দিল্লির নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা!
দিল্লির নবনির্বাচিত সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাজধানী দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। দেশের রাজনৈতিক মহলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডাঃ মানিক সাহা দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও টেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) নেতা এন. চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ ও আলোচনা করছেন। তাঁদের এই বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাজ্যগুলোর উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও তিনি অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং রাজ্য পরিচালনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন।
দিল্লিতে উপস্থিত থেকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একের পর এক রাজ্যে বিজয় অর্জন করছে। এর মূল কারণ হল প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র, যুবক, মহিলা এবং কৃষকদের সার্বিক কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁর উন্নয়নমূলক নীতি এবং জনহিতকর কর্মসূচিগুলোর জন্য দেশজুড়ে বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর পর দিল্লিতে সরকার গঠন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক সাফল্য। দিল্লির অর্থ ‘দিল’ বা হৃদয়, তাই বলা যায় বিজেপি দেশের হৃদয় জিতেছে।
দিল্লির সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত এবং তাঁর পুরো মন্ত্রিসভাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, “আমি আশা করি, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিকা অনুসরণ করে দিল্লির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। দিল্লি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এবং এখানে উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি সরকার দিল্লিবাসীর কল্যাণে একনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধু দেশের উন্নয়নেই মনোযোগী নন, তিনি দেশের সুরক্ষার জন্যও নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই এই বিজয় আমাদের আরও শক্তিশালী করবে এবং আগামী দিনে দিল্লিতে আরও ব্যাপক অগ্রগতি হবে।” দিল্লির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, যা ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিকল্পনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।