেই। বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকেও অটোগুলো এসে শহরের রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছে। রাজ্য সরকার বলছে পুরনিগম এলাকায় অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, পারমিট প্রদান বন্ধ হলে বিভিন্ন রূটে কিভাবে প্রতিদিন যাত্রীবাহী অটোর সংখ্যা বাড়ছে। তার মানে পরিবহন দপ্তরে একটা চক্র সক্রিয়। বাম আমলের মত রাম আমলেও অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য পারমিট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।

পরিবহন দপ্তর পারমিট না দিলেও অর্থের বিনিময়ে অটোর রোড ম্যাপ পরিবর্তন হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ অটো চালকদের অন্য রুটের পারমিটপ্রাপ্ত অটোগুলো শহরে বেআইনিভাবে চলাচল করছে। এতে করে প্রতিদিন শহরে যানজটে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কি করে শর্ট পারমিটের যাত্রীবাহী অটোগুলো শহরের রাস্তায় চলাচল করছে, সেটাই প্রশ্ন। আবার পরিবহন দপ্তরে একটি চক্র গজিয়েছে। মোটা টাকার বিনিময় রুট পারমিট চেঞ্জ করে দিচ্ছে। এরকম অভিযোগ ও উঠেছে। আগরতলা পৌর নিগমে অটোর পারমিট প্রদান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। তারপরেও কি করে প্রতিদিন শহরে অটো বাড়ছে সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। গত কয়েক মাস ধরে অটো চালকরা লক্ষ্য করছে জিবি থেকে বণিক্য চৌমুহনী রোডে দিন দিন অটোর ভিড় বাড়ছে। কোথা থেকে এলো এত অটো। অটো গাড়ির পারমিট না দেওয়ার পরেও কিভাবে এলাকায় অটোর সংখ্যা বাড়ছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এগুলি খয়েরপুর, রাজচন্তাই, রানীর বাজার, মোহনপুর, জিরানিয়া, আনন্দনগর সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার অটো। শর্ট পারমিটের অটোগুলির কারণে জিবি থেকে বণিক্য চৌমুহনী রোডে চলাচলকারী অটো চালকরা অসন্তুষ্ট। কারণ তাদের পেটে লাথি পড়ছে।শহর এলাকায় অটোর পারমিট দেওয়া বন্ধ থাকলেও কি করে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের অটোগুলো শহরে চলাচল করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অটোচালকরা। এতে করে জিবি – বণিক্য চৌমুহনী রুটের পারমিট প্রাপ্ত অটো চালকরা প্রতিদিন মার খাচ্ছে। তাদের রোজগার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

মূলবৃদ্ধির বাজারে পরিবার প্রতিপালন করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তাদের প্রশ্ন শহরে অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ তারপরেও কিভাবে প্রতিদিনই নতুন নতুন অটো শহরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। টাকার বিনিময়ে রুট পরিবর্তন করে পারমিট নিয়ে নিচ্ছে একাংশ অটো চালক। এমনটাই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন অটো চালকরা। পরিবহন দপ্তরে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় গত এক বছরে খয়েরপুর থেকে রাজচন্তাই, চন্দ্রপুর থেকে আনন্দনগর এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার অটোর রোডম্যাপ করে দেওয়া হয়েছে জিবি থেকে বনিক্য চৌমুহনী পর্যন্ত। তাদের বক্তব্য শুধু জিবি – বনিক্য চৌমুহনি রুটই প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ টি অটো চলাচল করে। গত কয়েক মাসে এই সংখ্যাটাও বেড়ে গেছে। এখন শতাধিক যাত্রীবাহী অটো এই রুটে চলাচল করছে বলে অটো চালকরা জানিয়েছেন। তারা জানান, এখন প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করতে অটোচালকদের হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর রয়েছে টমটম, ই-রিক্সার দাপট। যেভাবে বেআইনি অটোর সংখ্য বাড়ছে তাতে আগামী দিনে এই রুটের অটো চালকদের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার করতে হিমসিশ খেতে হবে। কোন ধরনের আগাম নোটিশ জারি না করে মোটা অর্থের বিনিময়ে বাঁকা পথে রোড ম্যাপ পরিবর্তন করার পারমিট দিয়ে চলেছে বলে পরিবহন দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন অটো চালকরা। তবে পরিবহন দপ্তরের ভুমিকায় খুশি অটো চালকরা।